চট্টগ্রাম বিভাগে শ্রেষ্ঠ জয়িতা পুরষ্কার পেলেন নোয়াখালীর মহীয়সী নারী সেতারা বেগম

আপডেট: ফেব্রুয়ারি ৮, ২০২৩
0

আজাদ ভুঁইয়া, স্টাফ রিপোর্টার :

চট্টগ্রাম বিভাগের সফল শ্রেষ্ঠ জননী জয়িতা নির্বাচিত হয়েছেন নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার অ্যাডভোকেট মরহুম জয়নুল আবেদিনের স্ত্রী, বেগমগঞ্জ আসনের এমপি আলহাজ্জ মামুনুর রশিদ কিরন ও চৌমুহনী পৌর মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্জ মোঃ খালেদ সাইফূল্যাহর মা মহীয়সী নারী সেতারা বেগম।

বুধবার বিকালে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় থেকে সফল শ্রেষ্ঠ জননীর ক্রেস্ট ও সম্মাননা পুরস্কার দেওয়া হয়। বয়োজ্যেষ্ঠ হওয়ায় মহীয়সী এই নারীর পক্ষে পুরষ্কার গ্রহণ করেন তার বড় সন্তান চৌমুহনী পৌরসভার মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা ও চৌমুহনী পৌর মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা খালেদ সাইফুল্লাহ।

বর্তমান শেখ হাসিনা সরকারের কয়েক বছর ধরে সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রাখা নারীদের খুঁজে বের করে শ্রেষ্ঠ নারী হিসেবে সম্মাননা ও ক্রেস্ট প্রদান করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ, বেগম রোকেয়া দিবস উপলক্ষে মহিলা ও শিশু বিষয়ক অধিদপ্তর, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের উদ্যোগে সমগ্র দেশে পরিচালিত “জয়িতা অন্বেষনে বাংলাদেশ” কার্যক্রমের সফল শ্রেষ্ঠ জননী ” ক্যাটাগরিতে নোয়াখালীর সফল শ্রেষ্ঠ জননী জয়িতা নির্বাচিত হন সেতারা বেগম।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালে যোগ দেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দ্রিরা এমপি। এ সময় মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের সচিব হাসানুজ্জামান কল্লোল, মহিলা ও শিশু বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ফরিদা পারভিন, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার ড.মো: আমিনুর রহমান, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

জানা যায়, সেতারা বেগমের জন্ম ১৯৩০ সালের ১ সেপ্টেম্বর নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলার আলীপুরে। বাবা অ্যাডভোকেট আবুল খায়ের মোস্তফা হায়দার চৌধুরী। মা মরহুমা হুরেন নেসা। ১২ ভাই বোনের মধ্যে তিনি মেঝো। সেতারা বেগমের আট সন্তান। সবাই নিজ নিজ ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত। তাঁর বড় সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ খালেদ সাইফুল্লাহ বর্তমানে চৌমুহনী পৌরসভার মেয়র, মো. হারুনুর রশিদ- বিশিষ্ট শিল্পদ্যোক্তা গ্লোব ফার্মা গ্রুপের চেয়ারম্যান, মামুনুর রশিদ কিরণ- নোয়াখালী-৩ আসনের সংসদ সদস্য। এছাড়াও শহিদ উদ্দিন আলমগীর, আহমেদ হোসেন (পাখি) ও সিরাজুল ইসলাম স্বপন সফল ব্যবসায়ী এবং গ্লোব ফার্মা গ্রুপের পরিচালক। কন্যা নাছিমা আক্তার এবং রাশেদা আক্তার কানন ব্যবসায়ী ও উদ্যােক্তা।

এ বিষয়ে চৌমুহনী পৌরসভার মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ খালেদ সাইফুল্লাহ বলেন, বাবার মৃত্যুর পর আমাদের ভাই-বোনদের সফল মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে মা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। মায়ের ঋণ কখনো শোধ করা যায় না। মা -ই পারেন সন্তানদের সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে। শিশুদের হাতেখড়ি হয় মায়ের হাতেই। সন্তানের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গঠনে মায়ের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মা সন্তানদের জন্য আর্শীবাদ স্বরূপ। মায়ের স্পর্শেই কিন্তু সন্তান ধীরে ধীরে পূর্ণ মানুষ হয়ে ওঠে। পৃথিবীর সব ধর্মেই মায়ের মর্যাদাকে উচ্চাসীন করেছে। ৩৬৫ দিনের প্রতিটি সেকেন্ডেই মনে করতে চাই ‘মা’ শব্দটিকে। প্রথম দিন থেকে জীবনের শেষ পর্যন্ত সন্তানের প্রতি মায়ের ভালোবাসার কোনো পরিবর্তন হয় না। তাই মা ই আমাদের সবচেয়ে বড় প্রেরণা ও অবলম্বন। তিনি আমাদের ভালোবাসার মূর্ত প্রতীক।