সারা দেশে গত কয়েকদিনে পুলিশের গুলিতে বিএনপির ৩ কর্মী নিহত,আহত ২০০০,গ্রেফতার ২০০—মীর্জা ফখরুল

আপডেট: সেপ্টেম্বর ৪, ২০২২
0

সারা দেশে বিএনপি’র প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত শান্তিপূর্ণ কর্মসূচীতে বিনা উস্কানীতে পুলিশের গুলিতে বিএনপির ৩ কর্মী নিহত,আহত ২০০০,গ্রেফতার ২০০ হয়েছে বলে জানিয়েছেন মহাসচিব মীর্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

রোববার সকালে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সন কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব এই কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল সারা দেশে গত ২২ আগষ্ট ২০২২ থেকে ১লা সেপ্টেম্বর ২০২২ ইং তারিখ পর্যন্ত বিএনপি’র কর্মসূচিতে নিহত, আহত, গ্রেফতার ও ভাংচুরের চিত্র তুলে ধরে জানান, নারায়ণগঞ্জে শেখ হাসিনার অবৈধ, অনির্বাচিত, ফ্যাসিবাদী সরকারের পুলিশের গুলিতে ১ সেপ্টেম্বর ২০২২ বিএনপি’র প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর শান্তিপূর্ণ কর্মসূচীতে অংশ নেয়অ যুবদল নেতা শাওনকে হত্যা ও সারা দেশে বিএনপি’র প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত শান্তিপূর্ণ কর্মসূচীতে আওয়ামী সন্ত্রাসী বাহিনী ও পুলিশ বিনা উষ্কানিতে বর্বোচিত হামলার প্রতিবাদে সারা দেশে গত কাল বিএনপি আয়োজিত প্রতিবাদ কর্মসূচী পালিত হয়েছে। আওয়ামী সন্ত্রাসীরা ও অবৈধ সরকারের পুলিশ বাহিনী গত কালও ঠাকুরগাঁও জেলার রুহিয়া উপজেলা, কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়াসহ বেশ কয়েকটি জেলায় নারকিয় তান্ডব চালিয়েছে। ঠাকুরগাঁও জেলার রুহিয়া উপজেলায় পুলিশ ও আওয়ামী সন্ত্রাসী হামলায় প্রায় ২৫ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছে এছাড়ও কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া উপজেলায় পুলিশ ও আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলায় প্রায় শতাধিক নেতা-কর্মীকে আহত করেছে। পুলিশের গুলিতে আহত দুই জনের অবস্থা সংকটাপন্ন।
এছাড়াও সারা দেশে গত ২২ আগষ্ট ২০২২ থেকে ১লা সেপ্টেম্বর ২০২২ ইং তারিখ পর্যন্ত বিএনপি’র কর্মসূচিতে নিহত, আহত, গ্রেফতার ও ভাংচুরের সারসংক্ষেপ :-

# এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্যনুযায়ী সারাদেশে নিহত- ৩ জন

#সারাদেশে আহত হয়েছে ২০০০ জনের অধিক নেতাকর্মী।

# সারাদেশে গ্রেফতার- ২০০ জনের অধিক নেতাকর্মী।
# সারাদেশে নাম উল্লেখ করে আসামী করা হয়েছে প্রায়- ৪০৮১ জনের অধিক নেতাকর্মী।
# সারাদেশে অজ্ঞাত আসামী প্রায় ২০ হাজার।
# সারাদেশে ১৪৪ ধারা জারি- ২০/২৫ টি স্থানে।
সারাদেশে বাড়িঘরে ও ব্যাসায়িক প্রতিষ্ঠানে হামলা প্রায়- ৫০ টি স্থানে।
সারা দেশে কর্তৃতত্ববাদী গণবিরোধী, ফ্যাসিষ্ট সরকার বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীদের এবং সাধারণ মানুষদের হত্যা, আহত, গ্রেফতার যে অপতৎপরতা অব্যাহত রেখেছেন তা বন্ধের আহŸান জানাচ্ছি। হত্যাকারী এবং হামলাকরীদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি, অন্যায় ভাবে গ্রেফতারকৃত নেতা-কর্মীদের মুক্তি, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ফিরে আসার জন্য সরকারকে আহŸান জনাচ্ছি। আইন-শৃংখলা বাহিনীকে কোন দলের সদস্য হিসাবে কাজ না করে দেশের সংবিধান রক্ষা এবং জনগণের জান-মালের নিরাপত্তার দায়িত্ব নিরপেক্ষভাবে পালন করার আহŸান জানাচ্ছি। সরকার যদি এই অশুভ তৎপরতা বন্ধ না করে জনগণের যে ঐক্যের আন্দোলন শুরু হয়েছে তা ক্রমান্বয়ে গণবিষ্ফরণে পরিণত হবে এবং গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করে এই সকল অপকর্মের সাথে যারা জড়িত তাদের বিচার করা হবে। সারা দেশে আহত নেতা-কর্মীদের আশু সুস্থতা কামনা করছি।

গণবিরোধী কর্তৃতত্ববাদী ফ্যসিষ্ট আওয়ামী সরকার কর্তৃক বিদ্যুতের মূল্য, জ¦ালানী তেল, পরিবহণ ভাড়াসহ সকল নিত্য পণ্যের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিএনপি দেশব্যাপী জনগণকে সঙ্গে নিয়ে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচী পালনরত অবস্থায় ভোলায় পুলিশ কর্তৃক বর্বোচিত হামলা চলিয়ে ছাত্রদল নেতা নূরে আলম ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আব্দুর রহিমকে হত্যার মধ্য দিয়ে এই গণদাবিকে অগ্রায্যর মানসিকতা দেখিয়েছেন এই সরকার। আপনারা জানেন আওয়ামী লীগ জন্মলগ্ন থেকেই জনভীতিতে ভোগে। তার প্রমান স্বাধীনতাত্তর ক্ষমতায় এসে সিরাজ শিকদারসহ প্রায় ৩০ হাজার বিরোধী মতের নেতা-কর্মীকে হত্যা করেছেন। ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে সুমনকে ড্রিল মেশিন দিয়ে পুলিশ হেফাজতের হত্যার মধ্য দিয়ে সরকারের যাত্রা শুরু করেন। সারা দেশে শামীম ওসমান, গোলন্দাজ, তাহের, হাজী মকবুলসহ অসংখ্য গডফাদার সৃষ্টি করে এদেশের মানুষের উপর হত্যা, নির্যাতন অব্যাহত রেখেছিল। এই নারায়ণগঞ্জেই ১৯৯৬ সালে তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার লংমার্চ বাধা প্রদান করা হয়েছিল। সেই সময় ঢাকার মেয়র ও এমপি সাদেক হোসেন খোকা ও ছাত্রদলের তৎকালীন সভাপতি শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানীর মাথায় পুলিশ বর্বোচিত গুলি চলিয়েছিল। বর্তমান গত ১৫ বছরে আমাদের অসংখ্য নেতা-কর্মীদের আওয়ামী সন্ত্রাসী ও পুলিশ গুম, খুন, নির্যাতন করেছে।
২০১১ সালে নয়া পল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে স্থায়ী কমিটির সদস্য জনাব নজরুল ইসলাম খানকে পুলিশ গুলি করে আহত করেন। সেই সময় বিরোধী দলের চীপ হুইপ জয়নাল আবেদীনকে পুলিশ কর্তৃক কিভাবে নির্যাতন করেছেন তা আপনারা অবগত আছেন। ২০১৫ সালে মেয়র নির্বাচনের সময় বাংলা মটোরসহ ঢাকা শহরের বিভিন্ন জায়গায় দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার গাড়ী বহরে হামলা চালিয়েছিল। তারই ধারাবাহিকতায় বিএনপি প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে নারায়ণগঞ্জে শান্তিপূর্ণ র‌্যালীতে কিভাবে গুলি চালিয়ে যুবদল নেতা শাওকে হত্যা করে এই হত্যাকে পুলিশ অভিনব কায়দায় গুম করে রাত ২টার সময় আওয়মী এবং পুলিশ যৌথভাবে দাফন করেই খান্ত হন নাই উল্টো তার ভাইকে জোর পূর্বক বিএনপি’র নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দিতে বাধ্য করেছেন। আওয়ামী লীগ জনভীতিভোগী দল হিসাবে চিহ্নিত বিধায় জন্মলগ্ন ক্ষমতায় জনগণের ভোট ছাড়াই বিভিন্ন অপকৌশলের আশ্রয় নিয়েই ক্ষমতায় আসীন হয়ে নিজেদের কর্মী বাহিনী দিয়ে রক্ষী বাহিনী, গডফাদার বাহিনী, প্রশাসনের মধ্যে কিছু ব্যক্তি দিয়ে এনকাউন্ডার বাহিনী তৈরী করে বিরোধী মতের নেতা-কর্মীদের হত্যা, গুম, নির্যাতন করা তাদের ধারাবাহিক অভ্যাস।

এরই ধারাবাহিকতায় গত ২২ আগষ্ট ২০২২ তারিখ হতে জনগণের ন্যায় সংগত দাবীর পক্ষে বিএনপি শান্তিপূর্ণভাবে সারা দেশে জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে কর্মসূচী পালন করে আসছে। এই কর্মসূচীতে সাধারণ মানুষের ব্যাপক অংশগ্রহণ ও সমর্থন দেখে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ এবং প্রশাসনের ভিতরে কিছু সদস্য ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে বিএনপি’র নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষের উপরে স্বশস্ত্র হামলা করে নিহত, আহত ও পঙ্গু করছে। এছাড়াও নেতা-কর্মীদের বাড়ি-ঘর, ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে ব্যপক ক্ষতিসাধন করছে। এই হামলা থেকে সাধারণ মানুষও রেহাই পাচ্ছে না।
সারা দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় হামলা করে হত্যা, আহত এবং মামলা গ্রেফতার নির্যাতনের সংক্ষিপ্ত চিত্র :Ñ
নারায়ণগঞ্জ জেলা: যুবদল নেতা শাওনকে পুলিশ গুলি করে হত্যা, আওয়ামী লীগ ও পুলিশ যৌথভাবে হামলা চালিয়ে প্রায় ৫শতাধিক নেতা-কর্মী ও সাধারন মানুষকে আহত করেছেন ৩ শত এবং ৭০ জনের নাম উল্লেখ করে ৫ হাজার নেতা-কর্মীর নামে মামলা দায়ের করেছেন।

সাতক্ষীরা জেলার ২০ জন নেতা-কর্মীকে আহত করেছেন।
পটুয়াখালী জেলা: কলাপাড়া সহ বিভিন্ন স্থানে হামলা চালিয়ে পুলিশ ও আওয়ামী সন্ত্রাসীরা ৫০ জনকে আহত করেছে, ১০ জনকে গ্রেফতার করেছেন ও ২টি মামলা দায়ের করেছেন, ১০০ জনের নাম উল্লেখ করে ১ হাজার জনকে আসামী করেছে।
ভোলা জেলা: হামলা চালিয়ে পুলিশ ও আওয়ামী সন্ত্রাসীরা ৫০ জনকে আহত করেছে ইতি পূর্বে পুলিশ গুলি চালিয়ে ছাত্রদল নেতা নূরে আলম ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আব্দুর রহিমকে হত্যা করেছেন এবং অসংখ্য নেতা-কর্মীদের আহত করেছেন। জেলা বিএনপি’র সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ শতাধিক নেতা-কর্মীর নামে মামলা দায়ের করেছেন।
বরিশাল জেলা: বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জ, উজিরপুর, বাকেরগঞ্জসহ বিভিন্ন স্থানে হামলা চালিয়ে পুলিশ ও আওয়ামী সন্ত্রাসীরা ৫০ জনকে আহত করেছে, ৩টি মামলা দায়ের করেছেন, ১৫০ জনের নাম উল্লেখ করে ৫শ জনকে আসামী করেছে।
ঝালকাঠি জেলা: বিভিন্ন স্থানে হামলা চালিয়ে পুলিশ ও আওয়ামী সন্ত্রাসীরা ৫০ জননে অধিক নেতা-কর্মীকে আহত করেছে।
পিরোজপুর জেলা: সদর, মটবাড়িয়া, নাজিরপুরসহ বিভিন্ন স্থানে হামলা চালিয়ে পুলিশ ও আওয়ামী সন্ত্রাসীরা ৫০ জনকে আহত করেছে, ১০ জনকে গ্রেফতার করেছেন ও ৩টি মামলা দায়ের করেছেন, ১৫০ জনের নাম উল্লেখ করে ৫শ জনকে আসামী করেছে।

ঠাকুরগাঁও জেলা: জেলা বিএনপি’র যুগ্ম সম্পাদকসহ ৫০ জনের অধিক আহত করেছে, বিএনপি অফিসসহ নেতা-কর্মীদের মটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করেছে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা।
গাইবান্ধা জেলা: গোবিন্দগঞ্জে হামলা চালিয়ে পুলিশ ও আওয়ামী সন্ত্রাসীরা ২০ জনকে আহত করেছে, ১টি মামলা দায়ের করেছেন, ৫০ জনের নাম উল্লেখ করে ১শ জনকে আসামী করেছে।
সিরাজগঞ্জ জেলা: মিছিলের উপরে পুলিশ গুলি চালিয়ে ১শ জনের অধিক আহত করেছে, ২০ জনকে গ্রেফতার করেছেন ও ১টি মামলা দায়ের করেছেন, ১০০ জনের নাম উল্লেখ করে ১ হাজার জনকে আসামী করেছে। পুলিশ ও আওয়ামী লীগ যৌথভাবে গ্রামে গ্রামে সাধারণ নেতা-কর্মী ও জনগণের বাড়ি গিয়ে গ্রেফতার ও ভয়ভীতি অব্যাহত রেখেছেন।

চট্টগ্রাম জেলা: বাঁশখালী, সীতাকুন্ডসহ বিভিন্নস্থানে হামলা চালিয়ে পুলিশ ও আওয়ামী সন্ত্রাসীরা ৪৫ জনকে আহত করেছে, ৬ জনকে গ্রেফতার করেছেন ও ৬টি মামলা দায়ের করেছেন, ৫০০ জনের নাম উল্লেখ করে ২ হাজার জনকে আসামী করেছে।
নোয়াখালী জেলা: সদর, চাটখিল, সেনবাগ, বেগমগঞ্জসহ বিভিন্ন স্থানে হামলা চালিয়ে পুলিশ ও আওয়ামী সন্ত্রাসীরা ১০০ জনকে আহত করেছে, ১০০ জনকে গ্রেফতার করেছেন ও ৩টি মামলা দায়ের করেছেন, বিএনপি’র যুগ্ম মহাসচিব ব্যরিষ্টার মাহবুব উদ্দিন খোকনসহ ৩০০ জনের নাম উল্লেখ করে ১ হাজার জনকে আসামী করেছে। পুলিশ ও আওয়ামী লীগ যৌথভাবে গ্রামে গ্রামে সাধারণ নেতা-কর্মী ও জনগণের বাড়ি গিয়ে গ্রেফতার ও ভয়ভীতি অব্যাহত রেখেছেন।
ফেনী জেলায় ছাগলনাইয়া, পশুরাম, ফুলগাজী, দাগণভূঁইয়া হামলা চলিয়ে বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান জনাব আব্দুল আউয়াল মিন্টুর গাড়িসহ ১শত নেতা-কর্মীকে আহত করেছেন, ৫জন কে গ্রেফতার করেছেন, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টুসহ ২শ জনের নাম উল্লেখ করে ৫শ জনকে আসামী করে মামলা করেছেন।
ল²ীপুর জেলা: শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানীর বাস ভবনসহ বিভিন্নস্থানে হামলা চালিয়ে পুলিশ ও আওয়ামী সন্ত্রাসীরা ৪০।

খাগড়াছড়ি জেলা: সদর ও রামুসহ বিভিন্ন স্থানে হামলা চালিয়ে পুলিশ ও আওয়ামী সন্ত্রাসীরা ৫০ জনকে আহত করেছে, ৩টি মামলা দায়ের করেছেন, ৩০০ জনের নাম উল্লেখ করে ১ হাজার ৫শ জনকে আসামী করেছে।
রাঙ্গামাটি জেলা: বাঘাইছড়িতে হামলা চালিয়ে পুলিশ ও আওয়ামী সন্ত্রাসীরা ১০ জনকে আহত করেছে।

নরসিংদী জেলা : বেলাবো, রায়পুরা ও মনহরদীসহ বিভিন্ন স্থানে হামলা চালিয়ে পুলিশ ও আওয়ামী সন্ত্রাসীরা ২০ জনকে আহত করেছে, ১০ জনকে গ্রেফতার করেছেন ও ২টি মামলা দায়ের করেছেন, ১০০ জনের নাম উল্লেখ করে ৫শ জনকে আসামী করেছে।
গাজীপুর জেলা: বিভিন্ন স্থানে হামলা চালিয়ে পুলিশ ও আওয়ামী সন্ত্রাসীরা ২৩ জনকে আহত করেছে, ৩ জনকে গ্রেফতার করেছেন ও ১টি মামলা দায়ের করেছেন, ৫০ জনের নাম উল্লেখ করে ১৫০ জনকে আসামী করেছে।
ঢাকা জেলা: বিএনপি’র জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য বাবু গয়েশ^র চন্দ্র রায়ের বাড়িসহ বিভিন্ন স্থানে হামলা চালিয়ে পুলিশ ও আওয়ামী সন্ত্রাসীরা ১৫ জনকে আহত করেছে,
মুন্সিগঞ্জ জেলা: শ্রীনগরসহ বিভিন্ন স্থানে হামলা চালিয়ে পুলিশ ও আওয়ামী সন্ত্রাসীরা ৫০ জনকে আহত করেছে, ১টি মামলা দায়ের করেছেন, ১০০ জনের নাম উল্লেখ করে ৫শ জনকে আসামী করেছে।
মানিকগঞ্জ জেলা : পুলিশ গুলি চালিয়ে ১০০ জনকে আহত করেছে, ৫০ জনকে গ্রেফতার করেছেন ও ১টি মামলা দায়ের করেছেন, ১০০ জনের নাম উল্লেখ করে ২ হাজার ৫শজনকে আসামী করেছে। পুলিশ ও আওয়ামী লীগ যৌথভাবে গ্রামে গ্রামে সাধারণ নেতা-কর্মী ও জনগণের বাড়ি গিয়ে গ্রেফতার ও ভয়ভীতি অব্যাহত রেখেছেন।
টাঙ্গাইল জেলা: বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপি’র আহŸায়ক এ্যাড. আহমেদ আযম এর উপর হামলাসহ সদর, ঘাটাইলসহ বিভিন্ন স্থানে হামলা চালিয়ে পুলিশ ও আওয়ামী সন্ত্রাসীরা ২০ জনকে আহত করেছে, ১টি মামলা দায়ের করেছেন, ৫০ জনের নাম উল্লেখ করে ২শ জনকে আসামী করেছে।

যশোর জেলা: বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, জেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব সাবেরুল হক সাবু, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক দেলোয়ার হোসেন খোকন এবং সদস্য মিজানুর রহমান খানের বাসভবনে গতকাল মধ্যরাতে আওয়ামী সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা কাপুরুষোচিত হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর চালায়।
উপজেলা ব্যাপী বিএনপি নেতাকর্মীদের ঘরে ঘরে তল্লাশী ও হুমকি অব্যাহত। হামলায় আহত বিএনপি নেতা শাহাবুদ্দিন ছাত্রদল নেতা মোহাম্মদ ফারুক, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আলাউদ্দিন ইউসুফ। গ্রেফতার হয়েছেন-ছাত্রদল নেতা ইমরান ও পারভেজ।
মেহেরপুর জেলা: গাংনীসহ বিভিন্ন স্থানে হামলা চালিয়ে পুলিশ ও আওয়ামী সন্ত্রাসীরা ২০০ জনকে আহত করেছে, ৭ জনকে গ্রেফতার করেছেন ও ১টি মামলা দায়ের করেছেন, ১০০ জনের নাম উল্লেখ করে ৫শ জনকে আসামী করেছে।
ঝিনাইদহ জেলা: সদর, শৈলকুপাসহ বিভিন্ন স্থানে হামলা চালিয়ে পুলিশ ও আওয়ামী সন্ত্রাসীরা ৫০ জনকে আহত করেছে, ৫ জনকে গ্রেফতার করেছেন ও ১টি মামলা দায়ের করেছেন, ৫০ জনের নাম উল্লেখ করে ২শ জনকে আসামী করেছে।
মাগুরা জেলা: সদরে আওয়ামী লীগের স্বশস্ত্র মহড়া দিয়ে ২০ জনকে আহত করেছে, ২০ জনকে গ্রেফতার করেছেন ও ২টি মামলা দায়ের করেছেন, ১শ জনের নাম উল্লেখ করে ৪শ জনকে আসামী করেছে।
নড়াইল জেলা: বিভিন্ন স্থানে পুলিশ গুলি চালিয়ে ৫০ জনকে আহত করেছে।
বাগেরহাট জেলা: রামপালসহ বিভিন্ন স্থানে হামলা চালিয়ে সাবেক এমপি শেখ মুজিবুরসহ ৫০ জনকে আহত করেছে, ২টি মামলা দায়ের করেছেন, ৫৫ জনের নাম উল্লেখ করে ৫শ জনকে আসামী করেছে।
খুলনা জেলা: খালিশপুর, দৌলতপুরসহ বিভিন্ন স্থানে হামলা চালিয়ে পুলিশ ও আওয়ামী সন্ত্রাসীরা ২০ জনকে আহত করেছে।
কুষ্টিয়া জেলা: গ্রেফতার ৭, মামলা ১টি, ৫০ জনের নাম উল্লেখ করে ২০০ জনের নামে মামলা দায়ের করেছেন।

ব্রা²ণবাড়িয়া জেলা : কসবা, আখাউড়াসহ হামলা চালিয়ে পুলিশ ও আওয়ামী সন্ত্রাসীরা ৭০ জনকে আহত করেছে, ৩ জনকে গ্রেফতার করেছেন ও ১টি মামলা দায়ের করেছেন, ৫০ জনের নাম উল্লেখ করে ২০০ জনকে আসামী করেছে।
কুমিল্লা জেলা: দাউদকান্দি, মুরাদনগর, তিতাস, নাঙ্গলকোর্ট, হোমনাসহ বিভিন্ন স্থানে হামলা চালিয়ে পুলিশ ও আওয়ামী সন্ত্রাসীরা ৩০৫ জনকে আহত করেছে, ১০ জনকে গ্রেফতার করেছেন ও ৫টি মামলা দায়ের করেছেন, সাবেক এমপি গফুর ভূঁইয়াসহ ৫শ জনের নাম উল্লেখ করে ৫ হাজার জনকে আসামী করেছে।
চাঁদপুর জেলা: ফরিদগঞ্জসহ বিভিন্ন স্থানে হামলা চালিয়ে পুলিশ ও আওয়ামী সন্ত্রাসীরা ১০ জনকে আহত করেছে।

কিশোরগঞ্জ জেলা: পাকুন্দিয়াসহ বিভিন্ন স্থানে পুলিশ গুলি চালিয়ে শতাধিক জনকে আহত করেছে, ১টি মামলা দায়ের করেছেন, ১শ জনের নাম উল্লেখ করে ৫শ জনকে আসামী করেছে।
নেত্রকোনা জেলা: প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর র‌্যালীতে পুলিশ গুলি চালিয়ে ৫শ জনকে আহত করেছে, ২৫ জনকে গ্রেফতার করেছেন ও ১টি মামলা দায়ের করেছেন, ১শ জনের নাম উল্লেখ করে ২ হাজার জনকে আসামী করেছে।
জামালপুর জেলা: মেলেন্দসহ বিভিন্ন স্থানে হামলা চালিয়ে পুলিশ ও আওয়ামী সন্ত্রাসীরা ২০ জনকে আহত করেছে, ১ জনকে গ্রেফতার করেছেন ও ১টি মামলা দায়ের করেছেন, ১০০ জনের নাম উল্লেখ করে আসামী করেছে।
ময়মনসিংহ জেলা: বিভিন্ন স্থানে হামলা চালিয়ে পুলিশ ও আওয়ামী সন্ত্রাসীরা ৬ জনকে আহত করেছে।