নারায়ণগঞ্জে অটোরিকশার শো-রুমে বিস্ফোরণে ২ ভবনের দেয়াল ধসে আহত-১৫

আপডেট: জুলাই ২৯, ২০২৩
0

স্টাফ রিপোর্টার, নারায়ণগঞ্জ : নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার (ইজিবাইক) শোরুমে ভয়াবহ বিস্ফোরণে ওই ভবনসহ পাশের আরও ২টি ভবনের দেয়াল ধসে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন।
শনিবার (২৯ জুলাই) সকাল সোয়া ৯টার দিকে কাশীপুর ইউনিয়নের ভোলাইল এলাকায় ঢাকা-মুন্সিগঞ্জ সড়কের পাশে এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা জানান, সকালে বিকট শব্দে মুসকান মটরস্ নামে অটোরিকশার শোরুমে বিস্ফোরণ ঘটে। প্রায় ২ কিলোমিটার দূর থেকে বিস্ফোরণের এই শব্দ শোনা যায়। এ সময় পাশের একটি টিনের সেমিপাকা ঘর ও একটি দোতলা ভবনের দেয়াল ও ছাদের অনেকটা ধসে পড়ে। ক্ষতিগ্রস্ত হয় আশপাশের অনেক ভবনের জানালার কাঁচ। এতে আহত সবাইকে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক (ডিএডি) ফখর উদ্দিন আহম্মাদ বলেন, ‘ঢাকা-মুন্সিগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কের পাশে একটি নির্মাণাধীন পাঁচতলা ভবনের নিচতলায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা অ্যাসেম্বল এবং বিক্রি করা হয়। প্রতিষ্ঠানটির ভেতরে অসংখ্য ব্যাটারি আছে। এসব ব্যাটারি থেকেই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
এ ঘটনায় আহত কয়েকজন হলেন, শোরুমের পাশের ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের মালিক সিরাজুুল হক (৭০), তার স্ত্রী রোকসানা বেগম (৫০), তাদের তিন ছেলে সুমন হক (৪০), মাসুদ (৩৩) ও রাসেল (৩৫), মাসুদের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী সুমাইয়া আক্তার, রাসেলের স্ত্রী দোলা আক্তার, সুমনের স্ত্রী বিথি আক্তার, ছেলে আবু সুফিয়ান (১২), মেয়ে আরফা মনি, মাসুদের ছেলে আবু বকর সিদ্দিক (৩), রাসেলের ছেলে আরফান (৪) ও নির্মাণ শ্রমিক পল্টু (৪০)।
সিরাজুল হক বলেন, ‘বিকট শব্দে বিস্ফোরণের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের বিল্ডিংয়ের দেয়াল ধসে পড়ে। দেয়ালে চাপা পড়ে আমাদের পরিবারের লোকজন আহত হয়।
সিরাজুলের অভিযোগ, অটোরিকশা শোরুমের ভেতর অবৈধ কেমিক্যাল রাখতেন মালিক স্বপন। ওই কেমিক্যাল থেকে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
বিস্ফোরণের পর ঘটনাস্থল ঘুরে দেখা যায়, শোরুমটির ২ পাশের দেয়াল পুরোটা ধসে গেছে। উপরের সিলিং ফ্যানগুলো দুমড়ে-মুচড়ে আছে। ভেতরে বেশকিছু অটোরিকশা, ব্যাটারি ও প্ল্যাস্টিকের গ্যালন ভর্তি কেমিক্যাল চোখে পড়ে।
শোরুম ও নির্মাণাধীন ভবনটির মালিক স্বপন হোসেনের ভাষ্য, ব্যাটারিচালিত রিকশা অ্যাসেম্বল করে বিক্রি করেন তিনি। কীভাবে বিস্ফোরণ হয়েছে সে বিষয়ে তার কোনো ধারণা নেই।
এদিকে বিস্ফোরণের ঘটনার পর মালিকপক্ষের লোকজনের ওপর আহত পরিবার ও স্থানীয় লোকজনকে চড়াও হতে দেখা যায়। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয় ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ।

এম আর কামাল
নারায়ণগঞ্জ