তাজমহল নিয়েও ভারতে এখন রাজনীতি শুরু

আপডেট: ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২২
0

তাজমহল আছে। কিন্তু সেই শাহজাহানও নেই। সেই যমুনাও নেই। সেই বাজপেয়ী নেই। সেই ‘লাভার্স বেঞ্চ’ নেই। সেই আগরাও নেই।

মেরুকরণের রাজনীতির পিঠে সওয়ার রাজনীতিকরা সেই প্রেমের শহরের বিশ্ববিখ্যাত প্রণয়-অভিজ্ঞানের নাম বদলে তাকে রাজনীতির ঘুঁটি করতে চাইছেন। তাঁদের কথা শুনতে শুনতে মনে হচ্ছিল, তাজমহল আর ভালবাসার নিশান নয়। রাজনীতির ঘুঁটি হয়ে গিয়েছে। তাজমহলও।

আগরা ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১২:৫৭
হিন্দুত্ববাদের রাজনীতি উত্তরপ্রদেশকে আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে ফেলেছে। প্রেমের শহর হতে পারে। কিন্তু আগরারও তা থেকে মুক্তি নেই।

হিন্দুত্ববাদের রাজনীতি উত্তরপ্রদেশকে আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে ফেলেছে। প্রেমের শহর হতে পারে। কিন্তু আগরারও তা থেকে মুক্তি নেই।
গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ

নাহ্, পাওয়া গেল না। গোটা আগরা শহরে তন্নতন্ন করে খুঁজেও ভোটের একটাও পোস্টার, হোর্ডিং, কাট-আউট— কিস্যু পাওয়া গেল না! তাজমহলের এই শহর কি উত্তরপ্রদেশের বাইরে? এখানে ভোট-টোট কি আদৌ হয়নি নাকি?

আগরা এসেছিলাম একুশ বছর আগে। ২০০১ সালে। সেই প্রথম এবং অদ্যাবধি সেই শেষ। এসেছিলাম ভারত-পাকিস্তানের শীর্ষবৈঠক কভার করতে। এই শহরের জেপি প্যালেস হোটেলে সেই বৈঠক করেছিলেন অটলবিহারী বাজপেয়ী-পারভেজ মুশারফ। চিরকালীন এবং শাশ্বত প্রেমের সৌধ যে শহর ধারণ করে আছে যুগ যুগ ধরে, সেই শহরের জমিতেই শত্রুতার ইতিহাস ভুলে পড়শি দেশের সঙ্গে সৌভ্রাতৃত্ব এবং ভালবাসার কাহিনি শুরু করতে চেয়েছিলেন বাজপেয়ী। মুশারফ রাজি হয়েছিলেন। দু’জনেই বৈঠকে বসেছিলেন ‘ইতিবাচক’ মানসিকতা নিয়ে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী এবং পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টের একান্ত বৈঠক ঠিকঠাক গিয়েছিল। সুপবন বহিতে শুরুও করিয়াছিল। এতটাই যে, তাজমহল চত্বরের ‘লাভার্স বেঞ্চ’-এ বসে পোজ দিয়েছিলেন সস্ত্রীক মুশারফ।