বাংলাদেশের কৃষিতে বিশ্বব্যাংক ও আন্তর্জাতিক সংস্থার বিনিয়োগ প্রয়োজন: কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক

আপডেট: জানুয়ারি ২০, ২০২৩
0

বাংলাদেশের কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন যে সরকার সনাতন ও খোরপোষের কৃষিকে রূপান্তরের মাধ্যমে লাভজনক, সহনশীল ও টেকসই কৃষিব্যবস্থা গড়ে তুলতে কাজ করছে। এই প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করতে, বিশ্বব্যাংক ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার আরও বেশি অনুদান ও বিনিয়োগ প্রয়োজন বলে উল্লেখ করেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) স্থানীয় সময় বিকালে, জার্মানির বার্লিনে সিটি কিউবে এক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। বিশ্বব্যাংক এবং যুক্তরাজ্যের ফরেন, কমনওয়েলথ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অফিস (এফসিডিও) এই সভার আয়োজন করে।

বাংলাদেশের কৃষিমন্ত্রী দেশের কৃষিখাতে অর্জিত সাফল্য তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো ১৯৯৯-২০০০ সালে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করে। দেশের কৃষিতে এখন প্রবৃদ্ধি বছরে শতকরা চার ভাগের বেশি। ১৯৭১ সালের তুলনায় এখন চার গুণ বেশি খাদ্যশস্য উৎপাদন হয়। ২০০৮ সালের তুলনায় সাত গুণ বেশি সবজি উৎপাদিত হয়। বাংলাদেশ আজ বিভিন্ন সবজি, ফলমূল ও খাদ্যশস্য উৎপাদনে বিশ্বের শীর্ষ ১০ দেশের একটি।”

ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, “আমরা একটি টেকসই কৃষিব্যবস্থা গড়ে তুলতে চাই। যার মাধ্যমে মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা টেকসই হবে, পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার নিশ্চিত হবে, কৃষকরা উন্নত জীবন পাবেন। আর, এক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ হলো জমি হ্রাস, জনসংখ্যা বৃদ্ধি, জলবায়ু পরিবর্তন, কোভিড-১৯ ও চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ।” তিনি বলেন, “বাংলাদেশের কৃষির উন্নয়নে বিশ্বব্যাংক ও ইফাদের সহযোগিতায় পার্টনার প্রকল্প প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আরও বেশি অনুদান ও বিনিয়োগ প্রয়োজন।”

পরে কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক জার্মানির পার্লামেন্টারি স্টেট সেক্রেটারি ফর ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচার ক্লদিয়া মুলারের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন। বৈঠকে ক্লদিয়া মুলার বাংলাদেশের কৃষি খাতে সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

উল্লেখ্য, জার্মান ফেডারেল মিনিস্ট্রি অফ ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচার (বিএমইএল)-এর আয়োজনে, চার দিনব্যাপী (১৮-২১ জানুয়ারি) ১৫তম গ্লোবাল ফোরাম ফর ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচার (জিএফএফএ) এবং বার্লিন কৃষি মন্ত্রীদের সম্মেলনে, ড. রাজ্জাক অংশগ্রহণ করেছেন।