নেতৃত্বের ব্যর্থতা ও রাজনৈতিক হানাহানীর কারণে আমাদের স্বাধীনতা আজও অর্থবহ হয়ে উঠেনি —— মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন

আপডেট: মার্চ ২৩, ২০২১
0

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন বলেছেন, আমরা অর্ধশতাব্দী আগে স্বাধীনতা অর্জন করেছি। সময় বিবেচনায় তা নেহাত কম নয়। আমাদের অনেক পরে স্বাধীনতা লাভ করে অপরাপর জাতি-গোষ্ঠী প্রভূত উন্নতি করতে সক্ষম হয়েছে।

এশিয়াতেও রয়েছে এর নজীর। কিন্তু নেতৃত্বের ব্যর্থতা ও রাজনৈতিক হানাহানীর কারণে আমাদের স্বাধীনতা আজও অর্থবহ হয়ে উঠেনি। তাই দেশ ও জাতিকে এগিয়ে নিতে হানাহানী ও নেতিবাচক রাজনীতি বন্ধ করে ইতিবাচক ধারায় ফিরতে হবে। অন্যথায় আমাদের স্বাধীনতার স্বপ্নগুলো অধরায় থেকে যাবে।

তিনি আজ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তরের হাতিরঝিল থানা পশ্চিম আয়োজিত ‘রুকন ও ইউনিট দায়িত্বশীল সম্মেলন’-এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। ঢাকা মহানগরী উত্তরের মজলিশে শূরা সদস্য ও থানা আমীর মু. আতাউর রহমান সরকারের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি মোঃ ইউছুফ আলী মোল্লার পরিচালনায় সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের কর্মপরিষদ সদস্য হেমায়েত হোসেন, উলামা বিভাগের সভাপতি মাওলানা হাবিবুর রহমান, উপস্থিত ছিলেন থানা কর্মপরিষদ সদস্য আবু তানজিল, আবু সাঈদ মন্ডল, গোলাম মাওলা, রাশেদুল ইসলাম, শায়েস্তা খান, আব্দুস সাত্তার ও হাবিবুর রহমান মজুমদার প্রমুখ।

মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন বলেন, প্রাকৃতিক সৌন্দয্যের লীলাভূমি আমাদের এই প্রিয় মাতৃভূমি। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ ও উদ্যোগ নেয়া গেলে আমারা দেশকে পর্যটন বান্ধব হিসেবে বিশ^বাসীর কাছে উপস্থাপন করতে পারতাম। গুটিকয়েক মূল্যবোধহীন ও লোভী মানুষ ছাড়া আমাদের দেশের মানুষ খুবই ভাল ও অল্পে তুষ্ট এবং তারা প্রায়ই কর্মঠ ও কর্মক্ষম। তাই এদেরেকে মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তোলা গেলে দেশকে উন্নয়ন ও অগ্রগতির দিকে এগিয়ে নেয়া খুবই সম্ভব ছিল। কিন্তু আল্লাহভীরু ও সৎ নেতৃত্বের অভাবে আমরা সে লক্ষ্যে পৌঁছতে পারিনি। তাই আগামী দিনের জাতীয় ও বৈশি^ক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় দেশে সৎলোকের শাসন প্রতিষ্ঠার কোন বিকল্প নেই। তিনি দেশকে কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের আরও সক্রিয়া ভূমিকা রাখার আহবান জানান।

তিনি বলেন, মূলত আল্লাহ আমাদেরকে খলিফা হিসেবে দুনিয়াতে প্রেরণ করেছেন। খলিফার দায়িত্ব হলো আল্লাহ তায়ালার আদেশ যথাযথভাবে পালন করে তার নৈকট্য লাভ ও আল্লাহর যমীনে আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠা করার যথাসাধ্য চেষ্টা করা। আর এক্ষেত্রে মুমিনের কোন পরাজয় নেই। নিহত, বিজয়ী ও পরাজয় কোন কিছুই বিবেচ্য নয়। বরং ইপ্সিত লক্ষ্যে পৌঁছার জন্য প্রাণান্তর চেষ্টা করাই আমাদের প্রকৃত দায়িত্ব। এমতাবস্থায় আমাদের পক্ষে ঘরে বসে থাকার কোন সুযোগ নেই বরং গন্তব্যে পৌঁছার জন্য আমাদেরকে দুঃসাহসিক অভিযান শুরু করতে হবে। উদার মানসিকতা নিয়ে মানব সেবার মাধ্যমে মানুষের মন জয় করে তাদেরকে দ্বীনের পথে সম্পৃক্ত করতে হবে। এক্ষেত্রে গণসংযোগ কর্মসূচীকে বিশেষভাবে কাজে লাগাতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস চালানোর জন্য তিনি আহবান জানান।