নারায়ণগঞ্জ আদালতে ধর্ষণ মামলায় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে সাক্ষী দিলেন দুই জন

আপডেট: এপ্রিল ২৫, ২০২৩
0

স্টাফ রিপোর্টার, নারায়ণগঞ্জ : হেফাজতে ইসলামের সাবেক যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হককে নারায়ণগঞ্জ আদালতে আনা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) সোনারগাঁ থানায় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে তার কথিত স্ত্রীর দায়ের করা ধর্ষণ মামলায় নবম দফায় দুই জন সাক্ষী দিয়েছেন।
এদিন দুপুরে নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক নাজমুল হক শ্যামল নবম দফায় তাদের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।
আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর রকিব বলেন, এ পর্যন্ত এ মামলায় মোট ২০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। সাক্ষীরা বলেছেন মামুনুল হক ধর্ষণ করেছেন।
মামুনুল হকের আইনজীবী নয়ন বলেন, যে দুজন সাক্ষী দিয়েছে তাদের জবানবন্দিতে কারো কথার সঙ্গে ঘটনার মিল নেই। ন্যায় বিচার পপলে মামুনুল হক খালাস পাবেন।
নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান বলেন, মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে মামুনুল হককে কঠোর নিরাপত্তায় কাশিমপুর কারাগার থেকে নারায়ণগঞ্জের আদালতে আনা হয়। সেই সঙ্গে আদালতপাড়া জুড়ে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আজ দুই জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। আদালত আগামী ৬ জুন শুনানির পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করেছেন।
এ দিন চার্জশিটের ২৩ নম্বর সাক্ষী সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আনিসুর রহমান, ২৪ নম্বর সাক্ষী এএসআই কর্ণকুমার হালদার ও ২৫ নম্বর সাক্ষী এএসআই শেখ ফরিদ সাক্ষী দিয়েছিলেন। এ পর্যন্ত এ মামলায় মোট ২০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছে।
২০২১ সালের ২৪ নভেম্বর প্রথম দফায় মামুনুল হকের উপস্থিতিতে দ্বিতীয় স্ত্রী জান্নাত আরা ঝর্ণার সাক্ষ্য নেন আদালত। একই সঙ্গে ওই বছরের ৩ নভেম্বর মামুনুল হকের বিরুদ্ধে করা ধর্ষণ মামলায় বিচারকাজ শুরুর আদেশ দেওয়া হয়।
২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে রয়েল রিসোর্টে এক নারীর সঙ্গে অবস্থান করছিলেন মামুনুল হক। ওই সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এসে তাকে ঘেরাও করেন। পরে স্থানীয় হেফাজতের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা এসে রিসোর্টে ব্যাপক ভাঙচুর করেন এবং তাকে ছিনিয়ে নিয়ে যান।
ঘটনার পর থেকেই মামুনুল হক মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসায় অবস্থান করে আসছিলেন। এ সময় পুলিশ তাকে নজরদারিতে রাখে। এরপর গত ১৮ এপ্রিল মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসা থেকে গ্রেফতার করা হয় মামুনুলকে। পরে এই ঘটনায় ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ মামলা করেন ওই নারী। তবে ওই নারীকে তার দ্বিতীয় স্ত্রী দাবি করে আসছেন মামুনুল হক।