না’গঞ্জে প্রবাসির স্ত্রী টুম্পার জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে সংবাদ সম্মেলন

আপডেট: মার্চ ১৩, ২০২১
0

স্টাফ রিপোর্টার, নারায়ণগঞ্জ : নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার মুসাপুর ইউনিয়নে আসলামের নেতৃত্বে মনির, আলী আকবর, নাসির, ওয়াসিম, বাবুল জহিরুল, মাসুম, আলামিন গং প্রবাসী তরিকুলের স্ত্রী মুক্তা বেগম টুম্পার উপর সন্ত্রাসী হামলা ও মানহানি করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। শনিবার (১৩ মার্চ) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি লিখিত অভিযোগে বলেন, আমি একজন গৃহীনি আমার স্বামী দীর্ঘদিন যাবত দেশের বাহিরে কর্মরত আছে। আমার ৭ বছরের একটি ছেলে সন্তান আছে। ইতি পূর্বে আমার বাড়ীর জায়গা ঠিকমতো বুঝিয়ে না পাওয়াতে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে থানায় অভিযােগ করিলে পুলিশের সহযোগিতায় জায়গার সমস্যা সমাধান হয়, সেই থেকে অত্র এলাকার একটি কুচক্রি মহল আমার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করে আসছে তারই ধারাবাহিকতায় ১২ই মার্চ বিকেল আনুমানিক ৬ টায় একদল সন্ত্রাসী তাদের মধ্যে মনির, আলী আকবর, নাসির, ওয়াসিম, বাবুল জহিরুল, মাসুম, আমু, আলামিন গং আমার বসত বাড়ীতে হামলা চালিয়ে আমার বুকে লাথি সহ গলা টিপ দিয়ে শ্বাসরুদ্ধ করে আমাকে প্রানে মেরে ফেলার চেষ্টা সহ অপারক হয়ে ঘরে ভাংচুর করে চলে যায়। এ সময় আমার ৭ বছরের অবুঝ শিশুকে তারা ধরে রাখে এবং আমার ছেলের সামনেই এ ঘটনা ঘটে। আমি চিৎকার করার পরে তারা পালিয়ে যায়। এর আগে তারা আমার ব্যবহারকৃত মোবাইল সেট স্যামসাং মোবাইল নং ০১৮৬৩৯৬২৮৭৭ (৩ ক্যামেরা) ৩০ হাজার টাকা দামের ও ২ ভরি ওজনের গলার চেইন সহ ১ ভরি ওজনের হাতের স্বর্নের ব্যাচলেট নিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। তাদেরকে সাহায্য করে অত্র এলাকার মহিলা সন্ত্রাসী নিলুফা ইয়াসমিন, আছমা ও সপ্না এরা আমার বাড়ীর নিচে দাড়িয়ে পাহারা দেয়। হামলা হওয়ার আগে গনমাধ্যম ব্যাক্তিত্ব সম্পর্কে চাচা তার নিকট বিষয়টি অবহিত করে বলি যে, গোপন সংবাদে জানতে পারলাম আমার উপর যে কোন সময় শক্র পক্ষ পূর্ব শক্রতার জের ধরে হামলা করতে পারে, ঠিক ঐ সময়ই উপরােক্ত সন্ত্রাসীরা আমার ঘরে ঠুকেই ফোনটি ছিনিয়ে নেই পরে গলার চেইন, ব্যাচলেট নিয়ে নেয়। এ সময় আমি চিৎকার করতে থাকি চাচা বন্দর থানা পুলিশকে ফোন দিন আমার উপর হামলা হয়েছে এর পর লাইনটি বিচ্ছিন্ন করে দেয়।
তিনি আরো বলেন, সন্ত্রাসীরা হামলা ছিনতাই করে চলে গেলে আমি নিজেকে বাচাতে একটি সি এন জি নিয়ে প্রথমে বন্দর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ যায় সেখান থেকে আমাকে রেফার্ড করা হয় ভিকটরিয়া হাসপাতালে। আমি পুনরায় সিএনজি নিয়ে বন্দর থানার উদ্দেশ্যে যাত্রা করি সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে কিন্তু থানা গেইট আসার পর আমার শারিরিক অবস্থা খারাপ হলে আমি আমার চাচার সাথে পুনরায় ভিকটরিয়া হাসপাতালে রাতে চিকিৎসা নেউ। সেখান থেকে কর্তব্যরত ডাক্তার সিটি স্ক্যান ও গলার এক্সরে করতে বলে। আমার সাথে ঐ পরিমান টাকা না থাকায় আমি টেস্ট গুলো না করে কোন প্রকার ব্যাথার ঔষুধ খেয়ে চাচা ও তার অফিস স্টাফ এর সহযোগিতা নিয়ে রাত ১১টার পরে একটি গাড়ী ভাড়া করে নিজ বাড়ী মালিবাগের উদ্দেশ্যে রওনা হলে জানতে পারি সন্ত্রাসীরা আমাকে পেলে পুনরায় হামলা করবে। তার পরেও আমি আল্লাহর নাম নিয়ে তাদেরকে নিয়ে নিজ বাড়ীতে গিয়ে প্রয়োজনীয় জিনিপত্র নিয়ে রাত ১টায় আত্মরক্ষার্থে পুনরায় কাশিপুর আমার ফুফুর বাসায় অবস্থান নেই। সন্ত্রাসীরা আমাকে নিয়ে আজে বাজে কথা বলছে যা একজন সচেতন মেয়ে হিসেবে মেনে নিতে পারছিনা কারন একটি মেয়ের তার মুল সম্পদ হচ্ছে তার সতিত্ব।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত অভিযোগে আরো বলা হয়, তাদের অপকর্মের কথা প্রতিবাদ করিলে তারা ইতিপূর্বেও আমাকে প্রানে মেরে ফেলারও হুমিক দেয় এবং আমি যখনই আইনের স্বরনাপন্ন হয় তখন তারা আমাকে নিয়ে আজে বাজে কথা বলতে থাকে। আইনের প্রতি আমার শ্রদ্ধা আছে বলেই আমি পুলিশের সহযোগিতা নিয়ে থাকি কারন আমার স্বামী বিদেশ থাকে, প্রতিনিয়ত নিরপত্ত্বা কে দিবে ? আমাকে অসহায় পেয়ে আমার সতিত্ব নষ্ট করতে টেলিফোনে হুমকি দেয় মনির, আলী আকবর, নাসির,ওয়াসিম, বাবুল, জহিরুল, মাসুম, আলামিন সর্ব গং মালিবাগ, চান্দের বাড়ী থানা বন্দর। আমি কোন উপায়ন্তর না পেয়ে বিষয়টি পুলিশ সুপারকে জানাই পরে শক্র পক্ষ আমাকে বলে তোর বিরুদ্ধে যে ভিডিও করেছি তা ফেসবুকে ছেড়ে দিবো আমাদের কথায় রাজি না হলে। পরবর্তিতে তারা স্থানীয় কিছু মহিলা দিয়ে আমার বিরুদ্ধে আজে বাজে কথা শিখিয়ে একটি ভিডিও তৈরী করে সেটা ফেসবুকে প্রচার করে এতে আত্মীয় মহলে আমার মান ক্ষুন্ন হয়। একজন মেয়ে হয়ে আমার সতিত্বে কলঙ্কের দাগ যেন না লাগে সে ব্যাপারে আমি এই সকল নরপিচাশদের সাথে যুদ্ধ করতে করতে আজ আমি ক্লান্ত তাই আজকের এই সংবাদ সম্মেলনে সমাজের বিবেকবান সাংবাদিকদের সামনে হাজির হয়েছি ন্যায় বিচার পেতে, সেই সাথে সমাজের এই সকল অপরাধিদের মুখোশ উন্মােচন করতে। আজ আমি নিরাপত্ত্বাহীনতায় ভুগছি এবং নিজ বাড়ী ছেড়ে আমাকে অনত্র থাকতে হচ্ছে। বন্দর থানা পুলিশ বিষয়টি অবগত আছে কিন্তু তারা এলাকার ক্ষমতাশালীদের কারনে আইনগত ব্যবস্থা নিতে পারছেনা। তবে আমি ন্যায় বিচার পেতে ও আমার জীবনের নিরাপত্ত্বার জন্য তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে আজই লিখিত আকারে অভিযােগ দায়ের তথা মামলা করবো। এই সকল চিহ্নিত অপরাধিরা ভবিষ্যতে যেন সমাজের আর কোন অসহায় অবলা নারীদের চরিত্র নিয়ে কথা না বলতে পারে, সন্ত্রাসী হামলা না করতে পারে, সে ব্যাপারে আমি আপনাদের সকলের সহযোগিতাসহ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষন করছি।

এম আর কামাল
নারায়ণগঞ্জ