তিস্তা চুক্তি খুব শিগগিরই: প্রধানমন্ত্রী

আপডেট: সেপ্টেম্বর ৭, ২০২২
0

তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তিসহ ভারতের সঙ্গে সব অমীমাংসিত সমস্যা শিগগিরই সমাধান হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
নয়াদিল্লির হায়দারাবাদ হাউজে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও ভারতের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা এবং দুই দেশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মধ্যে স্বাক্ষরিত ৭টি সমঝোতা স্মারক সইয়ের পর এক যৌথ বিৃবৃতিতে একথা বলেন শেখ হাসিনা।

বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার চেতনায় অনেক সমস্যার সমাধান হয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দুই দেশ বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার চেতনায় অনেক সমস্যা সমাধান করেছে এবং আমরা তিস্তা পানি বণ্টন চুক্তি দ্রুত স্বাক্ষরসহ সব ইস্যুতে সমাধানের আশা করছি।’

দুই দেশের মধ্যে কুশিয়ারা নদী নিয়ে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তির অন্তর্ভুক্ত ৫৪টি অভিন্ন নদীর পানি বণ্টনের মতো সব সমস্যার সমাধান করা হবে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘৫৪টি অভিন্ন নদী এবং চার হাজার কিলোমিটার সীমান্তবেষ্টিত বাংলাদেশ ও ভারত দুই জনগোষ্ঠীর সম্মিলিত কল্যাণে বদ্ধপরিকর।’

শেখ হসিনা বলেন, ‘আমি পুনর্ব্যক্ত করেছি যে ভারত বাংলাদেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং নিকটতম প্রতিবেশী। বাংলাদেশ-ভারত দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক প্রতিবেশী কূটনীতির রোল মডেল হিসেবে পরিচিত।’

তিনি বলেন, ‘আমরা ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্ব এবং সহযোগিতার মনোভাব নিয়ে বৈঠকটি করেছি। সামনের দিনগুলোতে আমাদের সম্পর্ককে এগিয়ে নিতে আমরা বিস্তৃত দ্বিপাক্ষিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি।’

কানেক্টিভিটি, ব্যবসা-বাণিজ্য, বিনিয়োগ, পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা, নিরাপত্তা, সীমানা এবং ঋণের লাইনগুলো আমরা আলোচনা করেছি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমি ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আমাদের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বজায় রাখতে এবং আমাদের দুই দেশে ও অঞ্চলে শান্তি, নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য সহযোগিতামূলক প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে সম্মত হয়েছি।’