তামাক নিয়ন্ত্রণে ইতিবাচক মনোভাব ব্যক্ত করলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী

আপডেট: ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২৪
0

তামাক নিয়ন্ত্রণে ইতিবাচক মনোভাব ব্যক্ত করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।

সোমবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি, ‘বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফোরাম ফর হেলথ অ্যান্ড ওয়েলবিং’ এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশনের একটি প্রতিনিধি দল স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেনের সাথে তার কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ মনোভাব ব্যক্ত করেন।

মন্ত্রী বলেন, আমি যে মন্ত্রী হব তা কখনো চিন্তাও করিনি। তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের বিষয়টি কোন পর্যায়ে আছে তা আপনাদের কাছ থেকে জানলাম, মন্ত্রণালয়ের যে সেকশন এ ব্যাপারে কাজ করছে তাদের কাছে এটি পাঠিয়ে দেব।

স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ডা. নিজাম উদ্দীন আহম্মেদ, বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফোরাম ফর হেলথ অ্যান্ড ওয়েলবিং এর সমন্বয়ক ড. মো. রফিকুল ইসলাম, স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কাছে বিভিন্ন কার্যক্রমের প্রতিবেদন হস্তান্তর করেন যা তামাকমুক্ত বাংলাদেশ অর্জনে সংসদ সদস্যদের গৃহীত পদক্ষেপের রূপরেখা তুলে ধরে। এছাড়াও জনস্বাস্থ্য রক্ষায় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের জন্য স্বাস্থ্যমন্ত্রী (সাবেক) বরাবর পাঠানো ১৫২ জন সংসদ সদস্যের স্বাক্ষরিত আরেকটি সুপারিশের চিঠি স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করা হয়।

‘বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফোরাম ফর হেলথ অ্যান্ড ওয়েলবিং’ এর প্রতিনিধি দল তামাক আইন নিয়ন্ত্রনের চূড়ান্ত খসড়াটি সংসদে উত্থাপন ও পাশের বিষয়ে মাননীয় মন্ত্রীর সহযোগিতা কামনা করেন। মাননীয় মন্ত্রী এ বিষয়ে তার সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

উল্লেখ্য, দেশের প্রায় ৪ কোটির কাছাকাছি মানুষ জনস্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর তামাক ব্যবহার করে। বছরে দেশের প্রায় ১ লাখ ৬১ হাজার মানুষ মারা যায় এই তামাকজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে। তামাক নিয়ন্ত্রণে ছয়টি বিষয় মাথায় রেখে ধূমপান ও তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের প্রস্তাবিত খসড়ায় রয়েছে, পাবলিক প্লেসে ধূমপান নিষিদ্ধ করা, বিক্রয়স্থলে তামাক দ্রব্য প্রদর্শন নিষিদ্ধ করা, তামাক কোম্পানির সিএসআর কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা, খুচরা বিক্রি বন্ধ করা, সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কতার ওপর জোর দেওয়া এবং ই-সিগারেট এবং হিটেড টোব্যাকো প্রোডাক্টস (এইচটিপি) নিষিদ্ধ করা।