নোয়াখালি বিএনপি নেতা হারুনুর রশিদ মোল্লাকে হত্যায় প্রতিবাদ তারেক রহমানের:’স্বাধীন রাষ্ট্রকে এখন মৃত্যু উপত্যকায় পরিণত করেছে সরকার’

আপডেট: আগস্ট ১৪, ২০২১
0

নোয়াখালী সদর উপজেলার ২০নং আন্ডারচর ইউনিয়ন বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ মোল্লাকে গত ১৩ আগস্ট শুক্রবার সন্ধ্যায় তার নিজ বাড়ীর সামনে সরকারদলীয় একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী পৈশাচিক কায়দায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে। সন্ত্রাসীদের এলোপাতাড়ী গুলি বর্ষণে বিএনপি কর্মী রমিজ উদ্দিন গুলিবিদ্ধ হয়ে রাজধানীর একটি হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। আওয়ামী সসন্ত্রাসীদের এই হত্যাযজ্ঞ ও নারকীয় হামলাকে কাপুরুষোচিত আখ্যা দিয়ে এই মর্মস্পর্শী ও হৃদয়বিদারক ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

আজ এক বিবৃতিতে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, “দেশব্যাপী বিএনপি নেতাকর্মীদেরকে হত্যার মাধ্যমে হাত রক্তে রঞ্জিত করে সরকার ও আওয়ামী লীগ বাংলাদেশ নামক স্বাধীন রাষ্ট্রটিকে এখন মৃত্যু উপত্যকায় পরিণত করেছে। শহর, গ্রামসহ দেশের জনপদের পর জনপদে ক্ষমতাসীন দলের সন্ত্রাসীদের মানুষ হত্যার মহাযজ্ঞ যেন থামছেই না। সন্তানহারা পিতা-মাতা, স্বামীহারা স্ত্রী ও পিতাহারা সন্তানদের আহাজারীতে প্রতিদিনই আকাশ-বাতাস ভারী হয়ে উঠছে। দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল-বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের হত্যা করে ত্রাস সৃষ্টির মাধ্যমে জোর করে রাষ্ট্রক্ষমতা কব্জায় রাখাটাই এখন আওয়ামী রাজনীতির সংস্কৃতি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এই সরকার বিএনপি’র বলিষ্ঠ নেতাকর্মীদের বেছে বেছে হত্যা করার মিশন নিয়ে কাজ করছে, আর সেই মিশনেরই নিষ্ঠুর শিকার হলেন হারুনুর রশিদ মোল্লা। তাকে নির্মম কায়দায় হত্যা সরকারের ধারাবাহিক প্রাণঘাতি নৃশংসতারই আরেকটি বহি:প্রকাশ। দেশকে গণতন্ত্র ও রাজনীতি শুণ্য করতে বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের প্রতিবাদী নেতাকর্মীদের প্রাণ কেড়ে নেয়ার দৌরাত্ম এখন সীমাহীন পর্যায়ে। বিএনপিসহ বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের হত্যা করার উদ্দেশ্যই হচ্ছে-যাতে এই ধরণের হত্যাকান্ডের মাধ্যমে সমাজের মধ্যে একটা আতঙ্ক বিরাজ করে এবং কেউ সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার সাহস না পায়। বর্তমান ভোটারবিহীন সরকার ক্ষমতার মোহে অন্ধ, বেপরোয়া ও মানবিকবোধশুণ্য হয়ে পড়েছে। দুর্বিনীত অনাচার ও প্রতিদিন হত্যাকান্ড সংঘটিত করে দেশকে এক মহা দুর্যোগের মধ্যে ঠেলে দিয়েছে বর্তমান শাসকগোষ্ঠী। তবে রক্তপাত ঘটিয়ে মানুষের জীবন কেড়ে নিয়ে ভীতির সৃষ্টি করে ক্ষমতায় টিকে থাকা যাবেনা।

জনগণ আর বসে থাকবে না, দু:শাসন মোকাবেলায় অব্যাহত রক্তপাতের কর্মসূচিকে সম্মিলিত শক্তি দিয়ে জনগণ প্রতিহত করবে। আমি অবিলম্বে হারুনুর রশিদ মোল্লাকে হত্যাকারী ও রমিজ উদ্দিনকে গুলি করে গুরুতর আহতকারীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি। সন্ত্রাসীদের দ্বারা নির্মমভাবে নিহত হারুনুর রশিদ মোল্লা’র বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং শোকে কাতর পরিবারবর্গ ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি। গুরুতর আহত রমিজ উদ্দিন এর আশু সুস্থতা কামনা করছি।”