ঘর থেকে বের হয়ে ঘরে ফেরার নিশ্চয়তাও নেই দেশের জনগনের –তারেক রহমান

আপডেট: সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২২
0

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন , ‘আওয়ামীলীগ সরকারের অবৈধ ক্ষমতার প্রহরীদের জন্য ঘর থেকে বের হয়ে ঘরে ফেরার নিশ্চয়তা নেই। ‘ শনিবার সন্ধ্যা ৮টায় বনানীতে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি’র মোমবাতি প্রজ্জলন কর্মসূচি শেষে পুলিশের উপস্থিতিতে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা বিএনপি’র শীর্ষ নেতৃবৃন্দের ওপর হামলার ঘটনায় তিনি এ মন্তব্য করেন। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবীর রিজভী স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ বিবৃতিটি পাঠানো হয়েছে।

শনিবার সন্ধ্যা ৮টায় বনানীতে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি’র মোমবাতি প্রজ্জলন কর্মসূচি শেষে পুলিশের উপস্থিতিতে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা বিএনপি’র শীর্ষ নেতৃবৃন্দের ওপর হামলা চালিয়েছে। হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন বিএনপি জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমানসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ নেতৃবৃন্দ। এছাড়াও ঢাকা আসার পথে মনোহরগঞ্জে বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু’র ওপর নৃশংস হামলা চালিয়ে তাঁকে মারাত্মকভাবে আহত করেছে আওয়ামী গুন্ডাবাহিনী। বরকত উল্লাহ বুলু’র অবস্থা সংকটাপন্ন।

বনানীর হামলার ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য তাবিথ আউয়াল। শিরিন সুলতানা, শামা ওবায়েদ, তাবিথ আউয়াল এবং হেনা আলাউদ্দিন, এ্যাডভোকেট রুনা, মহিলা দলসহ বনানী থানা ছাত্রদল ও বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের শতাধিক নেতাকর্মীকে গুরুতর আহত করা হয়েছে। এধরণের হামলাকে কাপুরুষোচিত আখ্যায়িত করে তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ ও ধিক্কার জানিয়েছেন বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

আজ এক বিবৃতিতে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, “বনানীতে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশের উপস্থিতিতে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে বিএনপি জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান, ঢাকা আসার পথে মনোহরগঞ্জে বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুল এবং তাঁর সহধর্মিনী এবং তাবিথ আউয়ালের ওপর আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলা এবং বনানীতে নেতাকর্মীকে গুরুতর আহত করা কাপুরুষোচিত। বর্তমান কর্তৃত্ববাদী ও নিষ্ঠুর আওয়ামী সরকারের আমলে কারো জীবনেরই কোন নিরাপত্তা নেই, ঘর থেকে বেরিয়ে এসে আবার ঘরে নিরাপদে ফিরতে পারবে কি না সেটির কোন নিশ্চয়তা নেই।

আওয়ামী লীগ সরকার গণবিক্ষোভের ভয়ে বিএনপি’র ওপর পৈশাচিক আক্রমণের মাত্রা বৃদ্ধি করেছে। এই কারণে তারা বিরোধী দলের গণতান্ত্রিক কর্মসূচির ওপর বন্দুকের ভাষা ব্যবহার করছে। আর এই নিষ্ঠুর আক্রমণে শীর্ষ নেতৃবৃন্দসহ তৃণমূলের নেতাকর্মীরাও রেহাই পাচ্ছে না। সহিংস হামলা, গুলিবর্ষণ, মিথ্যা মামলা ও গ্রেফতারের এমনই হিড়িক শুরু হয়েছে যে, সরকার এর মাধ্যমে গণতন্ত্রকেই বন্দী করতে চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত করার পাঁয়তারা করছে। আইন শৃঙ্খলা বাহিনী এখন সরকারের বরকন্দাজ। তারা এখন রাষ্ট্রের বাহিনী নয়, এরা আওয়ামী লীগের অবৈধ ক্ষমতার প্রহরী।

বেগম সেলিমা রহমান, জনাব বরকত উল্লাহ বুল এবং তাবিথ আউয়ালকে গুরুতর আহত করার ঘটনা বর্তমান সরকারের ভয়াবহ দুঃশাসনে আরও একটি মাত্রা যোগ হলো। দানবীয় শক্তির এহেন হিংস্র বহিঃপ্রকাশের বিরুদ্ধে দেশবাসী বিক্ষোভে ফেটে পড়েছে। এই সরকারের বিদায় এখন নিশ্চিত। আমি অবিলম্বে উল্লিখিত বর্বরোচিত ঘটনায় হামলাকারী আওয়ামী সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর আহবান জানাচ্ছি। আহতদের আশু সুস্থতা কামনা করছি।”