প্রতিমা ভাংচুর পরিদর্শনে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ

আপডেট: ফেব্রুয়ারি ৮, ২০২৩
0

মো. জুলফিকার আলী শাহ্, বালিয়াডাঙ্গী, ঠাকুরগাঁও ॥

ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ৩টি ইউনিয়নের বিভিন্ন মন্দিরে প্রতিমা ভাংচুর পদির্শন করেন বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃবৃন্দ।

বুধবার ৭ ফেব্রুয়ারি দুপুরে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার পাড়িয়া, চাড়োল ও ধনতলা ইউনিয়নের বিভিন্ন পুজামন্ডপ পরিদর্শন করতে আসেন বিনএপি’র নেতাকর্মীবৃন্দ। কিন্তু বিএনপি’র নেতাকর্মীদের পরিদর্শনে আসার আগেই সব ভাংচুর করা প্রতিমা বিসর্জন দিয়েছেন মন্দির কমিটি। শূন্য মন্দির পরিদর্শন করে এলাকাবাসীর সাথে দীর্ঘক্ষণ আলাপ আলোচনা করেন।

বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ্ বুলুর নেতৃত্বে পরির্দশনে আসেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান কল্যাণ ফ্রন্টের মহাসচিব এসএন তরুন দে, যুগ্ম মহাসচিব মিল্টন বৈদ্য, ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সাল আমিন, সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নুর করিম, ওবাইদুল্লাহ্ মাসুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক জাফরুল্লাহ্, বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি এ্যাড. সৈয়দ আলম, সাধারণ সম্পাদক ড. টি.এম মাহবুবর রহমান সহ বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ ও সহযোগী নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

বুধবার দুপুরে কেন্দ্রীয় নেতাকর্মীরা উপজেলা বিএনপি’র কার্যালয়ে এসে দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাত করে চাড়োল ইউনিয়নের সাবাজপুর গ্রামের নাথপাড়া মন্দির, পাড়িয়া ইউনিয়নের জাউনিয়া বসাক পাড়া মন্দির এবং ধনতলা ইউনিয়নের সিন্দুরপিন্ডি মন্দির পরিদর্শন করেন।

সিন্দুরপিন্ডি হরিবাসর মন্দিরের সভাপতি যতীন্দ্র নাথ সিংহ সহ এলাকার হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকদের সাথে দীর্ঘক্ষণ আলোচনা করেন এবং ঘটনাস্থল থেকে ফিরে আসেন।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ্ বুলু বলেন, গত ১০ বছরে হিন্দু সম্প্রদাযের উপর হামলা ও মন্দির ভাংচুরের ঘটনার কোন সুষ্ঠ বিচার হয়নি। এজন্যই এ ধরনের ঘটনা পুনরাবৃত্তি হচ্ছে। এ ঘটনায় যারা জড়িতদের বের করে শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানান তিনি।

উল্লেখ গত ৫ ফেব্রুয়ারি রাতে দুস্কৃতিকারীরা বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার পাড়িয়া ইউনিয়নে ৩ টি, ২নং চাড়োল ইউনিয়নে ১ টি ও ৩ নং ধনতলা ইউনিয়নে ৮ টি পুজা মন্ডপে মোট ১৪ টি মূর্তি ভাংচুর করছে।

এলাকাবাসীর অভিযোগ গভীর রাতে এই জঘন্য কাজ করেছে। তারা সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টির লক্ষে হয়তো এ কাজ করেছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। ঐ দিনই দুপুরে ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক মাহবুবুর রহমান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিপুল কুমার, উপজেলা চেয়ারম্যান আলী আসলাম জুয়েল, বালিয়াডাঙ্গী থানার ওসি খায়রুল আনাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

এ বিষয়ে ঘটনার দিন বিকালে সিন্দুরপিন্ডি হরিবাসর পরিচালনা কমিটির সভাপতি যতীন্দ্র সিংহ বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। এ পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি বলে জানিয়েছেন বালিয়াডাঙ্গী পুলিশ।

তারিখ: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ খ্রি.
মো. জুলফিকার আলী শাহ্
বালিয়াডাঙ্গী, ঠাকুরগাঁও
০১৭২২০৭১৭৮৫