তিস্তা-গঙ্গার পানির ন্যায্য হিস্যা গত ১০ বছরেও আদায় করতে পারলো না আ’লীগ — ডা.জাফরউল্লাহ

আপডেট: মার্চ ১৭, ২০২১
0

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ভারতের নরেন্দ্র মোদীর ২৭ মার্চ সফরে তিস্তা-গঙ্গাসহ ৬ নদীর পানি নিয়ে আলোচনা হবে কিনা এ নিয়ে সংশয় তৈরী হয়েছে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল মোমেনের বক্তব্যে ।

মীর্জা ফখরুল গত মঙ্গলবার সংশয় প্রকাশ করে বলেন, ”আর তিস্তা চুক্তি হবে না। সরকারের যারা তিস্তা চুক্তি করার কথা বলছে তা মিথ্যা বলছে। এখনও সীমান্তে আমাদের নাগরিক হত্যা বন্ধ করতে পারেনি। তিস্তাসহ ভারত থেকে যে নদীগুলো আমাদের দেশে প্রবাহিত হচ্ছে সে নদীরগুলো কোনো হিস্যা আমরা এখনো পাইনি।’

এমনকি বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার অভিন্ন ছয় নদীর পানি বণ্টন নিয়ে দিল্লিতে সচিব পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। বৈঠকে ধরলা, দুধকুমার, মনু, খোয়াই, গোমতি, মুহুরী নদীর পানি বন্টন চুক্তির ক্ষেত্রে অগ্রগতি হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

নদী বিশেষজ্ঞরা আশা করছেন আগামী ২৭মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও শৈখ হাসিনার বৈঠকে বিষয়গুলো উথ্তাপিত হবে। কিন্তু বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্্রতীর সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক হয়েছে। কিন্তু ভিন্ন ছয়টি নদীর পানি বণ্টনে একটি কাঠামো চুক্তি নিয়ে আলোচনা হয়নি কখনো। এবার স্বাধীনতা সূবর্নজয়ন্তীতে কতটা আলোচনা হবে এ নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন দেশের বিশিষ্টজনেরা।

এ নিয়ে কথা হয় গণস্বাস্থ্য ট্রাস্টি ডা.জাফরউল্লাহ চৌধুরীর সঙ্গে । দেশ জনতা ডটকমকে দেয়া এক বিশেষ সাক্ষাতকারে তিনি বলেন, ”এ দেশটাকে নিয়ে ভারত যতটা না চক্রান্ত করে তার বেশি চক্রান্ত করে বাংলাদেশ সরকার। সীমান্ত হত্যা বন্ধে আজ পর্যন্ত সরকার কোন কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহন করতে পারলো না। তিস্তা-গঙ্গার পানির ন্যায্য হিস্যা আদায় করতে পারলো না। যত সুবিধা নেয়ার সব নিচ্ছে ভারত। বাংলাদেশকে শুধু আশ্বাসই দিয়ে যাচ্ছে।”

আমদানী নির্ভরতা কমিয়ে সরকারের উচিত কৃষকদের সুদমুক্ত ঋণ দিয়ে দেশে পন্য উৎপাদন বাড়াতে সহায়তা করা। তা না করে সরকার কিছু মন্ত্রী এমপি ও ব্যবসায়ীদের সুবিবধার জন্য পন্য আমদানী করছে।

এই ভরা মৌসুমে ভারত থেকে পেয়াজ আমদানী কেন করবে সরকার ? এ লাভ কার ? ভারত নাকি বাংলাদেশের ? আসলে বাংলাদেশের কৃষকরা স্বনির্ভর হোক , খাদ্য ভান্ডারে স্বয়ংসম্পূর্ণ হোক তা চায় না একশ্রেনীর অসাধু ব্যবসায়ীরা। ভারতকে সরকার যত সুবিধা দিচ্ছে সেজন্য ভারত দায়ী নয়।

একদিকে ট্রানিজিট দিচ্ছে অপরদিকে বিরোধী দলের মুখ বন্ধ রাখার জন্য সুকৌশলে দেশব্যাপী সাড়াঁশি অভিযান চালিয়ে জাষ্ট দৌড়ের ওপর রাখছে। যাতে দেশের স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট ট্রানজিট নিয়ে কথা বলার অবকাশ না পায়। ইস্যুর ওপর ইস্যু চাপা দিচ্ছে আওয়ামী লীগ।

জনবিচ্ছিন্ন সরকারের নির্বাচনে যত ভয়, ভয় গণতন্ত্রেও। তাই একতরফা, বির্তকিত প্রহসনের নির্বাচনের পর গণতন্ত্রের মোড়কে আওয়ামী লীগ এখন একটি স্বৈরাচার সরকার। একই সঙ্গে প্রশাসন, বিচার বিভাগ, আইন, সংবাদমাধ্যমকে স্বৈরাচার সরকার নিজেদের স্বার্থপূরণে ব্যবহার করে এবং রাজনৈতিক বহুত্ববাদকে খর্ব করার উপযোগী বিধি গ্রহণ করে একচ্ছত্র আধিপত্য চালিয়ে যাচ্ছে। তথাকথিত ‘ধর্মনিরপেক্ষতার ’ শতছিদ্র ধারণা এবং তথাকথিত প্রগতিশীলতার মিথের ওপর দাঁড়িয়ে আজ দেশে স্বৈরাচার প্রতিষ্ঠিত।