আজাদ ভুঁইয়া, স্টাফ রিপোর্টার :
নোয়াখালীতে বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মী সমর্থকদের গায়েবি মামলায় গণগ্রেপ্তারের অভিযোগ করেছে নোয়াখালী ইউনাইটেড লইয়ার্স ফ্রন্ট নেতৃবৃন্দ।
গতকাল বিকেল সাড়ে ৩টায় জেলা আইনজীবী সমিতি ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও নোয়াখালী ইউনাইটেড লইয়ার্স ফ্রন্টের আহ্বায়ক এডভোকেট আবদুর রহমান।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, গত ২৮ অক্টোবর ঢাকায় মহাসমাবেশ কর্মসূচী ঘোষণার পর থেকে নোয়াখালীর ৯টি উপজেলায় বিএনপিও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মিদের গণগ্রেপ্তার শুরু করা হয়েছে। এ ছাড়াও জামায়াতের ২২জন নেতকর্মিকে গ্রেপ্তার করা হয়। ৯টি উপজেলা থেকে বিএনপিও সহযোগী সংগঠনের ১১০জন নেতাকর্মিসহ সর্বমোট ১৫৩জনকে মিথ্যা এবং গায়েবি মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদিকে নোয়াখালীতে বিএনপি জামায়াতের ১১শত নেতাকর্মিদের বিরুদ্ধে আরও ১৫টি মিথ্যা ও হয়রানি মূলক মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানান।
তিনি অভিযোগ করে আরও বলেন,পরিবারের সদস্যদের মানসিক নির্যাতন করা হচ্ছে। গায়েবি মামলায় সিনিয়র আইনজীবীদেরকেও আসামি করা হচ্ছে। সরকার ২০১৮ সালে একটি একতরফা নির্বাচন করেছিল। আবারো একটি একতরফা নির্বাচন করতে কোনো ওয়ারেন্ট, মামলা ছাড়া গণগ্রেপ্তার চালাচ্ছে। বিএনপির সাধারণ সমর্থক ব্যবসায়ীদেরও মিথ্যা ও হয়রানি মূল মামলায় গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। পুলিশ যদি এ ধরনের গ্রেপ্তার বন্ধ না করে তাহলে পুলিশ প্রশাসনের সাথে সাধারণ মানুষের সম্পর্ক আরো খারাপ হয়ে যাবে। নেতৃবৃন্দ এ ধরনের গ্রেপ্তারের তীব্র নিন্দাও প্রতিবাদ জানিয়ে পুলিশ প্রশাসনকে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এডভোকেট এবিএম জাকারিয়া। এ সময় উপস্থিত ছিলেন নোয়াখালী ইউনাইটেড লইয়ার্স ফ্রন্টের যুগ্ম-আহ্বায়ক এডভোকেট তাজুল ইসলাম, নোয়াখালী পৌর বিএনপির সভাপতি আবু নাসের, এডভোকেট নুরুল আমিন, এডভোকেট তাকরীর হোসাইন, এডভোকেট মাহমুদ হাসান শাকিল, এডভোকেট আমীর হোসেন বুলবুল,
এডভোকেট আবদুল কাইয়ুম দিদার, এডভোকেট মিজানুর রহমান, এডভোকেট আমীর হোসেন প্রমুখ।
জানা যায়, সরকারের পদত্যাগসহ এক দফা দাবিতে বিএনপির ডাকা টানা ৭২ ঘন্টার অবরোধ কর্মসূচির শুরুতেই মঙ্গলবার ভোরে অবরোধ এর সমর্থনে নোয়াখালীর বিভিন্ন উপজেলায় বিএনপি ও জামায়াত পৃথক পৃথক মিছিল করেছে। জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে বিএনপি-জামায়াতের ৩০ নেতাকর্মিকে আটক করেছে পুলিশ। নোয়াখালী থেকে দূরপাল্লার কোন পরিবহন ছেড়ে যায়নি।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে নোয়াখালীর পুলিশ সুপার (এসপি) মো.শহীদুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, কোথায় এমন অভিযোগ করা হয়েছে এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না।
