তাবলীগ জামায়াতের বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব শুরু : রবিবার আখেরী মোনাজাত দলে দলে আসছেন মুসল্লিরা

আপডেট: জানুয়ারি ২০, ২০২৩
0

স্টাফ রিপোর্টার,গাজীপুর : তাবলীগ জমায়াতের এবারের ৫৬তম বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব নজিরবিহীন নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে টঙ্গীর কহর দরিয়াখ্যাত তুরাগ নদীর তীরে শুরু হয়েছে। তাবলীগ জামায়াতের শীর্ষ মুরুব্বি মাওলানা সা’দ কান্ধলভীর অনুসারীরা এ পর্বে (দ্বিতীয়) অংশ নিচ্ছেন। প্রথম পর্বের পর চারদিন বিরতি দিয়ে শুক্রবার বাদ ফজর থেকে আম বয়ানের মধ্য দিয়ে এ পর্ব শুরু হয়। তবে বৃহস্পতিবার মাগরিব নামাজের পর ময়দানের ছামিয়ানার নিচে জমায়েত হওয়া মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে অনানুষ্ঠানিক বয়ান শুরু হয়েছে। আগামী রবিবার জোহরের নামাজের আগে (পূর্বাহ্নে) এ পর্বের আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এবছরের ৫৬তম বিশ্ব ইজতেমা। এপর্বের শেষদিনে আখেরী মোনাজাত পরিচালনা করবেন মাওলানা সাদ কান্ধলভীর বড় ছেলে মাওলানা ইউসুফ কান্ধলভী। তিনি শুক্রবারের জুম্মা নামাজেরও ইমামতি করেন।

তবে এবারের ইজতেমায় অংশ নিতে মাওলানা সা’দ শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত ইজতেমা ময়দানে পৌছেন নি। তবে তার তিন ছেলে ও জামাতা ইতোমধ্যে জামায়াত নিয়ে ইজতেমা ময়দানে এসেছেন। এরআগে গত ১৩ থেকে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত তিনদিন ব্যাপী অনুষ্ঠিত বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বে মাওলানা জোবায়ের অনুসারী আলেম ওলেমা কওমীপন্থী তাবলীগ মুসল্লিরা অংশ নিয়েছেন।

এবারের বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বে যোগ দিতে হাজার হাজার ধর্মপ্রাণ মুসল্লী নানা বিড়ম্বনাকে উপেক্ষা করে টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানে ছুটে আসেন। ইতোমধ্যে মুসল্লীরা ময়দানের নিজ নিজ খিত্তায় অবস্থান নিয়েছেন। ইজতেমায় যোগ দিতে দেশ-বিদেশের আগত মুসল্লিদের পদচারনায় শিল্প শহর টঙ্গী এখন যেন ধর্মীয় নগরীতে পরিণত হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরের পর থেকে ইজতেমা মুখি মানুষের ঢল নামে টঙ্গীর দিকে। বাস, ট্রাক, ট্রেন, ট্রলারসহ বিভিন্ন যানবাহনে করে মুসল্লিরা যোগ দিচ্ছেন ইজতেমায়। ইজতেমা ময়দানে মুসল্লিদের আসা এখনো অব্যাহত রয়েছে। আখেরি মোনাজাতের পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত মুসল্লিদের এ ঢল অব্যাহত থাকে।

ইজতেমায় আসছেন না মাওলানা সা’দ, তবে তার ৩ ছেলে ও জামাতা এসেছেন \
তাবলীগ জামায়াতের বাংলাদেশের শীর্ষ শুরা সদস্য প্রকৌশলী ওয়াসেফুল ইসলাম জানান, ভারতের নিজামুদ্দিন মারকাজের শীর্ষ মুরুব্বি মাওলানা সা’দ কান্ধলভি ‘পরিস্থিতি বিবেচনায়’ এবারও ইজতেমায় আসছেন না। তবে বৃহষ্পতিবার সকালে একটি জামাত সহ তার তিন ছেলে ও মেয়ের জামাতা ময়দানে এসেছেন। তারা হলেন, মাওলানা সাদ কান্ধলভীর বড় ছেলে মাওলানা ইউসুফ কান্ধলভী, মেঝ ছেলে মাওলানা সাঈদ কান্ধলভী ও ছোট ছেলে মাওলানা ইলিয়াস কান্ধলভী এবং মেয়ের জামাতা মাওলানা হাসান। তারা বিদেশি তাঁবুর ১নং বিল্ডিংয়ে বিশ্ব ইজতেমার শীর্ষস্থানীয় শুরা সদস্যদের সঙ্গে অবস্থান করছেন। ইতোমধ্যে নিজামুদ্দিন মারকাজের পক্ষ থেকে আসা প্রতিনিধি দল ইজতেমায় এসে পৌঁছেছেন। তাদের তত্ত্বাবধানেই পরিচালিত হচ্ছে এবারের বিশ্ব ইজতেমার এ পর্ব।

গাজীপুরের জেলা প্রশাসক মো.আনিসুর রহমান জানান, এবারের বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব সম্পন্ন হওয়ার পর গত মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মাওলানা জুবায়েরের অনুসারীদের কাছ থেকে মাঠ বুঝে নেওয়া হয়। পরে দুপুরে দ্বিতীয় পর্ব আয়োজনের জন্য গাজীপুর জেলা প্রশাসনের কাছে সা’দ অনুসারী মুরুব্বিরা ইজতেমা ময়দান বুঝে নেন। এরপর থেকেই শুরু হয় দ্বিতীয় পর্বের প্রস্তুতি। বুধবার থেকেই দেশ-বিদেশ থেকে লোকজন ইজতেমা ময়দানে জড়ো হতে শুরু করেন।

স্থানীয়রা জানান, সা’দ কান্ধলভির নেতৃত্ব নিয়ে বিভক্তির জেরেই কয়েক বছর ধরে দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে পৃথকভাবে ইজতেমা করে আসছে তাবলিগ জামাতের মাওলানা জোবায়ের ও সা’দ অনুসারীরা।

যারা বয়ান করলেন \
ইজতেমা ময়দানের জিম্মাদার প্রকৌশলী শাহ মহিবুল্লাহ জানান, বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুক্রবার বাদ ফজর থেকে আমবয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হওয়ার কথা থাকলেও বৃহস্পতিবার বাদ আছর থেকে বিশ্ব ইজতেমার বয়ান শুরু হয়েছে। বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বের প্রথমদিন শুক্রবার বাদ ফজর থেকে আম বয়ান করেন মাওলানা সা’দ আহমদ কান্ধলভীর বড় ছেলে মাওলনা ইউসুফ কান্ধলভী। তার বয়ান বাংলায় তরজমা করেন বাংলাদেশের মাওলানা মুনির বিন ইউসুফ। এরপর জুম্মার নামাজের পর বয়ান করেন বাংলাদেশি মাওলানা সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলাম। বাদ আছর বয়ান করেন মাওলানা সা’দের মেঝো ছেলে সাইদ বিন সাদ কান্ধলভী। এসময় তার বয়ান বাংলায় তরজমা করেন মুফতি আজিম উদ্দিন। বাদ মাগরিব বয়ান করেন মাওলানা সা’দের ছোট ছেলে মাওলানা ইলিয়াস বিন সা’দ কান্ধলভী। তার বয়ান বাংলায় তরজমা করেন মাওলানা জিয়া বিন কাসিম।

বিভিন্ন ভাষায় বয়ানের তাৎক্ষণিক অনুবাদ \
বিশ্ব ইজতেমায় বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের তাবলিগ মারকাজের ১৫-২০জন শুরা সদস্য ও বুজর্গ পর্যায়ক্রমে বয়ান পেশ করেন। মূল বয়ান উদর্ূতে হলেও ইজতেমায় আগত বিভিন্ন দেশের-ভাষা মুসল্লিদের জন্য বাংলা, ইংরেজী, আরবি, তামিল, মালয়, তুর্কি ও ফরাসিসহ বিভিন্ন ভাষায় তাৎক্ষনিকভাবে অনুবাদ করা হচ্ছে। বিদেশী মেহমানদের জন্য মূল বয়ান মঞ্চের উত্তর, দক্ষিণ ও পূর্বপাশে হোগলা পাটিতে বসেন। বিভিন্ন ভাষাভাষি মুসুল্লীরা আলাদা আলাদা বসেন এবং তাদের মধ্যে একজন করে মুরুব্বী মূল বয়ানকে তাৎক্ষণিক অনুবাদ করে শুনান।

শেষ দুইদিন যারা বয়ান করবেন \
বিশ্ব ইজতেমার এ পর্বের মিডিয়া সমন্বয়কারী মোহাম্মদ সায়েম জানিয়েছেন, শনিবার (২১ জানুয়ারি) ফজরের নামাজের পর বয়ান করবেন ভারতের মাওলানা ইয়াকুব, তার বয়ান বাংলায় তরজমা করবেন মাওলানা মুনির বিন ইউসুফ, এদিন জোহরের পর বয়ান করবেন তুর্কির মাওলানা ওমর। এরপর আছরের নামাজের পর বয়ান করবেন মাওলানা ইলিয়াস বিন সাদ কান্ধলভী, এসময় তার বয়ান বাংলায় তরজমা করবেন মাওলানা ওসামা ইসলাম। মাগরিবের নামাজের পর বয়ান করবেন ভারতের মাওলানা আব্দুস সাত্তার, তার বয়ান বাংলায় তরজমা করবেন মাওলানা জিয়া বিন কাসিম।

রবিবার (২২ জানুয়ারি) বিশ্ব ইজতেমার শেষদিনে ফজরের নামাজের পর বয়ান করবেন মাওলানা মুরসালিন। এরপর হেদায়তী বয়ান ও আখেরী মোনাজাত পরিচালনা করবেন ভারতের মাওলানা সাদ কান্ধলভীর বড় ছেলে মাওলানা ইউসুফ কান্ধলভী। এসময় তার বয়ান বাংলায় তরজমা করবেন মাওলানা জিয়া বিন কাসিম।

বৃহত্তম জু’মার নামাজ অনুষ্ঠিত \
বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব শুরুর দিন জু’মা বার হওয়ায় ইজতেমা মাঠে অনুষ্ঠিত হয়েছে বৃহত্তম জু’মার জামাত। জু’মা নামাজের ইমামতি করেন তাবলীগের মাওলানা সাদ কান্ধলভীর বড় ছেলে মাওলানা ইউসুফ কান্ধলভী। এদিনটি জুমা’ বার হওয়ায় সকাল থেকেই টঙ্গী ও আশপাশ এলাকার লাখো মুসল্লীর ঢল নামে টঙ্গীর তুরাগ তীরে। ইজতেমায় যোগদানকারী মুসুল্লী ছাড়াও জু’মার নামাজে অংশ নিতে ঢাকা-গাজীপুরসহ আশে-পাশের এলাকার লাখ লাখ মুসুল্লী ইজতেমাস্থলে হাজির হন। প্রথম পর্বের তুলনায় এপর্বে শীতের তীব্রতা কম হওয়ায় ভোর থেকেই রাজধানীসহ আশে-পাশের এলাকা থেকে ইজতেমা মাঠের দিকে মানুষের ঢল নামে। জুমার নামাজ আদায় করতে রাজধানীর আশেপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে বিপুল সংখ্যক মুসল্লি ছুটে আসেন। নামাজের আগেই ইজতেমার পুরো প্যান্ডেল ও ময়দান কানায় কানায় ভরে যায়। ইজতেমার মাঠ উপচিয়ে জামাত চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। মূল প্যান্ডেলের নিচে জায়গা না পেয়ে মুসল্লিরা ঢাকা-ময়মনসিংহ রোডের পাশ ঘেঁষে ইজতেমা মাঠের উত্তর দিকের রাস্তায় ও খোলা জায়গার উপর অবস্থান নেয়। ইজতেমা ময়দান এবং এর আশপাশে এলাকায় যতদূর দৃষ্টি যায় শুধু পাঞ্জাবি আর টুপি পড়া মানুষ আর মানুষ। বেশীর ভাগ মুসুল্লিকে খবরের কাগজ, জায়নামাজ, পলিথিন ও হোগলা বিছিয়ে জুমা’র নামাজ আদায় করতে দেখা গেছে। আয়োজকদের ধারণা, অন্য বছরের তুলনায় আবহাওয়া পরিস্থিতি অনুকূলে থাকায় প্রায় ১৫ লক্ষাধিক মুসল্লি এপর্বের জুমার নামাজ আদায় করেছেন। বাদ ফজর হতে মাগরিব পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে দেশ-বিদেশের শীর্ষস্থানীয় আলেমগণ ঈমান, আমল ও দাওয়াতের মেহনত সম্পর্কে অত্যান্ত ফজিলতপূর্ণ সারগর্ভ বয়ান করেন।

প্রথম দিনের বয়ানে যা বলা হয় \
বয়ানে বলা হয়, জুম্মারদিন, একটি পবিত্রদিন, সপ্তাহের সেরা দিন। সবচেয়ে উত্তম দিন হলো জুম্মার দিন। এটি হলো সবচেয়ে বড় ও সম্মানি দিন। এটি দু’ঈদের চেয়েও ফজিলতপূর্ণ। এদিনে হযরত আদম (আ.)কে সৃষ্টি করা হয়। এদিনই দুনিয়া ধ্বংস হবে। এদিনে আল্লাহ্র কাছে যা চাইবে, আল্লাহ তা তাকে দেবেন। জুমা’র নামাজ আদায়ের লক্ষ্যে গোসল-ওজু করে মসজিদের উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার পর থেকে তার নেকী লেখা হয়। আমরা যা করবো আল্লাহকে রাজি করার জন্য করবো। আল্লাহ পাকের হুকুম মতো আমরা যেন সারা জীবন চলতে পারি সে চেষ্টা করতে হবে। এখান থেকে শিক্ষা নিয়ে দেশে ও সারা দুনিয়ায় মানুষের মাঝে দীন কায়েম করার জন্য ছড়িয়ে পড়তে হবে।

নিরাপত্তা ব্যবস্থা \
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মোল্লাহ নজরুল ইসলাম জানান, শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তার বাজায় রাখার জন্য সব ধরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেওয়া হয়েছে পুরো ইজতেমা এলাকা। দ্বিতীয় দফায়ও বহাল রয়েছে আগের দফার প্রায় সকল প্রস্তুতি। নিরাপত্তা ব্যবস্থা ৫টি স্তরে বিভক্ত করা হয়েছে। ইজতেমা ময়দান ও আশেপাশের এলাকার নিরাপত্তায় ও ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে প্রায় ১০ হাজার পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। পুরো ইজতেমা ময়দান সিসি ক্যামেরা, ওয়াচটাওয়ারের মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদ্যরা পর্যবেক্ষণ করছেন। এছাড়াও মেটাল ডিটেক্টর, ফুটপেট্রোল, মোবাইল পেট্রোল ও চেকপোষ্টসহ পোশাকে সাদা পোশাকে পুলিশ সদস্যরা ইজতেমা ময়দানের ভেতরে এবং বাহিরে দায়িত্ব পালন করছে। ইজতেমায় পুলিশের পাশাপাশি র‍্যাব সদস্যরাও নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছেন।

বিশ্ব ইজতেমার কর্মসূচি\
বিশ্ব এজতেমার কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে আম ও খাস বয়ান, তালিম, তাশকিল, ৬ উছুলের হাকিকত, দরসে কোরআন, দরসে হাদিস, চিল্লায় নাম লেখানো, নতুন জামাত তৈরি।

আরো এক মুসুল্লীর মৃত্যু \
এবারের ইজতেমার এপর্বে যোগ দিতে আসা এক মুসুল্লী হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে শুক্রবার ভোরে মারা গেছেন। তার নাম মুসুল্লি মফিজুল ইসলাম (৬০) সাভারের শিমুলতলী এলাকার আব্দুল রানা মিয়ার ছেলে।

বিদেশী মুসল্লি \
পুলিশের কন্ট্রোল রুম সূত্র জানায়, এজতেমার দ্বিতীয় পর্বের প্রথমদিন সকাল পর্যন্ত বিশ্বের ৬০টি দেশের প্রায় ৫হাজার ৮শ’রও বেশি মুসল্লি শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত অংশ নিয়েছেন।

ইজতেমার মুরুব্বীদের দেয়া তথ্যমতে, ১৯৪৬সালে প্রথম কাকরাইল মসজিদে ইজতেমার আয়োজন শুরু করা হয়। তারপর ১৯৪৮সালে চট্টগ্রামের হাজী ক্যাম্পে ও ১৯৫৮সালে নারায়নগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর লোকসংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় ১৯৬৬সালে গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে বর্তমানস্থলে স্থানান্তর করা হয়েছে। পরে সরকারিভাবে তুরাগ তীরের ১৬০একর জমি স্থায়ীভাবে ইজতেমার জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়।

২০০৯ সাল পর্যন্ত ইজতেমা তিন দিন ধরে অনুষ্ঠিত হতো। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে মুসল্লিরা এই ইজতেমায় অংশ নেন বলে এটি বিশ্ব ইজতেমা হিসেবে পরিচিতি পায়। পরে মুসল্লিদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় ২০১০ সাল থেকে দুই দফায় তিন দিন করে ইজতেমার আয়োজন করা হতো। তাবলিগের আমির মাওলানা সা’দ কান্ধলভী ও মাওলানা জুবায়েরের অনুসারীর বিরোধের কারণে গত কয়েক বছর থেকে দুই পক্ষ আলাদাভাবে ইজতেমার আয়োজন করতে শুরু করে।

###
মোঃ রেজাউল বারী বাবুল
স্টাফ রিপোর্টার, গাজীপুর।
১৭/০১/২০২০ ইং।