ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে বিবাহিত মেয়েদের থাকার বিষয়ে বিধি-নিষেধ আরোপে উদ্বেগ, বিষ্ময় প্রকাশ করে ও এই সমস্যার সমাধান গ্রহণের আহব্বান জানিয়ে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের বিবৃতি প্রদান করেছে।
আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে লক্ষ্য করলাম যে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে বিবাহিত নারী শিক্ষার্থীদের থাকার বিষয়ে বিধি-নিষেধ আরোপ করা হচ্ছে । এ ঘটনায় বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ গভীর বিষ্ময় প্রকাশ করছে।
আমরা জানি যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় যেকোন শিক্ষার্থীর জন্য একটি স্বপ্নের নাম, যাকে প্রাচ্যের অক্সফোর্ড বলা হয়। এখানে যারা লেখাপড়া করে তারা ভর্তিযুদ্ধের মাধ্যমে তাদের মেধার যোগ্যতায় এখানে ভর্তি হবার সুযোগ পায়। যে প্রতিযোগিতায় বিবাহিত-অবিবাহিত কিংবা নারী-পুরুষ বলে কোন ভেদাভেদ থাকে না।
তেমনি ভর্তি হবার পর হলে সীট পাওয়া সকলের সমঅধিকার। হলে থাকার জন্য নারী শিক্ষার্থীদের অবিবাহিত হওয়া কোন শর্ত হতে পারেনা, কারণ আমাদের সমাজ ব্যবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত আসার আগেই অনেক মেয়ের বিয়ে হয়ে যায়। বরং বিবাহিত হবার পর যে সকল মেয়েরা তাদের লেখাপড়া চালিয়ে যায় তাদের জীবনযুদ্ধটা আরও কঠিন। তাই বিবাহিত মেয়েদের আবাসন সংকটের সমাধান না করলে অনেক বিবাহিত মেয়ের বিশ^বিদ্যালয়ে পড়ার স্বপ্ন শুরুতেই ঝরে যাবে। এই বিধি-নিষেধ নারী উচ্চশিক্ষা উন্নয়নের লক্ষের সাথেও সাংঘর্ষিক।
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ মনে করে এর ফলে নারীর উচ্চশিক্ষা ও মেধাবিকাশের পথ রুদ্ধ হবে।
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ অবিলম্বে সকল দিক বিবেচনা করে বিবাহিত মেয়েদের হলে থাকার বিষয়ে যে বিধি-নিষেধ আরোপিত হয়েছে তা পুনঃবিবেচনা করে এই বিষয়টি সমাধানের উদ্যোগ গ্রহণের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের নিকট আহব্বান জানাচ্ছে।
