গাজীপুরে দুই মেয়েকে নিয়ে শীতলক্ষ্যায় ঝাঁপ দিলেন মা জীবিত উদ্ধার এক, অপর মেয়ে ও তাদের মা নিখোঁজ

আপডেট: জুন ১৯, ২০২২
0

গাজীপুর প্রতিনিধিঃ গাজীপুরের কাপাসিয়ায় শিশু সন্তান দুই মেয়েকে নিয়ে শীতলক্ষ্যা নদীতে ঝঁাপ দিয়েছেন এক মা। স্থানীয়রা এক শিশুকে উদ্ধার করলেও বাকী দুইজনের খেঁাজ মেলেনি। তাদের উদ্ধারে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল কাজ করছেন। রবিবার কাপাসিয়া উপজেলার সিংহশ্রী গ্রামের বরামা সেতু এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

উদ্ধার হওয়া শিশু তাহমিদা ও স্বজনরা জানান, রবিবার সকালে বাজার থেকে দুই বোন তাহমিদা আক্তার (৯) ও মুর্শিদা আক্তার (৭)কে জুতা, জামা কাপড় ও সিঙ্গারা কিনে দেয়া কথা বলে তাদের নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন মা আরিফা আক্তার (৪০)। আরিফা দুই শিশু সন্তানকে নিয়ে সিংহশ্রী গ্রামের বরামা সেতু এলাকায় শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে যান। সেখানে গিয়ে হঠাৎ দুই সন্তানের হাত ধরে তাদেরকে নিয়ে নদীতে ঝাপ দেন আরিফা। ঝাঁপ দেয়ার পর মায়ের হাত ফসকে নদীতে থাকা বঁাশের মাচায় ধরে কান্নাকাটি করতে থাকে তাহমিদা। এসময় তাহমিদার কান্নাকাটি শুনতে পেয়ে নদীতে মাছ ধরতে আসা জেলেরা তাকে উদ্ধার করে। তবে আরিফা ও মেয়ে মুর্শিদা নদীতে তলিয়ে নিখোঁজ হয়। স্থানীয়রা চেষ্টা চালিয়েও তাদের খোঁজ পায় নি।

কাপাসিয়া থানার ওসি এএফএম নাসিম জানান, খবর পেয়ে টঙ্গী থেকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরী দল ঘটনাস্থলে এসে উদ্ধার কাজ শুরু করে। উদ্ধারকৃত শিশু তাহমিদা ও এলাকাবাসীর দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে শীতলক্ষ্যা নদীতে উদ্ধার কাজ চালাচ্ছেন। তবে সন্ধ্যা পর্যন্ত আরিফা আক্তার ও তার মেয়ে মুর্শিদা আক্তারের সন্ধান মিলে নি। তারা এখনও নিখোঁজ রয়েছে। আরিফা আক্তার কাপাসিয়া উপজেলার সিংহশ্রী গ্রামের মৃত আব্দুল মালেকের স্ত্রী এবং স্থানীয় বিবাদিয়া গ্রামের মোহাম্মদ আলী মুন্সির মেয়ে।

আরিফার ভাই এমারত হোসেন জানান, প্রায় ১০/১২বছর আগে আব্দুল মালেকের সঙ্গে আরিফা আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন পর রোগে আক্রান্ত হয়ে আব্দুল মালেক মারা যান। তাদের সংসারে দুই কন্যা সন্তান তাহমিদা আক্তার (৯) ও মুর্শিদা আক্তার (৭) রয়েছে। স্বামীর মৃত্যুর পর অসহায় আরিফা আক্তার (৪০) মানসিক ভারসাম্যহীনতায় ভুগছিলেন।
###