বিকেলে নতুন ইসি শপথ নেবে: দলীয় কমিশন নিয়ে কোনো আগ্রহই নেই বিএনপির–মির্জা ফখরুল

আপডেট: ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২২
0

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন নতুন নির্বাচন কমিশন আজ রবিবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) শপথ গ্রহণ করবেন। এদিন সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে বিকেল সাড়ে ৪টায় তাদের শপথ অনুষ্ঠিত হবে। সংবিধান অনুযায়ী প্রধান বিচারপতি তাদের শপথ বাক্য পাঠ করাবেন।

কিন্তু এদিকে মহাসচিব বলেছেন তাদের সদ্য ঘোষিত নতুন নির্বাচন কমিশন নিয়ে কোনো আগ্রহই নেই বিএনপির।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন ,‘‘ নতুন সিইসি বা কমিশনার কারা হলেন এটা নিয়ে আমাদের কোনো ইন্টারেস্ট নেই, আমাদের কোনো আগ্রহই নেই।এটা নিয়ে আমরা কোনো কথাই বলতে চাই না।’’‘‘ আমাদের মূল কথা হচ্ছে, আওয়ামী লীগ সরকারে থাকলে কোনো নির্বাচন কমিশনের পক্ষে নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব নয়।”

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘‘দলীয় সরকারের অধীনে যে নির্বাচন সুষ্ঠু হয় না তা তো ২০১৪ সালের নির্বাচন বলুন, ২০১৮ সালের নির্বাচন বলুন, স্থানীয় সরকার নির্বাচন বলুন- এই সবগুলোতে নির্বাচনে তা প্রমাণিত হয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে নির্বাচন কমিশন তাদের আজ্ঞাবহ হয়, তাদের অনুগত হয়ে কাজ করে।তাই সরকারের আওয়ামী লীগ থাকলে সেখানে নির্বাচন কোনোভাবেই নিরপেক্ষ হবে না-এটাই ইউনির্ভাসাল ট্রুথ।”

‘‘ আমাদের দলের অবস্থান পরিস্কার- নির্দলীয় সরকারের অধীনেই নির্বাচন হতে হবে। কোনো দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে বিএনপি যাবে না।”

স্বাধীনতার পর প্রথমবারের মতো গত ২৭ জানুয়ারি নির্বাচন কমিশন নিয়োগ আইন পাশ হয়। ওই আইনের আলোকেই আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসানকে প্রধান করে ছয় সদস্যের সার্চ কমিটি গঠন করে দেন রাষ্ট্রপতি।

কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বে ১৩তম নির্বাচন কমিশন গঠিত হলো। নির্বাচন কমিশন আইনের অধীনে গঠিত এটিই প্রথম কমিশন। রোববার শপথ নেওয়ার পরই তারা দায়িত্ব বুঝে নেবেন।

দায়িত্ব পাওয়ার পর ব্যক্তিগতভাবে প্রতিক্রিয়া দেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল ও নির্বাচন কমিশনারগণ। তারা গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের চেষ্টা করবেন বলে জানান। এক্ষেত্রে সবার সহযোগিতাও কামনা করেন তারা।

কেএম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন বিগত কমিশন পাঁচ বছর মেয়াদ শেষে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি বিদায় নিয়েছেন। ওইদিন থেকেই প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার পদ শূন্য রয়েছে। নতুন সিইসি ও নির্বাচন কমিশনাররা শপথ গ্রহণ শেষে ওই পদে অধিষ্ঠিত হবেন। তাদের পাঁচ বছরের মেয়াদে আগামী জাতীয় সংসদসহ সব স্তরের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।