নদ-নদী সুরক্ষায় প্রতিবন্ধকতা ও উত্তরণের উপায়ঃ প্রেক্ষিত বরিশাল

আপডেট: মার্চ ২৬, ২০২৪
0

তারিখ: ২৫ মার্চ, ২০২৩

আজ ২৫ মার্চ, ২০২৪ ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা) এবং ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ এর যৌথ আয়োজনে বরিশালের ‘স্যালিব্রেশন পয়েন্ট কনফারেন্স হল’এ ‘নদ-নদী সুরক্ষায় প্রতিবন্ধকতা ও উত্তরণের উপায়ঃ প্রেক্ষিত বরিশাল’ শীর্ষক একটি মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়েছে। উক্ত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বরিশালের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) শাহ মোঃ রফিকুল ইসলাম, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, পরিবেশ অধিদপ্তরের বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয়ের সিনিয়র কেমিস্ট মোঃ গোলাম কিবরিয়া, বাংলাদেশ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ এর সহকারী পরিচালক মোঃ জাকী শাহরিয়ার এবং ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ এর গবেষণা ও বাস্তবায়ন বিভাগের ব্যবস্থাপক ইকবাল ফারুক । মতবিনিময় সভার সভাপতি ছিলেন সচেতন নাগরিক কমিটি এর সভাপতি অধ্যক্ষ গাজী জাহিদ হোসেন।

সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বরিশালের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) শাহ মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, নদী বাচাতে হবে, তাহলে দেশ রক্ষা পাবে। তিনি তাঁর বক্তব্যে নদ-নদী দূষণ ও দখলের উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। সংশ্লিষ্ট সকল কে অনুরোধ জানান নদী সংরক্ষনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করার জন্য।

পরিবেশ অধিদপ্তরের বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয়ের সিনিয়র কেমিস্ট মোঃ গোলাম কিবরিয়া বলেন, মানব শরীরে শিরা-উপশিরা যেমন ভূমিকা পালন করে তেমনি একটি জনপদের সমৃদ্ধির ও প্রাচুর্যতার জন্য নদ-নদী ও খাল তেমন ভূমিকা পালন করে। আমরা যদি আজ বুড়িগঙ্গার দিকে তাকাই তাহলে দেখতে পাবো দখল-দূষণের কারণে কী করুণ দশা হয়েছে এই নদীর। সেই তুলনায় আমাদের বরিশালের নদীগুলো এখনো সুস্থ্য অবস্থায় আছে। অতএব, আমাদের নদীগুলোকে বুড়িগঙ্গার মতো দেখতে না চাইলে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করার মাধ্যমে নদী রক্ষায় কার্যকর ভূমিকা পালন করতে হবে।

বাংলাদেশ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ এর সহকারী পরিচালক মোঃ জাকী শাহরিয়ার তার বক্তব্যে নদী রক্ষার গুরুত্ব নিয়ে আলোকপাত করেন। একইসাথে, নদী দূষণের সাথে জড়িতদের শাস্তির আওতায় নিয়ে এসে নদী রক্ষায় পদক্ষেপ গ্রহণের ব্যাপারে নিজের অবস্থান ব্যক্ত করেন।

সভাপতির বক্তব্যে সচেতন নাগরিক কমিটি এর সভাপতি অধ্যক্ষ গাজী জাহিদ হোসেন বলেন, পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ব-দ্বীপ হচ্ছে বাংলাদেশ। এই ব-দ্বীপ প্রচুর নদ-নদী দ্বারা আশির্বাদপুষ্ট যা আমাদের এই অঞ্চলের সভ্যতা গড়ে ‍তুলতে সহায়তা করেছে। তাই দেশের অগ্রগতী অব্যাহত রাখতে হলে নদীকে বাঁচাতে হবে। কৃষক-শ্রমিক বা মৎসজীবী যারা আছেন তাদের নদী রক্ষা আন্দোলনে শামীল হতে হবে।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ এর গবেষণা ও বাস্তবায়ন বিভাগের ব্যাবস্থাপক ইকবাল ফারুক পটুয়াখালির আন্ধারমানিক নদী বিষয়ে একটি সচিত্র উপস্থাপনা প্রদান করেন। তিনি বলেন ২০১৯ সালে সুপ্রিম কোর্ট বাংলাদেশ এর সকল নদীকে একটি জীবন্ত সত্তা হিসেবে ঘোষণা করে। এই ঘোষণার প্রেক্ষিতে আন্ধারমানিক নদীর সকল অধিকার ক্ষুন্ন করা হয়েছে। একইসাথে তিনি বরিশালের অন্যান্য নদীগুলোর ব্যাপারে বিভিন্ন বিষয় তার আলোচনায় নিয়ে আসেন।

এই মতবিনিময় সভায় উপস্থিত সাংবাদিক, কৃষক, মৎসজীবী, নদী-পাড়ের লোকজন ও স্থানীয় পরিবেশ কর্মীরা অঞ্চলের নদীগুলোর দুর্দশার এবং তাদের নিজেদের ভোগান্তির ব্যাপারগুলো আলোচনায় নিয়ে আসেন।