গাজী মাজহারুল আনোয়ার বাংলাদেশের একজন কিংবদন্তি— শোক প্রকাশে মীর্জা ফখরুল

আপডেট: সেপ্টেম্বর ৪, ২০২২
0

গাজী মাজহারুল আনোয়ার বাংলাদেশের একজন ‘কিংবদন্তি’ বলে মন্তব্য মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

রোববার সকালে গুলশানে ইউনাইটেড হাসপাতালে উপস্থিত সাংবাদিকদের কাছে বিএনপি মহাসচিব এই কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘‘ বাংলাদেশের একজন কিংবদন্তি, শুধু গীতিকার বললে ভুল বলা হবে। একজন সৃজনশীল শিল্পী যার কলমে এদেশে সৃষ্টি হয়েছে অসংখ্য অসাধারণ গান, কবিতা।

‘‘আমি কিছুটা আবেগ আপ্লুত। তার সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত সম্পর্ক ছিলো অত্যন্ত ঘনিষ্ট। তিনি চলে গেছেন আমি ঠিক মেনে নিতে পারছি না। আমরা একজন বিরল ব্যক্তিত্ব অসাধারণ মেধাবী মানুষকে হারালাম।”

তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘‘ পরম করুনাময় আল্লাহতা‘লার কাছে এই দোয়া করি আল্লাহ যেন তাকে বেহশত নসিব করেন এবং তার পরিবারবর্গ ও তার অসংখ্য গুনগ্রাহী মানুষকে যেন শোক সহ্য করার শক্তি দেন।”

এই বরণ্যে গুনী শিল্পীর গান মুক্তিযুদ্ধে অনুপ্রেরণা যুগিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘‘ ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধে তার গান ছিলো আমাদের কাছে সবচেয়ে অনুপ্রেরণা এবং পরবর্তি সময়গুলোতে তিনি হাজার হাজার গান লিখেছেন।”

‘‘ আমরা জানি বিবিসির যে রেকর্ড সেই রেকর্ডেও তিনি হচ্ছেন সেই মহান শিল্পী, সেই মহান লেখক, গীতিকার। তিনি সবচেয়ে বেশি গান বাংলা ভাষায় লিখেছেন।”

গীতিকার, চলচ্চিত্র নির্মাতা ও প্রযোজক অসুস্থ গাজী মাজহারুল আনোয়ারকে বারিধার বাসা থেকে রোববার সকাল সাড়ে ৬টার গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতালে নেওয়া পর চিকিতসক তাকে মৃত করে।

মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৭৯ বছর।

মৃত্যু সংবাদের পরপরই উত্তরার বাসা থেকে গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতালে ছুটে আসেন বিএনপি মহাসচিব। তিনি মরহুমের ছেলে শরফরাজ মেহেদি উতপলকে সাত্বনা দেন।

এই সময়ে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, জাসাসের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন রোকন ও বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খানসহ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

মৃত্যুকালে গাজী মাজহারুল আনোয়ার স্ত্রী জোহরা গাজী, এক ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন। মেয়ে রিটা রহমান যুক্তরাষ্ট্র থাকেন। পরিবারের সদস্যরা জানান, তিনি বিকালে দুবাই হয়ে দেশে ফেরবেন।

এদিকে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য অধ্যাপক মামুন আহমেদ জানান, বরণ্য শিল্পী গাজী মাজহারুল আনোয়ারকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অনুমতির জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচাযের কাছে আবেদন করা হয়েছে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বারিধারার বাসায় গিয়ে তার পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলেন এবং তাদেরকে সাত্বনা জানান।

মরহুমের মরদেহ গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়েছে।