চুয়েটে যথাযথ মর্যাদায় ‘শেখ রাসেল দিবস’ উদযাপন ও ‘শেখ রাসেল কর্ণার’-এর উদ্বোধন

আপডেট: অক্টোবর ১৮, ২০২২
0

চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এ যথাযথ মর্যাদায় শেখ রাসেল দিবস-২০২২ উদযাপিত হয়েছে। আজ ১৮ অক্টোবর (মঙ্গলবার) ২০২২ খ্রি. সকাল ১১.৩০ ঘটিকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিল কক্ষে এক আলোচনা সভা আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন চুয়েটের মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম। চুয়েটে জাতীয় দিবস উদ্যাপন কমিটির সভাপতি ও ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন সুনীল ধর, পুরকৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. মইনুল ইসলাম, তড়িৎ ও কম্পিউটার কৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মশিউল হক, স্থাপত্য ও পরিকল্পনা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল হাছান। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন স্টাফ ওয়েলফেয়ার কমিটির সভাপতি ও চুয়েট বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. জামাল উদ্দিন আহম্মদ, শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. আবু সাদাত মুহাম্মদ সায়েম, কর্মকর্তা সমিতির দপ্তর সম্পাদক জনাব মো. রুবেল মাহমুদ ও স্টাফ এসোসিয়েশনের সভাপতি জনাব মো. জামাল উদ্দিন। আলোচনার শুরুতে শেখ রাসেল দিবসের উপর প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করেন উপ-পরিচালক (তথ্য ও প্রকাশনা) জনাব মোহাম্মদ ফজলুর রহমান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সহকারী পরিচালক (তথ্য ও প্রকাশনা) জনাব মুহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানিত শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে শেখ রাসেল ও ১৫ই আগস্টে শাহাদাতবরণকারী বঙ্গবন্ধু পরিবারের শহিদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন চুয়েট কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ক্বারী নুরুল্লাহ। এর আগে শেখ রাসেল দিবস-২০২২ উপলক্ষ্যে শেখ রাসেলের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম।

অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, “শেখ রাসেল একটি নিষ্পাপ ও প্রাণচঞ্চল শিশুর প্রতিচ্ছবি। বর্তমানে আমরা ডিজিটাল প্রযুক্তির সুবিধা ভোগ করছি। আমাদের শিশুরা যে পরিবেশে বেড়ে উঠছে তাতে যেন এই ডিজিটাল প্রযুক্তি সহায়ক ভূমিকা রাখে। প্রযুক্তি যেন তাদের প্রতিভা বিকাশের অন্তরায় না হয়। আজকের শেখ রাসেল দিবসে আমরা সেই প্রত্যাশা করি।” চুয়েট ভিসি আরও বলেন, “স্বাধীনতার ইতিহাসকে এদেশের কিছু প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠী স্তব্ধ করে দিতে চেয়েছিল। ঘাতকদের হাত থেকে বঙ্গবন্ধুর নিষ্পাপ শিশুটি পর্যন্ত রেহাই পায়নি। আমি বঙ্গবন্ধু পরিবারের খুনী বাকি সদস্যদের দ্রুত বিচারের দাবি জানাচ্ছি।” পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে বৃক্ষরোপণ করা হয়।

এদিকে চুয়েটের শেখ রাসেল হলে “শেখ রাসেল কর্ণার” চালু করা হয়েছে। সকাল ১১.০০ ঘটিকায় উক্ত কর্ণারের শুভ উদ্বোধন করেন চুয়েটের মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম। পরে শেখ রাসেলের ৫৯তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে হলের আবাসিক শিক্ষার্থীদের সাথে নিয়ে কেক কাটা হয়। এ সময় ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম, শেখ রাসেল হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মো. রিয়াজ আকতার মল্লিকসহ বিভিন্ন অনুষদের ডিনবৃন্দ ও হলের সহকারী প্রভোস্টগণ উপস্থিত ছিলেন। কর্ণারটিতে শেখ রাসেলের জীবনী ও পারিবারিক ছবি, বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের উপর বিভিন্ন গ্রন্থাবলি, শেখ রাসেল সম্পর্কে বঙ্গবন্ধুর বিভিন্ন আবেগময় উক্তি ও শিক্ষার্থীদের জন্য পড়ার ব্যবস্থা রয়েছে।