গঙ্গা নদী থেকে বাংলাদেশ এবার ভালো পরিমাণ পানি পেয়েছে: দাবী জেআরসির

আপডেট: এপ্রিল ১৪, ২০২৩
0

৪০ বছরে (১৯৪৯-১৯৮৮) নদীটির ঐতিহাসিক পানি প্রবাহের ভিত্তিরেখার তথ্য বিবেচনা করে এ কথা বলেছেন বাংলাদেশ-ভারত যৌথ নদী কমিশনের (জেআরসি) সদস্য ডক্টর মোহাম্মদ আবুল হোসেন। তিনি এও বলেন, চলতি বছরের মার্চের প্রথম প্রান্তিকে বাংলাদেশ তার ন্যায্য অংশের বিপরীতে কিছুটা কম পানি পেয়েছে। জেআরসি আগামী মে মাসে একটি বৈঠক করবে। সেখানে জানতে চাওয়া হবে, ভারত নদী থেকে পানি সরিয়ে নিচ্ছে কি না? বাসস

গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তি ১৯৯৬ অনুসারে, বাংলাদেশ ও ভারত ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ মে পর্যন্ত প্রতি ১০ দিনের সময়কালের ভিত্তিতে গঙ্গা নদীর পানি ভাগ করে নেয়। ফারাক্কা পয়েন্টে পানির পরিমাণ ৭০ হাজার কিউসেক বা তার কম হলে, বাংলাদেশ ও ভারত উভয়ই সমান পানি পাবে।

ফারাক্কা পয়েন্টে পানির পরিমাণ ৭০ হাজার থেকে ৭৫ হাজার কিউসেক বা তার বেশি হলে, ভারত প্রবাহের ভারসাম্য পাবে এবং বাংলাদেশের অংশ হবে ৩৫ হাজার কিউসেক। ফারাক্কা পয়েন্টে পানির প্রাপ্যতা ৭৫ হাজার কিউসেক বা তার বেশি হলে, বাংলাদেশ প্রবাহের ভারসাম্য পাবে এবং ভারতের অংশ হবে ৪০ হাজার কিউসেক।

জেআরসির সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশের হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে চলতি বছরের জানুয়ারির প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় ১০ দিনে পানির প্রাপ্যতা ছিল যথাক্রমে ৮৫ হাজার ৩১৬ কিউসেক, ৭০ হাজার ৮২৭ কিউসেক এবং ৬৯ হাজার ৯৯০ কিউসেক। ফেব্রুয়ারির প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় ১০ দিনে, হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে পানির পরিমাণ ছিল যথাক্রমে ৬৭ হাজার ৩৬৪ কিউসেক, ৫৯ হাজার ৩৭৬ কিউসেক এবং ৪৭ হাজার ৮৯১ কিউসেক। অন্যদিকে মার্চের প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় ১০ দিনে বাংলাদেশ যথাক্রমে ৪২ হাজার ৩৭২ কিউসেক, ৪১ হাজার ৩৬৮ কিউসেক এবং ৪০ হাজার ৩৯০ কিউসেক পেয়েছে।

জেআরসি জানায়, এ বছরের এপ্রিলের প্রথম ১০ দিনে বাংলাদেশ হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে ৪২ হাজার ৭১ কিউসেক পানি পেয়েছে।

১৯৯৬ সালের ১২ ডিসেম্বর নয়াদিল্লিতে তৎকালীন ভারতের প্রধানমন্ত্রী এইচডি দেবগৌড়া এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। চুক্তিটি ৩০ বছরের পানিবণ্টন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করে এবং ভাটিতে নদী প্রবাহে বাংলাদেশের অধিকারকে স্বীকৃতি দেয়।
ভারত ও বাংলাদেশে ৫৪টি অভিন্ন নদী রয়েছে। ভারত ও বাংলাদেশের জেআরসি ১৯৭২ সালে পারস্পরিক স্বার্থে অভিন্ন সীমান্ত এবং আন্তঃসীমান্ত নদী সমস্যাগুলি সমাধানের জন্য একটি দ্বিপাক্ষিক প্রক্রিয়া হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।