ছাত্রশিবিরের মাসব্যাপী বৃক্ষরোপণ অভিযান ঘোষণা

আপডেট: জুন ২৬, ২০২৩
0

২৫ জুন থেকে ২৪ জুলাই পর্যন্ত মাসব্যাপী বৃক্ষরোপণ অভিযান-২০২৩ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশে ইসলামী ছাত্রশিবির।

এ উপলক্ষ্যে রাজধানীতে কর্মসূচির উদ্বোধন ও ছাত্রদের মাঝে গাছের চারা বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ছাত্রশিবির। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সভাপতি রাজিবুর রহমান। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে কেন্দ্রীয় সভাপতি বলেন, “প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই ছাত্রশিবির একটি সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশে গড়ার জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। পথচলার ৪৬ বছরে দেশ গড়ার কাজের মাধ্যমে জনতার প্রিয় সংগঠনে পরিণত হয়েছে। জাতীয় যেকোনো প্রয়োজনে ছাত্রশিবির অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। প্রতি বছরের মতো এ বছরও ছাত্রশিবির মাসব্যাপী বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। প্রত্যেক জনশক্তিকে এ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। একটি সবুজ দেশ গড়তে, সবুজ বিপ্লব করতে ছাত্রশিবিরের এ কর্মসূচিতে সর্বস্তরের ছাত্রজনতাকে সম্পৃক্ত হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। এজন্য আমরা সকল মহলের সহযোগিতা চাই।”

তিনি আরো বলেন, একটি দেশের পরিবেশের ভারসাম্যে রক্ষায় ২৫ ভাগ বনায়ন প্রয়োজন। কিন্তু বাংলাদেশে আছে মাত্র ১৭ ভাগ। সুতরাং ২৫ ভাগ বনায়ন নিশ্চিত করতে হবে। আর তা সম্ভব হবে সকলের অংশগ্রহণ ও সহযোগিতায়। শঙ্কার বিষয় হলো—রাজধানী ঢাকার নাম পৃথিবীর শীর্ষ দূষিত শহরের তালিকায় বারবার আসছে। এজন্য ছাত্রশিবির এ বছর শুধু ঢাকা শহরেই ৫০ হাজার বৃক্ষরোপণের উদ্যোগ নিয়েছে। শহর রক্ষার মূল দায়িত্ব সরকারের। কিন্তু সম্প্রতি দেশবাসী দেখেছে ঢাকা সিটি দক্ষিণের মেয়র শহরের পুরাতন গাছগুলো কেটে ফেলার মাধ্যমে শহরকে ধ্বংসের খেলায় নেমেছেন। গাছ কেটে যারা পরিবেশ বিপর্যয় ঘটাতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আমরা সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”

জনশক্তিদের এ কর্মসূচিতে সক্রিয় অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়ে তিনি মাসব্যাপী বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির শুভ উদ্বোধন করেন।

উল্লেখ্য, কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে :

 প্রত্যেক জনশক্তি ১টি করে ফলজ, বনজ ও ঔষধি গাছের চারা রোপণ করবেন।

 প্রত্যেক জনশক্তি সাধারণ ছাত্রদের মাঝে ২টি করে গাছের চারা বিতরণ করবেন।

 প্রত্যেক সাংগঠনিক থানা শাখার পক্ষ থেকে ১০০টি করে গাছের চারা রোপণ ও বিতরণ নিশ্চিত করা হবে।

 ঢাকা ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকায় ৫০ হাজার বৃক্ষরোপণ করা হবে।

 বৃক্ষ নিধন রোধ ও বৃক্ষরোপণের ব্যাপারে জনসচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হবে।

 শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও মসজিদের আঙিনায় গাছের চারা রোপণ করা হবে।

 নদী ভাঙনসহ যেকোনো ভাঙন রোধে এবং বেড়িবাঁধে পরিকল্পিতভাবে গাছ লাগানোর উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।

 বিগত বছরের রোপিত চারাগাছের পরিচর্যা করা হবে। ছাত্রশিবিরের শহীদের নামে তৈরিকৃত বাগানসমূহ পরিচর্যা ও নতুন গাছ লাগানোর বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।

 গাছের চারা রোপণের পর তার সুরক্ষা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় তত্ত্বাবধান চালানো হবে।

 কেন্দ্রীয় সংগঠনের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ বৃক্ষরোপণকারী ১০ জন শিক্ষার্থীকে ‘পরিবেশ বন্ধু অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান করা হবে।