নতুন নির্বাচন কমিশনের ‘মুলা’ দেখিয়ে কোনো লাভ হবে না —মির্জা ফখরুল

আপডেট: ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২২
0

নতুন নির্বাচন কমিশনের ‘মুলা’ দেখিয়ে কোনো লাভ হবে না বলে সরকারের প্রতি হুশিয়ারি উচ্চারণ করলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

নির্বাচনকালীন ‘নির্দলীয় সরকারের’ দাবি পূনর্ব্যক্ত করে সোমবার দুপুরে এক সমাবেশে বিএনপি মহাসচিব এই মন্তব্য করেন।তিনি বলেন, ‘‘ সরকারকে বলছি, নির্বাচন কমিশনের টালবাহানা দেখিয়ে আর এই মূলা দে্খিয়ে কোনো লাভ হবে না। আমাদের বক্তব্য খুব সুস্পষ্ট, নির্বাচন কমিশন যেটাই হোক আমরা তাতে বিশ্বাস করি না।”

‘‘ আমরা যেটা বিশ্বাস করি, আওয়ামী লীগ যদি সরকারে থাকে নির্বাচনকালীন সময়ে কোনো নির্বাচন কমিশনের সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারবে না।”মির্জা ফখরুল বলেন, ‘‘ নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে ভোট হতে হবে। এই ইলেকশন কমিশন দিয়ে আবার তোমাদের মতো করে ভোট নিয়ে চলে যাবা সেই কাজ আর হবে না।”

‘‘ বারে বারে ঘুঘু তুমি খে্য়ে যাও ধান। এইবার ঘুঘু তুমার বধিব পরাণ। এদে্শের মানুষ জেগে উঠছে, জেগে উঠবে এবং তাদের সমস্ত চক্রান্ত নতশাত করে দিয়ে দেশনেত্রীকে মুক্ত করবে, জনগনকে মুক্ত করবে এবং সত্যিকার অর্থেই একটা নিরপেক্ষ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে তারা জনগনের সরকার প্রতিষ্ঠা করবে।”

গত শনিবার রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বাংলাদেশের্ এয়োদশ সিইসি হিসেবে হাবিবুল আউয়ালকে নিয়োগ দেন। আর তার নেতৃত্বেই আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন পরিচালিত হবে।

সার্চ কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে রাষ্ট্রপতি সিইসির সঙ্গে আরো চারজনকে নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন।তারা হলেন, অবসরপ্রাপ্ত জ্যেষ্ঠ সচিব মো. আলমগীর ও আনিছুর রহমান, অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ রাশেদা সুলতানা এমিলি এবং অবসরপ্রাপ্ত বিগ্রেডিয়ার জেনারেল আহসান হাবীব খান।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘‘ আজকে খুব পরিস্কার কথা। এখনো সময় আছে। চাল-ডাল-তেলের দাম কমাও, গ্যাস-বিদ্যুতের দাম কমাও এবং জনগনের যে আশা-আকাংখা তার উপর শ্রদ্ধা রেখে পদত্যাগ করো, নিরপেক্ষ সরকারের কাছে ক্ষমতা দাও।”

সরকারের ব্যাপক দুর্নীতি, বিরোধী দলের ওপর সরকারের দমন-নির্যাতন-গুম-খুন-মামলা-গ্রেফতারের চিত্র তুলে ধরেন বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘অবশ্যই এসবের জন্য জনগনের কাঠগড়ায় আওয়ামী লীগকে দাঁড়াতে হবে।”

ময়মনসিংহ মহানগরের উদ্যোগে নতুন বাজারে বিদ্যুত-গ্যাস-চাল-ডাল-তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের উর্ধবগতি ও টিসিবির মাধ্যমে ন্যায্যমূল্যে পণ্য সামগ্রি বিক্রির দাবিতে এই সমাবেশ হয়। প্রত্যেক বিভাগীয় শহরে সোমবার একযোগে এই কর্মসূচি হয়।

জেলার বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা ব্যানার-ফেষ্টুন নিয়ে এই সমাবেশে যোগ দেয়।

মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহবায়ক আবু ওয়াহাব আকন্দের সঞ্চালনায় কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ ওয়ারেস আলী মামুন, শরীফুল আলমমহ জেলা নেতারা বক্তব্য রাখেন।

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর প্রসঙ্গ টেনে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘‘ এখানে আমাকে কয়েকজন নেতা জিজ্ঞাসা করছিলেন যে, ডা. জাফরুল্লাহ সাহেব বলেছেন, এই নির্বাচন কমিশন নাকী ভালো আপনারা তাকে মেনে নেন। আমি পরিস্কার ভাষায় বলতে চাই, ডা. জাফরুল্লাহ সাহেবের সাথে বিএনপির কোনো সম্পর্ক নাই। ওটা তার নিজস্ব মন্তব্য।”

‘‘ আমি তাকে শ্রদ্ধা করি, সব সময় শ্রদ্ধা করি।তিনি জ্ঞানী মানুষ, গুনী মানুষ, দেশপ্রেমিক মানুষ। কিন্তু এ্ বিষয়ে তিনি বিএনপির পক্ষে কথা বলার কেউ নন। জাফরুল্লাহ ভাই বিএনপির কেউ নন, জাফরুল্লাহ ভাইয়ের বক্তব্য বিএনপির বক্তব্য নয়।