গাজীপুর প্রতিনিধিঃ গাজীপুরের টঙ্গীতে বিয়ে উৎসবের রাতে এক নববধূকে তার স্বামী ও ননদের স্বামী শ্বাসরোধে খুন করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সোমবার বিকেলে পুলিশ তালাবদ্ধ কক্ষ থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করেছে। মহানগরীর টঙ্গী পশ্চিম থানাধীন দাড়াইল বটতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতের নাম- পারুল আক্তার (৩০)। তিনি টঙ্গী পশ্চিম থানাধীন দাড়াইল বটতলা এলাকার আহমেদ আলীর মেয়ে।
পুলিশ, এলাকাবাসি ও নিহতের স্বজনরা জানান, গত ৩/৪ মাস আগে ঢাকার শাহআলী থানাধীন মীরপুর-১ এর মনসুরাবাদ রোডের নুরুল হক মল্লিকের ছেলে শান্ত মল্লিক (৩৭) ভালবেসে বিয়ে করেন পারুল আক্তারকে। শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) তাদের বিয়ে রেজিষ্ট্রি হয়। এ উপলক্ষ্যে রবিবার মধ্যরাত পর্যন্ত কণের বাড়ি টঙ্গীতে উৎসব চলে। উৎসব অনুষ্ঠান শেষে রাতে পারুল তার স্বামী ও স্বামীর ভগ্নিপতি (ননদের স্বামী)সহ বাড়ির লোকজন ঘুমাতে যায়।
পরদিন সোমবার বিকেল পর্যন্ত নবদম্পতির সাড়াশব্দ না পেয়ে তাদেরকে ডাকাডাকি করে পারুলের ভাগ্নে আকাশ। এসময় ঘরের দরজা বাহির থেকে তালাবদ্ধ ছিল। এতে সন্দেহ হলে স্বজনরা জানালা দিয়ে উঁকি দিয়ে পারুলকে বিছানার উপর পড়ে থাকতে দেখে। পরে তারা তালা খুলে ভিতরে প্রবেশ করে পারুলকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান।
জিএমপি’র উপ পুলিশ কমিশনার ইলতুৎমিশ জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠায়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, স্বামী ও স্বামীর ভগ্নিপতি ওই মধ্যরাত থেকে সোমবার বিকেলের মধ্যে কোন এক সময় বালিশ চাপা দিয়ে বা গলাটিপে শ্বাসরোধে নববধূ পারুলকে হত্যা করে। পরে নিহতের লাশ ঘরে রেখে দরজায় তালা লাগিয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় তারা।