চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদকের চেয়ার আপাতত শূন্য থাকবে—সুপ্রিম কোর্টের সিদ্বান্ত

আপডেট: ফেব্রুয়ারি ৯, ২০২২
0

চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদকের চেয়ার আপাতত শূন্য থাকবে। আজ (বুধবার) সুপ্রিম কোর্টের এক সিদ্বান্তের পর কেউই এখন ঐ চেয়ারে বসতে পারবেন না।

চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে ভোটে জয়ী সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত স্থগিত করার যে নির্দেশ হাইকোর্ট দিয়েছিলো তা স্থগিত করেছে সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার জজ আদালত।

জায়েদ খানের আইনজীবী আহসানুল করিম বিবিসিকে জানিয়েছেন আদালত বলেছে যে ১৩ই ফেব্রুয়ারি শুনানি না হওয়া পর্যন্ত সমিতির সাধারণ সম্পাদকের চেয়ারে কেউ বসতে পারবে না।

“কোর্ট (সু্প্রিম) বলেছে যে হাইকোর্ট যে স্টে (স্থগিতাদেশ) দিয়েছিলো তা স্থগিত থাকবে, ” বিবিসি বাংলাকে বলেন তিনি।

এর আগে গত সাতই ফেব্রুয়ারি জায়েদ খান তার প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রিট করলে এক সপ্তাহের জন্য তা স্থগিত করার নির্দেশ দিয়েছিলো হাইকোর্ট। একই সঙ্গে একটি রুল জারি করে হাই কোর্ট নিপুন আকতারের সাধারণ সম্পাদক পদ স্থগিত করে।

হাইকোর্টের ওই নির্দেশের কারণে শিল্পী সমিতির নির্বাচনী আপীল বোর্ডের জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত এবং নিপুন আকতারের সাধারণ সম্পাদক পদ স্থগিত হয়ে যায়।

হাই কোর্ট ১৩ই ফেব্রুয়ারি পরবর্তী শুনানির তারিখ নির্ধারণ করে বলেছিল তার আগ পর্যন্ত জায়েদ খান সাধারণ সম্পাদক পদে থাকবেন।

এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে চেম্বার জজের আদালতে যান নির্বাচনের নয় দিন পর নির্বাচনী আপিল বোর্ডের রায়ে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হওয়া নিপুন আকতার।

চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির এবারের নির্বাচনটি হয় আটাশে জানুয়ারি এবং নির্বাচনের আগে প্রচার প্রচারণার সময়ে উত্তপ্ত হয়ে পড়ে চলচ্চিত্র অঙ্গন। শেষ পর্যন্ত সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে ব্যাপক নাটকীয়তার পর ইস্যুটি আদালতে গড়ায় নির্বাচনী আপিল বোর্ডের সিদ্ধান্ত আসার পর।

ভোটে জায়েদ খান সাধারণ সম্পাদক পদে জয়ী হলেও নির্বাচনের দিন থেকেই তার বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ এনেছিলেন নিপুণ আকতার।

এর প্রেক্ষাপটে সরকারের সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে এক নির্দেশনা আসলে আপিল বোর্ড ৫ই ফেব্রুয়ারি অভিযোগগুলো নিয়ে এফডিসিতে বৈঠকে বসে। সে বৈঠকের পর আপিল বোর্ডের প্রধান চলচ্চিত্র পরিচালক সোহানুর রহমান সোহান জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিল করে নিপুণ আকতারকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করেন।

পরদিনই নির্বাচনে ভোটে বিজয়ী সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন ও আপিল বোর্ড কর্তৃক নির্বাচিত ঘোষিত সাধারণ সম্পাদক নিপুন আকতারসহ নব নির্বাচিতরা শপথ গ্রহণ করেন।

শপথের পরদিনই আপিল বোর্ডের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে যান জায়েদ খান।