চারঘাটের শহীদ শিবলী সরণি নামফলক এখন অবহেলায়

আপডেট: এপ্রিল ১৩, ২০২১
0

আবু সুফিয়ান,চারঘাটঃ

রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার পল্লী বিদ্যুৎ মোড় থেকে বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমীর সোয়ালোজ গেটে যাওয়ার সড়কটির কাগুজে নাম শহীদ শিবলী সরণি। পল্লী বিদ্যুৎ মোড়ে প্রধান সড়কের পাশে এর একটি নামফলক রয়েছে।

১৩ এপ্রিল চারঘাট গণহত্যা দিবসের দিনে সরেজমিন দেখা যায়, পলেস্তারা উঠে ভেঙে যাওয়া ফলকটির সাথেই কসাইখানা স্থাপন করা হয়েছে। সাধারণ মানুষের দেখে বোঝার উপায় নেই, এটি একটি শহীদ সরণী সড়কের নামফলক।

পৌরসভার উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে এই শহীদ শিবলী সরণী সড়কেও। তবে শহীদ শিবলীর স্মৃতি সংরক্ষণে নেওয়া উদ্যোগটি বর্তমানে মুখ থুবড়ে পড়েছে। এখনো এই সড়ক শহীদ শিবলীর নামে সাধারণ মানুষের কাছে পরিচিতি পায়নি। নামফলকের এখন অস্তিত্ব নেই বললেই চলে।

জানা যায়, ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র এই খুরশীদ আলম শিবলী থানাপাড়ার একজন সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তান। যাকে পাক বাহিনী ধরে পাকিস্থান জিন্দাবাদ বলার জন্য বেয়নেট চার্জ করে। এমনকি তার শরীরের চামড়া ছিলে লবণ দিয়ে পাকিস্থান জিন্দাবাদ বলানোর চেষ্টা করা হয়। শত নির্যাতন করা সত্বেও পাক হায়েনারা শিবলীর মুখ থেকে জয় বাংলা ছাড়া কোন শব্দ বের করতে পারেনি। অত:পর শিবলীকে নির্মমভাবে হত্যা করে।

শিবলী যেন এক জীবন্ত কিংবদন্তি। তার নির্মম ও রোমহর্ষক হত্যাকান্ডের কথা শুনতে ও সমবেদনা জানাতে বিভিন্ন এলাকা থেকে বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষ থানাপাড়ায় তার বাড়িতে ভিড় জমায়। ১৩ই এপ্রিল প্রতি বছর থানাপাড়াবাসীকে স্মরণ করিয়ে যেদ ৭১’ সালের ভয়াবহ দিনগুলোর কথা। মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) ছিল সেই ঐতিহাসিক চারঘাট গণহত্যা দিবস।

চারঘাট মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার ইয়াসিন আলী বলেন, শহীদ শিবলীর স্মৃতি ধরে রাখার জন্য সড়কের নামকরণ করা হয়েছিল। রাস্তার নামকরণের মাধ্যমে এ দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম ইতিহাস জানতে পারবে। কিন্তু নামকরণের ফলক অবহেলায় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। নতুন করে নামফলক স্থাপনের দাবি জানান তিনি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে চারঘাট পৌরসভার সচিব রবিউল ইসলাম বলেন, পৌরসভায় রাস্তাঘাটের উন্নয়ন কাজ চলমান আছে। আগামী পরিষদে আলোচনা করে শহীদ সরণী সড়কের নামফলক গুলো সংরক্ষণেও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।