জনঘনত্বের বিচারে ওয়ার্ডভিত্তিক উন্নয়নকে মহাপরিকল্পনায় প্রাধান্য দেওয়া হবেঃ ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস

আপডেট: আগস্ট ১৭, ২০২১
0

জনঘনত্বের বিচারে ওয়ার্ডভিত্তিক উন্নয়নকে মহাপরিকল্পনায় প্রাধান্য দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ঢাদসিক) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।

আজ মঙ্গলবার (১৭ অগাস্ট) নগর ভবনের মেয়র হানিফ অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত কর্পোরেশনের দ্বিতীয় পরিষদের ৯ম বোর্ড সভায় ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস এই তথ্য জানান।

ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, “আমরা ৩০ বছর দীর্ঘ-মেয়াদী যে মহাপরিকল্পনা প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেছি, সেই কার্যক্রম আমরা আরম্ভ করেছি। এরই মাঝে পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে এবং তারা প্রাথমিক কার্যক্রমও আরম্ভ করেছে। আমরা সেই মহাপরিকল্পনায় ওয়ার্ডভিত্তিক উন্নয়নকে প্রাধান্য দেবো। এলাকার চাহিদা নির্ধারণ করে এবং জনঘনত্বকে বিবেচনায় নিয়ে ওয়ার্ডভিত্তিক উন্নয়নকে আমাদের মহাপরিকল্পনার আওতায় আনা হবে।”

শীঘ্রই কাউন্সিলরদেরকে নিয়ে মহাপরিকল্পনা প্রণয়নে চুক্তিকৃত পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের সাথে বৈঠক করা হবে জানিয়ে ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, “ঢাকা শহরে যে সকল সরকারি সংস্থা কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে তাদেরকে নিয়ে ইতোমধ্যে পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের সাথে আমরা একটি মতবিনিময় সভা করেছি। আপনাদেরকে নিয়েও একটি মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হবে। সেখানে আপনারা আপনাদের সুচিন্তিত মতামত দেবেন, আপনার এলাকার উন্নয়নকে তুলে ধরবেন, আপনাদের চাহিদা তুলে ধরবেন।”

সময় অন্যান্য বছরের তুলনায় ঢাকাবাসীকে জলাবদ্ধতার কবলে নাজেহাল হতে হয়নি জানিয়ে ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, “আমরা লক্ষ্য করেছি, এর আগের বছরগুলোতে ঢাকা শহর অল্প বৃষ্টিতেই প্লাবিত হয়ে যেতো। এ বছর পুরো শ্রাবণ মাস জুড়ে থেমে থেমে বৃষ্টি হয়েছে। আষাঢ় মাসের প্রথম দিকে যে অতি ভারী বৃষ্টি হয়েছে, তখন কয়েক ঘণ্টার জন্য জলমগ্নতা হয়েছিল। কিন্তু সামগ্রিকভাবে যদি আমরা দেখি, তাহলে এই বছরে অন্যান্য বছরের তুলনায় জলাবদ্ধতার প্রকোপ থেকে ঢাকাবাসীকে মুক্ত রাখতে পেরেছি। আমাদের সামগ্রিক কর্মপরিকল্পনা ও আল্লাহর রহমতে জলাবদ্ধতা হতে ঢাকাবাসীকে মুক্তি দিতে আমাদের এই তুলনামূলক সফলতা এসেছে। আমি আশাবাদী, আপনাদের কর্মতৎপরতায় আগামী দিনে আমরা আরও বেশি সফল হবো।”

এ সময় ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস এডিস মশার উৎসস্থল ধ্বংস করতে কাউন্সিলরদের চলমান সার্বিক তৎপরতার প্রশংসা করেন এবং ঢাকাবাসীকে ডেঙ্গুর প্রকোপ হতে মুক্তি দিতে আরও জোরদার করার আহবান জানান।

বোর্ডসভায় করপোরেশনের কাউন্সিলরবৃন্দ ছাড়াও অন্যান্যের দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. শরীফ আহমেদ, প্রধান প্রকৌশলী রেজাউর রহমান, সচিব মো. আকরামুজ্জামান, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল হক, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাবৃন্দ, করপোরেশনের বিভিন্ন বিভাগের দপ্তর প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন।