পটুয়াখালীর কলাগাছিয়ায় নৌকার মনোনয়ন পেলেন রাজাকারের ভাগ্নে,ক্ষোভ

আপডেট: অক্টোবর ৩০, ২০২১
0

মু,হেলাল আহম্মেদ(রিপন)
পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ

সারাদেশে একযোগে
আসন্ন ১১ নভেম্বর দ্বিতীয় পর্যায়ে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার ৯নং কলাগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকা মার্কার মনোনয়ন পেয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান রাজাকারের ভাগ্নে দুলাল চৌধুরী। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দুলাল চৌধুরী নৌকা প্রতীক পাওয়ায় এলাকার জনগণের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ইউনিয়নের একাধিক আওয়ামী লীগ কর্মী জানান, আমরা বাধ্য হয়ে নৌকা মার্কার জন্য কাজ করছি দলের স্বার্থে কিন্তু প্রার্থী হিসাবে আমরা দুলাল চৌধুরীকে মানতে পারছিনা। দুলাল চৌধুরী নিজে তার দুই সন্তান এবং

ভাইয়েরা মিলে কলাগাছিয়া ইউনিয়নে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। মাদক বিক্রয়, চাদাঁবাজি, অবৈধ দখল, সংখ্যা লঘুদের প্রতি নির্যাতন নিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। দুলাল চৌধুরী নিজে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান এবং সহকারী শিক্ষকদের শারিরীক ভাবে নির্যাতন ও লাঞ্চিত করেছেন যা একাধিক জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। এমনকি তার বড় ছেলে রাসেল চৌধুরী গলাচিপা উপজেলায় মাদক সম্রাট হিসাবে পরিচিত। তার ছোট মিলাল চৌধুরী মাদকসহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীরি হাতে গ্রেফতার হয়েছে। তার অপকর্মের ফিরিস্তি প্রমান সহ (৩-১০-২১) তারিখে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বরিশাল বিভাগীয় সমন্বয়ের কাছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ডে পাঠিয়েছে ইউনিয়নের ভূক্ত ভোগীরা। তা স্বত্বেও কিভাবে দুলাল চৌধুরী পুনরায় মনোনয়ন পেলেন তা ভাবিয়ে তুলেছে এলাকাবাসীকে ও আওয়ামী লীগের তৃনমূল নেতাকর্মীদের।

আসন্ন নির্বাচনে ইউনিয়েনের চেয়ারম্যান প্রার্থী দুলাল চৌধুরীর পরিবারের আরেক জন সদস্য (আনারস মার্কা) নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধীতা করছেন। এস,এম শওকত আলী (জিয়া চৌধুরী) বলেন, বর্তমান চেয়ারম্যানের দিক থেকে এলাকার জনগণ মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন তিনি তার ভাই এবং তার ছেলেরা মিলে এলাকায় মাধক ব্যবসা, দুর্নীতি, দখল, জনগণের উপর অত্যাচার এবং চাদাঁবাজী করে আসছে যা আমাদের পরিবারে দুই শত বৎসরের ঐতিহ্যকে হুমকির মূখে ফেলেছে। আমাদের পরিবারের ঐতিহ্যকে ফিরিয়ে আনার জন্য আমার নির্বাচনে অংগ্রহণ করা। আশা করি জনগণ আমাকে নির্বাচিত করবে।

ঘোড়া প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীতাকারী মোঃ মাইনুল ইসলাম শিকদার সাংবাদিকদের বলেন, দুলাল চৌধুরী গলাচিপা উপজেলার আউলিয়াপুর ইউনিয়নের স্বাধীনতা যুদ্ধকালীন সময়ে শান্তি কমিটির সদস্য আলাউদ্দিন শিকদারের ভাগ্নে।যদি প্রধানমন্ত্রী এব্যাপারটা জানতেন, তাকে আবারো নৌকার মনোনয়ন দিতেন না।তিনি আরও বলেন, দুলাল চৌধুরীর অনুসারীরা এক ভোট পেলেও চেয়ারম্যান মনোনীত হবে ঘোষনা দেয়ায় ইউনিয়নবাসী এবং ভোটারদের মধ্যে আতংকের সৃষ্টি হয়েছে। ইনশাআল্লাহ আমি জনগণের বিপুল ভোটে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হব। এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান প্রার্থী দুলাল চৌধুরীর সাথে মুঠো ফোনে একাধিক বার ফোন দিলেও ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। এসময় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি