ছাতকে সেই আলোচিত মাদ্রাসা শিক্ষক আটক

আপডেট: নভেম্বর ১৭, ২০২১
0

ছাতক সংবাদদাতা :

সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার হাজি ইউসুফ আলী হাফিজিয়া এতিমখানা দাখিল মাদরাসায় দুই শিশু শিক্ষার্থীকে বেধড়ক মারধরের ঘটনায় সেই মোহতামিম (অধ্যক্ষ) মাওলানা আবদুল মুকিতকে (৪০) আটক করেছে পুলিশ।

আজ বুধবার (১৭ নভেম্বর) সকালে ছাতক উপজেলার গোবিন্দগঞ্জ পয়েন্ট থেকে তাকে আটক করা হয়। আটক হওয়া অভিযুক্ত মাওলানা আবদুল মুকিত হাজি ইউসুফ আলী হাফিজিয়া এতিমখানা দাখিল মাদরাসার মোহতামিম (অধ্যক্ষ) ছিলেন। তিনি উপজেলার রহমতপুর গ্রামের বাসিন্দা।

শিশু শিক্ষার্থীদের নির্যাতনের ঘটনা ফেসবুকে ভাইরাল হলে গত নভেম্বর মাসের ২৫ তারিখ তাকে মাদরাসা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এরপর থেকেই তিনি পলাতক ছিলেন।

পুলিশ জানায়, গত কয়েক দিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয় ওই মাদরাসার অধ্যক্ষ এতিম দুই শিশুকে বেধরকভাবে মারধর করছেন। পরে এই ঘটনায় তাকে অভিযুক্ত দেখিয়ে পুলিশ তাকে আটক করে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ছাতক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, আটককৃত মাওলানা আবদুল মুকিতকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া দুই মিনিট দুই সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে দেখা যায়, পাজামা-পাঞ্জাবি পরা তিন শিক্ষার্থী দাঁড়িয়ে আছে। ওই মাদরাসা মোহতামিম (অধ্যক্ষ) মাওলানা আবদুল মুকিত তাদের মধ্যে এক শিশুর দুই হাতে স্টিলের স্কেল দিয়ে বারবার আঘাত করছেন।

ভিডিওতে আরও দেখা যায়, স্টিলের স্কেলের পিটুনি খেয়ে শিশুটি উচ্চকণ্ঠে ‘হুজুর আর ইতা করতাম না হুজুর’, ‘আর ইতা করতাম না’ বলে চেঁচিয়ে কাঁদছে। তবে এরপরেও শিশুটির শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করতে থাকেন ওই অধ্যক্ষ। একপর্যায়ে শিশুটি অধ্যক্ষের পায়ে ধরে। পরে স্টিলের স্কেল দিয়ে ওই শিক্ষক তাকে মারতে থাকেন।

তার আগে আরও দুই শিশু শফিউর ও নিলয়কেও পেটানো হয়। শিশুদের পেটানো ছাতক উপজেলার হাজি ইউসুফ আলী হাফিজিয়া এতিমখানা দাখিল মাদরাসার মোহতামিম (অধ্যক্ষ) মো. আবদুল মুকিত কয়েক বছর আগে ওই মাদরাসায় নিয়োগ পান। অভিযোগ উঠেছে নিয়োগের পর থেকে তিনি প্রায়ই শিশুদের মারধর করতেন।