ছাতকে শিক্ষার্থীদের টিকাদানে বিশৃংখলা

আপডেট: ডিসেম্বর ২৮, ২০২১
0
file photo

ছাতক প্রতিনিধি:
সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার শিক্ষার্থীদের টিকাদানে চরম বিশৃংখলা লক্ষ্য করা গেছে। উপজেলার ৭৮ টি শিক্ষা প্রতিষ্টানে সরকারী ভাবে ৩টি কেন্দ্রে ৫দিন ব্যাপী ফাইজার কোম্পানীর কোভিট-১৯ এর টিকা বিনামুল্যে প্রদান করা হয়েছে। তবে টিকাদানে শিক্ষা প্রতিষ্টানে গিয়ে ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সী শিক্ষার্থীরা প্রতিষ্টান গুলোতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। অনেক শিক্ষার্থী ঘন্টার পর ঘন্টা লাইনে টিকা দিতে না পেরে বাড়ী ফিরতে দেখা গেছে। এই ভোগান্তির জন্য অভিভাবকরা টিকা শিক্ষকদের দায়ী করেছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ২৬ ডিসেম্বর থেকে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত উপজেলার ছাতক সরকারী বহুমুখী মডেল উচ্চ বিদ্যালয়, গোবিন্দগঞ্জ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় ও জাউয়াবাজার কলেজে টিকা প্রদানের জন্য কেন্দ্র নির্ধারন করা হয়। উপজেলার ৭৮টি শিক্ষা-প্রতিষ্টানের প্রায় ৩৯ হাজার শিক্ষার্থীদের টিকা প্রদানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগ। সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত কেন্দ্র গুলোতে টিকা প্রদান করার কথা থাকলেও শিক্ষার্থীদের চাঁপে সন্ধ্যার পরও টিকা দিতে দেখা গেছে।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ছাতক সরকারী বহুমুখী মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা গেছে, বিদ্যালয়ের সামনে কয়েক শতাধিক ছেলে-মেয়ে টিকা প্রদানের জন্য দাড়িয়ে আছে। এর মধ্যে লাইনে দাড়ানোর নিয়ে চলছে হট্রগোল। ভেতরে ৫টি বুথে দেওয়া হচ্ছে টিকা। বিদ্যালয়ের মাঠে উপস্থিত একাধিক অভিভাবকরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, শিক্ষার্থীদের টিকা প্রদানে শৃংখলা নেই। অনেক শিক্ষার্থীরা টিকা দিতে না পেরে বাড়ী ফিরে যাচ্ছে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মঈনুল হোসেন চৌধুরী বলেন, এখানে শৃংখলা বজায় রাখতে আমার প্রতিষ্টানের ১৭ জন স্কাউট ও বিএনসিসি সদস্যদের চরম হিমশিম খেতে হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্টানের শিক্ষকরা নিজেদের ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ন্ত্রণ করতে না পারায় বিশৃংখলা হচ্ছে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা পুলিস চন্দ্র রায় বলেন, ফাইজার কোম্পনীর কোভিট-১৯ টিকা গুলো ১৭ ডিগ্রী তাপমাত্রায় সংরক্ষণে রাখতে হয়। তাই যে সব কেন্দ্রে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রনের ব্যবস্থা রয়েছে শুধু ওই সকল কেন্দ্রে টিকা প্রদানের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

আমিনুল ইসলাম হিরন
ছাতক, সুনামগঞ্জ।
তাং-২৮.১২.২০২১