ঢাকার মেট্রোরেলে ভাড়া ভারত-পাকিস্তানের কয়েক গুণ বেশি: বিএনপি

আপডেট: ডিসেম্বর ২৭, ২০২২
0

উদ্বোধনের অপেক্ষায় থাকা মেট্রোরেলের ভাড়া নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে বিএনপি। তারা বলেছে, সরকার মেট্রোরেলের যে ভাড়া নির্ধারণ করেছে তা ভারত-পাকিস্তানের বিভিন্ন নগরের মেট্রোরেলের ভাড়ার কয়েক গুণ বেশি।

গত সোমবার সন্ধ্যায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সভায় এই হারে ভাড়া নির্ধারণের তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়। সভায় নেয়া প্রস্তাব ও সিদ্ধান্তের বিষয়ে মঙ্গলবার বিএনপির গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। তিনি বলেন, মেট্রোরেল আইন ও বিধিমালা লঙ্ঘন করে এর ভাড়া সর্বনিম্ন ২০ টাকা এবং উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ২০ কিলোমিটারের ভাড়া ১০০ টাকা নির্ধারণের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছে বিএনপি। ঢাকায় মেট্রোরেলের এই ভাড়ার পরিমাণ শুধু দেশের বেসরকারি বাসভাড়ার দ্বিগুণ নয়, ভারত ও পাকিস্তানের বিভিন্ন নগরীর মেট্রোরেলের ভাড়ার চেয়ে ২ থেকে ৫ গুণ বেশি। ঢাকা মেট্রোরেলের সর্বনিম্ন ভাড়া দিল্লি, মুম্বাই, চেন্নাই ও লাহোরের ভাড়ার প্রায় দ্বিগুণ এবং কলকাতার ৩ গুণ। ঢাকার ২০ কিলোমিটারের ভাড়া কলকাতার ৪ গুণ, নয়াদিল্লি, মুম্বাই ও চেন্নাইয়ের ৩ গুণ এবং লাহোরের ভাড়ার চেয়ে সাড়ে ৫ গুণ বেশি।

নজরুল ইসলাম খান বলেন, দেশে পর্যাপ্ত খাদ্য মজুতের বাগাড়ম্বরকারী সরকারের আমলে মাত্র ৫ কেজি ওএমএসের চালের জন্য দরিদ্র ও বয়স্ক মানুষদের দিনের পর দিন লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে শূন্য হাতে ফিরে যাওয়ার মত অবর্ণনীয় দুর্দশায় তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা জানানো হয়েছে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সভায়। পাশাপাশি ভোটের অধিকার হরণকারী সরকারের ভাতের অধিকার হরণের অপচেষ্টা বন্ধের জোর দাবিও তোলা হয়েছে।

তিনি অভিযোগ করেন, দেশের জনগণ অনির্বাচিত, কর্তৃত্ববাদী, নিপীড়ক ও ক্ষমতারক্ষায় হিংস্র সরকারের বর্বর হামলার শিকার। বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীদের কারাগার পরিবর্তন এবং কোর্টে হাজিরা দেয়ার সময় ডাণ্ডা-বেড়ি পরানোর মত নিষ্ঠুর ও অমানবিক আচরণ করা হচ্ছে।

নজরুল ইসলাম খান বলেন, আমদানি সংকটের কারণে যখন দেশের দুটি এলএনজি টার্মিনালের সরবরাহ সক্ষমতা নেমেছে ৫০ শতাংশের নিচে, তখন সরকারের আরও ২টি নতুন ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণের পরিকল্পনার মাধ্যমে জ্বালানির মত কৌশলগত পণ্য নিয়ে দুর্নীতির অপচেষ্টা চালাচ্ছে।

বিএনপির এই নেতা বলেন, জনগণের দ্বারা নির্বাচিত এবং জনগণের কাছে দায়বদ্ধ গণতান্ত্রিক সরকার হলে ক্ষমতাসীন সরকার এমন গণবিরোধী সিদ্ধান্ত নিতে পারতো না। সেজন্য গণবিরোধী এই সরকারের পতন ও গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা জরুরি হয়ে পড়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স প্রমুখ।