গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবায় কমিউনিটি ক্লিনিক

আপডেট: সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২৩
0


এমরানা আহমেদ:

একসময় অসুখ-বিসুখ হলেই লোকজনকে ছুটতে হতো উপজেলা বা জেলা শহরের হাসপাতালে। এখন সেই অবস্থা বদলেছে। এখন গ্রামের কমিউনিটি ক্লিনিকেই মিলছে মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা। তেমনই হাওড়ের তাহিরপুরে স্বাস্থ্যসেবার চিত্রটা আলাদা কিছু নয়। উপজেলার বালিয়াজুড়ির দক্ষিণকূল গ্রামের বাসিন্দা হাসনা বেগম (২০)। কিছুদিন আগে স্থানীয় কমিউনিটি ক্লিনিকে তার সন্তান জন্ম দেন। এজন্য তাকে এক টাকাও খরচ করতে হয়নি। বরং ক্লিনিক থেকে বিনামূল্যে অনেক ওষুধ ও পরামর্শ দেওয়া হয়। হাসনা বেগম বলেন, ‘আমার মতো গরিব মানুষের জন্য এটা অনেক বড়ো উপকার।’ এছাড়াও কথা হয় দক্ষিণকূল গ্রামের আরেক মা রোকসা রহমানের সঙ্গে। তিনিও একই ক্লিনিকে নিরাপদে সন্তান জন্ম দিয়েছেন। ক্লিনিকের পরিবেশ ও স্বাস্থ্যকর্মীদের আন্তরিকতায় খুবই খুশি রোকসা রহমান। তাদের দুজনের মতো গ্রামের শত শত মানুষ এখন ওই ক্লিনিকে আসছেন স্বাস্থ্যসেবা নিতে। রায়হান, রাইসুল ও কেরামত মিয়া জানান, ১৯৯৯ সালে নির্মিত হওয়ার পর ২০০৯ সাল পর্যন্ত পরিত্যক্ত ছিল ক্লিনিকটি। স্থানীয় বেসরকারি সংস্থা এফোর্টস ফর রুরাল অ্যাডভান্সমেন্টের (ইরা) ওয়াশ ইন হেলথ প্রকল্পের মাধ্যমে ২০১৬ সালে এটি সংস্কার করা হয়। নিরাপদ পানি, স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা, হাত ধোয়ার সুবিধা ও নিরাপদে সন্তান প্রসবের ব্যবস্থা নিশ্চিত হয়।
তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ইকবাল হোসেন বলেন, স্থানীয় ব্যবস্থাপনায় কমিউনিটি ক্লিনিক পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণে দৃষ্টান্ত হিসাবে দাঁড়িয়েছে তাহিরপুর।
গ্রামাঞ্চলে আগে হাসপাতাল-ক্লিনিক তো দূরের কথা, ভালো ওষুধের দোকানও পাওয়া যেত না। কমিউনিটি ক্লিনিকের সুবাদে এখন বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা, পরামর্শ ও ওষুধ পাচ্ছেন ঘরের কাছেই। দিনদিন এর সেবাগ্রহীতার সংখ্যাও বাড়ছে। সরকারের পৃথক দুটি জরিপেও এসব ক্লিনিক নিয়ে ৮০ থেকে ৯৮ শতাংশ মানুষ তাদের সন্তুষ্টির কথা জানিয়েছেন। জাতীয় জনসংখ্যা গবেষণা ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের (নিপোর্ট) এক জরিপে দেখা যায়, বাড়ির পাশের ক্লিনিক থেকে ওষুধ আর পরামর্শ পেয়ে ৮০ শতাংশ মানুষই সন্তুষ্ট।
জাতীয় রোগ প্রতিরোধ ও সামাজিক চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের (নিপসম) জরিপে দেখা যায়, সেবা নিয়ে ৯৮ শতাংশ মানুষ সন্তুষ্ট। প্রান্তিক মানুষ এখন স্বাস্থ্যসেবার আশ্রয়স্থল হিসাবে মনে করে কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোকে। ক্লিনিক করার জন্য জমি দান করতে অসংখ্য মানুষ আবেদন জমা দিচ্ছেন।
‘শেখ হাসিনার অবদান, কমিউনিটি ক্লিনিক বাঁচায় প্রাণ’ সেøাগানে পরিচালিত এসব ক্লিনিকে কাজ করেন স্থানীয়রাই। কমিউনিটি ক্লিনিকের এই সেøাগান বাস্তবায়নে উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে ৫৩টি কমিউনিটি ক্লিনিক চালু রয়েছে। প্রতিটি কমিউনিটি ক্লিনিক পরিচালনার জন্য রয়েছে ১৭ সদস্যের কমিউনিটি গ্রুপ (সিজি)। ১৭ সদস্যের কমিউনিটি সাপোর্ট গ্রুপের (সিএজি) সহায়তায় এলাকার মানুষের স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। প্রতিটি ক্লিনিকে কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার, স্বাস্থ্য সহকারী ও পরিবার কল্যাণ সহকারীরা প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে থাকেন। মূল দায়িত্বে কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি)। এই পদের জন্য নারী ও এলাকার মানুষকেই সরকার প্রাধান্য দিয়েছে। সিএইচসিপি সপ্তাহে ছয়দিন ক্লিনিকে থাকেন। তাঁকে সহায়তা করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মাঠকর্মী, যাঁকে স্বাস্থ্য সহকারী হিসাবে সবাই চেনেন। তিনি তিনদিন ক্লিনিকে উপস্থিত থেকে সেবা দেন। এছাড়া পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের স্বাস্থ্য মাঠকর্মী, পরিবারকল্যাণ মাঠকর্মী ও পরিবার কল্যাণ সহকারীরা তিনদিন ক্লিনিকে সেবা দেন। সাপ্তাহিক ও সরকারি ছুটি ছাড়া প্রতিদিনই সকাল ৯টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত সেবা দেওয়া হয় এসব ক্লিনিকে।
দুতিনটি কমিউনিটি ক্লিনিকে সরেজমিন দেখা যায়, প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত (শুক্রবার এবং সরকারি ছুটির দিন ব্যতীত) স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া হয়। বিনামূল্যে ৩০ প্রকারের ওষুধ বিতরণের পাশাপাশি স্বাস্থ্য, পরিবার-পরিকল্পনা ও পুষ্টিবিষয়ক পরামর্শ দেওয়া হয়। বাড়ির কাছেই সহজে, বিনামূল্যে নির্ভরযোগ্য, আস্থাশীল সেবা পাওয়ার কারণে কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো গ্রামের মানুষের কাছে জনপ্রিয়তা পেয়েছে এবং পরিবারের হাসপাতাল হয়ে উঠেছে। কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো গ্রামের মানুষের রোগ প্রতিরোধ, শিশু ও মাতৃমৃত্যুর হার কমাতে ভূমিকা রাখছে। প্রতিটি ক্লিনিক থেকে দৈনিক গড়ে প্রায় অর্ধশত রোগী সেবা নিচ্ছেন।
বর্তমানে দেশে ১৪ হাজার ১২০টি ক্লিনিকে প্রাথমিক স্বাস্থ্য, পরিবার পরিকল্পনা ও পুষ্টিসেবা কার্যক্রম চালু রয়েছে। আরও ২০০টি নির্মাণাধীন। জুনের মধ্যে ১৪ হাজার ৮৯০টি চালু করার পরিকল্পনা (অপারেশন প্ল্যান) আছে। এই বিপুলসংখ্যক কমিউনিটি ক্লিনিকের বিপরীতে সরকার ইডিসিএল থেকে প্রতিবছর ২৫০ কোটি টাকার ওষুধ সরবরাহ করছে। উপজেলার ১৬টি কমিউনিটি ক্লিনিকের মধ্যে ১৩টিতে ওয়াশ ইন হেলথ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে ইরা। কর্মসূচির আওতায় কমিউনিটি গ্রুপ ও কমিউনিটি সাপোর্ট গ্রুপ সদস্যদের ক্লিনিক পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।

ইরার ওয়াশ ইন হেলথ প্রকল্পের ব্যবস্থাপক দেবেশ চন্দ্র তালুকদার বলেন, ‘কমিউনিটি গ্রুপ ও কমিউনিটি সাপোর্ট গ্রুপের সদস্যরাই এখন ক্লিনিক পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ করছেন। ক্লিনিকে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের প্রবেশগম্যতা নিশ্চিত হয়েছে। নিরাপদ পানি, হাত ধোয়ার সুবিধা, স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা, স্বাভাবিক প্রসবের উপযোগী রুম এবং বয়স্ক, শিশু, গর্ভবতীসহ সবার স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত হচ্ছে এসব ক্লিনিকে।’ বালিয়াজুড়ি ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য ও দক্ষিণকূল কমিউনিটি ক্লিনিকের সভাপতি বাবুল মিয়া বলেন, কমিউনিটি গ্রুপগুলো আগে তাদের দায়িত্ব বুঝত না। ফলে ক্লিনিকগুলো ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়ে ছিল। এখন তারা দায়িত্বটা ভালো করেই বোঝে। এই শিক্ষা পেয়েছে ইরার ওয়াশ ইন হেলথ প্রকল্প থেকে।

প্রকল্প ব্যবস্থাপক দেবেশ চন্দ্র তালুকদার জানান, ১৩টি কমিউনিটি ক্লিনিকের অংশীদারি তহবিলে রয়েছে প্রায় ৪ লাখ ৭০ হাজার টাকা। ক্লিনিক সঠিকভাবে রক্ষণাবেক্ষণ এ তহবিল গঠনের মূল লক্ষ্য। তিনি বলেন, ‘সেবার মান বাড়ায় ক্লিনিকে সেবাগ্রহীতা বাড়ছে। সংস্কারের আগে প্রতিদিন ক্লিনিকে স্বাস্থ্যসেবা নিতে আসতেন গড়ে ৩৬ জন। এখন দৈনিক সেবা নিতে আসেন গড়ে ৫১ জন।’
ইরার ওয়াশ ইন হেলথ প্রকল্পে আর্থিক ও কারিগরি সহায়তা দিচ্ছে ওয়াটারএইড বাংলাদেশ। এ কার্যক্রম সম্পর্কে ওয়াটারএইড বাংলাদেশের পরিচালক প্রোগ্রাম অ্যান্ড পলিসি অ্যাডভোকেসি ড. মো. লিয়াকত আলী বলেন, ‘তৃণমূল পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে কমিউনিটি ক্লিনিক প্রতিষ্ঠা করা বর্তমান সরকারের অত্যন্ত যুগোপযোগী ও যুগান্তকারী একটি সিদ্ধান্ত। জনসম্পৃক্ততা ছাড়া ক্লিনিকগুলোয় সেবার মান বৃদ্ধি, সেবা প্রদানকারীদের দায়বদ্ধতা বা স্থায়িত্ব প্রতিষ্ঠা করাও সম্ভব নয়। এমন লক্ষ্য সামনে রেখেই ওয়াটারএইড সুনামগঞ্জসহ তিনটি জেলায় ওয়াশ ইন হেলথ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।’
কমিউনিটি ক্লিনিককে কেন্দ্র করে আরেকটি নমুনা কার্যক্রম শুরু করেছে সরকার। প্রতিটি ক্লিনিকসংলগ্ন এলাকার ২৫০ থেকে ৩০০ পরিবারের জন্য একজন করে মাল্টিপারপাস হেলথ ভলানটিয়ার মনোনয়ন দেওয়া হচ্ছে। সারা দেশে ৭০ হাজার ভলানটিয়ার দেওয়ার পরিকল্পনা সরকারের আছে। তাদের মাধ্যমে ক্লিনিকসংলগ্ন বাড়িগুলোর সদস্যদের স্বাস্থ্য কার্ড দেওয়ারও পরিকল্পনা আছে। শেখ হাসিনা সরকার স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার উদ্যোগ নিয়েছে। এক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে এই ক্লিনিকগুলো। এগুলোই হবে দেশের স্বাস্থ্যসেবার পরিসংখ্যানের তথ্যভান্ডার।
অর্থায়ন ও সহায়তা

গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর অংশগ্রহণের মাধ্যমে যাতে কমিউনিটি ক্লিনিক সঠিকভাবে পরিচালিত হতে পারে, সেজন্য জাতীয় সংসদে কমিউনিটি ক্লিনিক ট্রাস্ট আইন-২০১৮ পাশ হয়েছে। এতে ক্লিনিকের কার্যক্রম পরিচালনা এবং জনবলের বেতন-ভাতাদিসহ আর্থিক ব্যয়ভার নিশ্চিত করার জন্য অর্থ সংগ্রহের সুযোগ সৃষ্টি করা হয়েছে। এই ট্রাস্টকে প্রয়োজনীয় আর্থিক সহায়তা দেওয়া হচ্ছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কমিউনিটি বেজড হেলথ কেয়ার প্রকল্প থেকে। বিনামূল্যে বিতরণের জন্য সরকার প্রতিবছর ২৫০ কোটি টাকার ওষুধ দেয় ইডিসিএল থেকে। স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলো কমিউনিটি ক্লিনিক কার্যক্রমকে পৃষ্ঠপোষকতা করে আসছে। জাতিসংঘের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান ও উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা বিশ্বব্যাংক, জাইকা, ইউনিসেফ প্রভৃতি সংস্থা আর্থিক, কারিগরি ও লজিস্টিক সরবরাহের মাধ্যমে কমিউনিটি ক্লিনিকের কার্যক্রম বাস্তবায়নে সহযোগিতা করছে। এছাড়া বিভিন্ন এনজিও কমিউনিটি ক্লিনিকের সেবার মানোন্নয়নে কাজ করছে।
যেসব সেবা দেওয়া হয়

গ্রামীণ জনগণের অত্যাবশ্যকীয় চিকিৎসাসেবা দেওয়ার প্রথম স্তর হলো কমিউনিটি ক্লিনিক। তৃণমূল পর্যায়ে সাধারণ মানুষের চাহিদা অনুযায়ী ওয়ান স্টপ সার্ভিস সেন্টার এগুলো। এখানে বিনামূল্যে প্রাথমিকভাবে সব রোগের চিকিৎসা ও বিনামূল্যে ওষুধ দেওয়া হয়। (১) ক্লিনিকগুলোয় সার্বিক প্রজনন স্বাস্থ্য পরিচর্যার আওতায় গর্ভবতী নারীদের প্রসবপূর্ব (প্রতিষেধক টিকাদানসহ) এবং প্রসব-পরবর্তী (নবজাতকের সেবাসহ) সেবা দেওয়া হয়। (২) এই ক্লিনিকগুলোয় সময়মতো প্রতিষেধক টিকা (যক্ষ্মা, ডিপথেরিয়া, হুপিং কাশি, পোলিও, ধনুষ্টংকার, হাম, হেপাটাইটিস-বি, নিউমোনিয়া ইত্যাদি) এবং শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের জন্য প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য সেবা দেওয়া হয়। (৩) জনগণের জন্য বিশেষ করে নারী ও শিশুদের অপুষ্টি দূর করার জন্য ফলপ্রসূ ব্যবস্থা গ্রহণ ও সেবা দেওয়া হয়। (৪) ম্যালেরিয়া, যক্ষ্মা, কুষ্ঠ, কালাজ্বর, ডায়রিয়াসহ অন্যান্য সংক্রামক রোগ প্রতিরোধব্যবস্থা এবং সেগুলোর সীমিত চিকিৎসা সুবিধা রয়েছে ক্লিনিকগুলোয়। (৫) সাধারণ জখম, জ্বর, ব্যথা, কাটা, পোড়া, সর্পদংশন, বিষক্রিয়া, হাঁপানি, চর্মরোগ, কৃমি এবং চোখ, দাঁত ও কানের সাধারণ রোগের ক্ষেত্রে লক্ষণভিত্তিক প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। (৬) অস্থায়ী পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতিসংক্রান্ত বিভিন্ন উপকরণ, যেমন: কনডম, পিল, ইসিপি প্রভৃতি সার্বক্ষণিক সরবরাহ ও বিতরণ করা হয়। (৭) জটিল রোগীদের প্রয়োজনীয় প্রাথমিক সেবা দিয়ে দ্রুত উচ্চতর পর্যায়ে রেফার করা হয়। (৮) সদ্যবিবাহিত ও অন্তঃসত্ত্বা নারীদের নিবন্ধীকরণ ও সম্ভাব্য প্রসব তারিখ সংরক্ষণ করা হয়। (৯) নারী ও কিশোর-কিশোরীদের রক্তস্বল্পতা শনাক্ত এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হয়। (১০) শুরুতে কমিউনিটি ক্লিনিকে সন্তান প্রসবের ব্যবস্থা ছিল না। তবে এখন দেশের প্রায় ৪ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিকে নরমাল ডেলিভারি বা স্বাভাবিকভাবে সন্তান প্রসব করানোর সেবা দেওয়া হচ্ছে। (১১) কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে মানুষকে বিনামূল্যে ৩২ ধরনের ওষুধ দেওয়া হয়। অসচ্ছল ও দরিদ্র ডায়াবেটিক রোগীরা বিনামূল্যে ইনসুলিনও পাচ্ছেন। গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবায় কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো রাখছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা।


পিআইবি ফিচার
লেখক: সাংবাদিক