চরফ্যাশনের সিঁদেল চুরির উৎপাতে অতিষ্ট গ্রামবাসী

আপডেট: জানুয়ারি ৭, ২০২২
0
file photo


#চোরপাহাড়ায় নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে স্থানীয়রা
# দু‘চোর গ্রেফতার হলেও দেয়া হচ্ছে হুমকী

চরফ্যাশন(ভোলা) প্রতিনিধি
চরফ্যাশনে চোরের উপদ্রব অতিষ্ট হাজারীগঞ্জ গ্রামবাসী। প্রতিনিয়ত ঘটছে চুরির ঘটনা। চোর চক্র বসত ঘরে সিঁদ কেটে লুটে নিচ্ছে গৃহস্থের মালামাল স্বর্ণলংকার টাকা পয়সা। ওই চোর চক্রের বিরুদ্ধে মামলা করে বিপাকে পরেছেন হাজারীগঞ্জ ইউনিয়নের বাসিন্দারা। চোর চক্রের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা তুলে নিতে চোর চক্রের হুমকি ধামকিতে নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে একাধিক ভুক্তভোগী পরিবার। প্রসাশনের সঠিক নজরদারী না থাকায় গ্রামে গ্রামে সিঁদেল চুরির ঘটনাছে বলে দাবী এলাকাবাসীর। সিঁদেল চোরের উৎপাত আতংকে রয়েছে ওই এলাকার হাজার হাজার মানুষ। ওই গ্রাম বাসী এখন নিঘূম রাত ঝাপন করছে।
শুক্রবার সরেজমিন দিয়ে জানাযায়, উপজেলার শশীভূষণ থানার হাজারীগঞ্জ ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের আনছল হক বয়াতির তিন ছেলে সজিব, মাগরিব ও শাখাওয়াত ওই থানা এলাকায় সিঁদেল চোরের গ্যাং নামে পরিচিত। স্থানীয় প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় থেকে সিঁদেল চোরের গ্যাংদের পরিচালনা করেন তারা। পাশাপাশি একই পরিবারের তিন ভাই সুযোগ বুঝে সিঁদ কেটে গৃহস্থের বসত ঘর চুরির কাজ। একাধিক বার গৃহস্থের হাতে ধরা খেলেও প্রভাবশালীদের হস্তক্ষেপে ছাড়া পেয়ে যান তারা। গত ১৪ ডিসেম্বর রাতে হাজারীগঞ্জ ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের মৃত সুলতান মুনসীর বাড়িতে দূধর্ষ সিঁদেল চুরি সংঘটিত হয়। গৃহস্থের ঘরের স্বর্নলংকার টাকা পয়সা লুটে নিয়ে যাওয়ার সময় গৃহহস্থ তাদের দেখে ফেলেন। লুটে নেয়া চোরাই মালামাল নিয়ে বীরদর্পে পালিয়ে যান ওই চক্রের হোতা সজিব, মাগরিব ও শাখাওয়াত। এঘটনায় পরের দিন গৃহমালিক সুমন কাজী ওই চোর চক্রের বিরুদ্ধে শশীভূষণ থানায় মামলা দয়ের করেন। থানা পুলিশ চোর চক্রের প্রধান দুই সদস্য সজিব ও মাগরিবকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে পাঠালেও থেকে থেমে থাকেনি চুরির ঘটনা।
মামলার বাদী সুমন কাজী অভিযোগ করেন, গত ১৪ ডিসেম্বর গভীর রাতে বসত ঘরের ভিটিতে সিঁদ কেটে চোর চক্রের মূলহোতা সজিব, মাগরিব, শাখাওয়াত তার ঘরে থাকা কয়েটি মোবাইল নগদ ৬৫ হাজার টাকাসহ গ্রায় দুই লক্ষ টাকার মালামাল লুটে নেয়। সুকেসের ড্রয়ার ভাংঙ্গার শব্দে তার ঘুম ভেঙ্গে গেলে তাদেরকে ধরার চেষ্টা করেন। কিন্তু ওই চোর চক্র তাদেরকে হত্যার ভয় দেখিয়ে লুটে নেয়া মালামালসহ বীরদর্পে পালিয়ে যান। ঘটনার পরের দিন তিনি বাদী হয়ে শশীভূষণ থানায় চোর চক্রের মূলহোতা সজিবসহ এজাহার নামীয় ৩ জন ও অজ্ঞাত নামা আরো তিন জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর শশীভূষণ থানা পুলিশ সজিব ও মাগরিবকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হলেও অপর আসামীরা রয়েছে অধরা। ওই চোর চক্রের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের পর তার দায়ের করা মামলা তুলে নিতে চোরের পরিবার ও চোর চক্রের অব্যাহত হুমকিতে নিরাত্তাহীনতায় রয়েছে তার পরিবার। সুমন কাজী ছাড়াও একই ভাবে চোর চক্রের সদস্যদের থাবা থেকে রক্ষা পাননি ওই গ্রামের রশির উল্লাহ, মোঃ কবির হোসেন,মোস্তাফিজ, নাসিমা বেগমসহ এলাকায় প্রায় ২০টি পরিবার।
থানা সুত্রে জানাযায়,গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে চরফ্যাশনের উপজেলার বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। চোর চক্রের সদস্য মোঃ মাগরিবের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা রয়েছে।ওই মামলাটি সিআইডিতে তদন্তাাধীন ছিলো। তাকে গ্রেপ্তারের পর সিআইডি তার বিরুদ্ধে সোন এরেস্ট দেখিয়েছেন।
শশীভূষণ থানার ওসি মিজানুর রহমান পাটোয়ারী জানান, সিঁদেল চোরের উপদ্রব রুখতে পুলিশে অভিযান অব্যহত রয়েছে সম্প্রতি সময়ে শশীভূষণ থানা পুলিশ একাধিক চোরকে গ্রেপ্তার করে হাজতে পাঠিয়েছে। ১৭ ডিসেম্বর হাজারীগঞ্জ ইউনিয়নের সুমন কাজীর দায়ের করা মামলায় চোর চক্রের দুই আসামী সজিব ও মাগরিবকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।