টেকনাফ বিজিবির ১২ কোটি টাকার ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার

আপডেট: এপ্রিল ১৫, ২০২১
0

বুধবার রাতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এর টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) এর অধীনস্থ লেদা বিওপি’র টহলদল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, লেদা বিওপি’র দায়িত্বপূর্ণ লেদা খাল দিয়ে মিয়ানমার হতে ইয়াবার একটি বড় চালান বাংলাদেশে পাচার হতে পারে।

সংবাদের ভিত্তিতে লেদা বিওপি’র বিশেষ টহলদল দ্রুত বর্ণিত এলাকায় গমন করতঃ বেড়ীবাঁধের পিছনে গোপনে অবস্থান গ্রহণ করে। আনুমানিক ০৪৩০ ঘটিকায় টহলদল ০৫/০৬ জন দুষ্কৃতকারী ব্যক্তিকে বিআরএম-১১ হতে ১.৬ কিঃ মিঃ দক্ষিণে এবং লেদা খাল বিজিবি পোস্ট হতে ৯০০ গজ পশ্চিম দিক দিয়ে ০৪ টি ব্যাগ কাঁধে করে নাফ নদীর কিনারা হয়ে লবন মাঠের দিকে আসতে দেখে। টহলদল উল্লেখিত ব্যক্তিদের দেখা মাত্রই চ্যালেঞ্জ করে খুব দ্রুত অগ্রসর হয়।

দুষ্কৃতকারী ব্যক্তিগণ দূর হতে বিজিবি টহলদলের উপস্থিতি অনুধাবন করা মাত্রই বহনকৃত বস্তাগুলো ফেলে দিয়ে অন্ধকারের সুযোগ নিয়ে লেদা খালের আঁড় ব্যবহার করে পার্শ্ববর্তী গ্রামে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে টহলদল বর্ণিত স্থানে পৌঁছে তল্লাশী অভিযান পরিচালনা করে ইয়াবা পাচারকারীদের ফেলে যাওয়া ০৪টি ব্যাগ উদ্ধার করে। উদ্ধারকৃত ব্যাগের ভিতর হতে ১২,০০,০০,০০০/- (বার কোটি) টাকা মূল্যমানের ৪,০০,০০০ (চার লক্ষ) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করা হয়।

ইয়াবা কারবারীদের আটকের নিমিত্তে বর্ণিত এলাকা ও পার্শ্ববর্তী স্থানে পরবর্তী ০৬৩০ ঘটিকা পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করা হলেও কোন পাচারকারী/তাদের সহযোগীকে আটক করা সম্ভব হয়নি। উক্ত স্থানে অন্য কোন অসামরিক ব্যক্তিকে পাওয়া যায়নি বিধায় ইয়াবা কারবারীদের সনাক্ত করাও সম্ভব হয়নি।

তবে তাদেরকে সনাক্ত করার জন্য অত্র ব্যাটালিয়নের গোয়েন্দা কার্যক্রম চলমান রয়েছে। উদ্ধারকৃত মালিকবিহীন ইয়াবাগুলো বর্তমানে ব্যাটালিয়ন সদরের স্টোরে জমা রাখা হবে এবং প্রয়োজনীয় আইনী কার্যক্রম গ্রহণ করতঃ পরবর্তীতে তা উর্দ্ধতন কর্মকর্তা, চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধি, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও মিডিয়া কর্মীদের উপস্থিতিতে ধ্বংস করা হবে।