পাকিস্তানে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা নিয়ে যা বলা হয়েছে

আপডেট: জানুয়ারি ১৮, ২০২৪
0

পাকিস্তানে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা নিয়ে ব্যাপক তোলপাড় হচ্ছে। অবশেষে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পাকিস্তানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার কারণ এবং লক্ষ্যের কথা ব্যাখ্যা করেছেন।
তিনি বলেছেন, ইরানের সন্ত্রাসী গোষ্ঠী জাইশ আজ-জুলমকে ধ্বংস করতেই ওই হামলা চালানো হয়েছে।

সুইজারল্যান্ডের দাভোসে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের বার্ষিক সভায় তিনি ওই কথা বলেন।

তিন দিনব্যাপী দাভোস শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নেয়ার জন্য ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আবদুল্লাহিয়ান গত মঙ্গলবার সুইজারল্যান্ডে পৌঁছেন।

ইরানের বার্তা সংস্থা ইরনা জানিয়েছে, গতকাল বুধবার আবদুল্লাহিয়ান পাকিস্তানে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর ওপর ইরানের সাম্প্রতিক হামলার বিষয়টি বৈঠকে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেছেন, পাকিস্তানি নাগরিকদের কেউই ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র কিংবা ড্রোন হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিল না। আক্রমণ করা হয়েছে শুধুমাত্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠী জাইশ আজ-জুলমের ওপর।

তিনি বলেন, ইরাক ও পাকিস্তানের অভ্যন্তরে যেসব সন্ত্রাসী ইরানের নিরাপত্তাকে হুমকিগ্রস্ত করছে তাদের ব্যাপারে কোনোরকম আপস নেই। আমির আবদুল্লাহিয়ান স্পষ্ট করে বলেছেন, আমরা ইরাক ও পাকিস্তানের নিরাপত্তাকে ইরানের নিরাপত্তা বলে মনে করি।

উদাহরণ হিসেবে তিনি বলেন, ইরাকের আরবিল কিংবা কুর্দিস্তানের ইহুদিবাদী ইসরাইলি গুপ্তচরদের ওপর ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার অর্থ ইরাকে হামলা করা নয়। ইসরাইলের পক্ষ থেকে যেকোনো পদক্ষেপের দাঁতভাঙা জবাব দেয়া হবে বলেও তিনি জানান।

আবদুল্লাহিয়ান বলেন, ইরান ও ইরাকের অভিন্ন শত্রু ইসরাইল।

বাগদাদ-তেহরান নিরাপত্তা চুক্তির প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ইরাকের কুর্দিস্তানের স্থানীয় কর্মকর্তারা ইরানের সীমান্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ব্যাপারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

লেবাননের রাজধানী বৈরুতে ইসরাইলি হামলার প্রতি জোর দিয়ে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, গাজায় গণহত্যা বন্ধ করলে দক্ষিণ লেবানন ও ফিলিস্তিনের সংঘাত বন্ধ হতে পারে।

তিনি নেতানিয়াহুর উদ্দেশে বলেন, তার জানা উচিত যুদ্ধ কোনো সমাধান নয়।

ফিলিস্তিনের ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসকে যুদ্ধের মাধ্যমে ধ্বংস করা সম্ভব হবে না বলে দৃঢ়তার সাথে উল্লেখ করেন তিনি।

তিনি বলেন, যুদ্ধের মাধ্যমে ইসরাইলি বন্দীরাও মুক্তি পাবে না।

ফিলিস্তিন সমস্যা সমাধানের গণতান্ত্রিক উপায় নির্দেশ করে আব্দুল্লাহিয়ান বলেন, গাজা ও জর্ডান নদীর পশ্চিম তীরের জনগণের মধ্যে গণভোট আয়োজনই সর্বোত্তম পন্থা।

সূত্র : পার্সটুডে