পুলিশী বাধার মুখে নোয়াখালীতে বিএনপির শান্তিপূর্ণ গণমিছিল ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত

আপডেট: ডিসেম্বর ২৪, ২০২২
0

আজাদ ভুঁইয়া, স্টাফ রিপোর্টার :

নোয়াখালী জেলা শহর মাইজদীতে বিএনপির শান্তিপূর্ণ গণমিছিলে পুলিশের বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার বেলা ১১টার দিকে নোয়াখালী প্রেসক্লাবের সামনে থেকে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মিরা এই গণমিছিল বের করে। 

কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সরকারের পদত্যাগ, সংসদ ভেঙে দেওয়া, অবাধ নিরপেক্ষ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের ১০ দফা দাবিতে এই গণমিছিলের আয়োজন করা হয়। বিএনপি নেতাদের দাবি, পুলিশী বাধার মুখে বিএনপির শান্তিপূর্ণ গণমিছিলটি জেলা জামে মসজিদের সামনে গিয়ে শেষ হয়।

বিএনপির গণমিছিলকে কেন্দ্র করে শনিবার সকাল থেকে জেলার ৮টি উপজেলা থেকে মিছিল নিয়ে নেতাকর্মিরা নোয়াখালী প্রেসক্লাবের সামনে জড়ো হয়। গনমিছিলিটি জেলা জামে মসজিদের সামনে গেলে পুলিশী বাধার মুখে শান্তিপূর্ণ সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয়। সেখানেই তারা অবস্থান নিয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ করে।

নোয়াখালী জেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম হায়দার বিএসসির সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুর রহমানের সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু।  
এ সময় আরো বক্তব্য রাখেন, জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট এবিএম জাকারিয়া, সদর উপজেলা বিএনপি সভাপতি সলিম উল্যা বাহার হিরন চেয়ারম্যান, সাধারণ সম্পাদক ভিপি জসিম উদ্দিন, বিএনপি নেতা আবু সালেহ মোঃ আবদল্লাহ সবুজ, সোনাইমুডী পৌর বিএনপির সভাপতি ও সাবেক মেয়র মোতাহের হোসেন মানিক, বেগমগঞ্জ উপজেলা বিএনপি সভাপতি কামাক্ষা চন্দ্র দাস, কবিরহাট পৌর বিএনপির আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান মঞ্জু, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মাহমুদুর রহমান রিপন, জেলা যুবদল সভাপতি মঞ্জুরুল আজিম সুমন, সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন খান, জেলা সেচ্ছাসেবক দল সভাপতি সাবের আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান, জেলা ছাত্রদল সভাপতি আজগর উদ্দিন দুখু, সাধারণ সম্পাদক আবু হাসান, জেলা মহিলা দলের সভাপতি ভিপি শাহনাজ পারভীন প্রমূখ।  
প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা, স্বৈরাচারী সরকারের পদত্যাগ দাবী করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ ১০ দফা দাবির কথা উল্লেখ করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, পূর্ব অনুমতি না থাকায় তারা প্রধান সড়কে মিছিল করতে পারেনি।