বদলে যাবে সৌদির কালেমাখচিত পতাকা!

আপডেট: ফেব্রুয়ারি ২, ২০২২
0

সৌদি আরবের জাতীয় পতাকা, প্রতীক ও সঙ্গীত সংস্কারের বিষয়ে সম্মত হয়েছে দেশটির মজলিশে শূরা।

সোমবার মজলিশে শূরার সদস্য সাআদ আল-উতাইবির প্রস্তাবের পর সম্মত হওয়ার বিষয়টি সম্পন্ন হয়।

জাতীয় পতাকা, প্রতীক ও সঙ্গীত সংস্কারের প্রস্তাবটি ১৯৭৩ সালে রাজকীয় এক আদেশের অনুসারে গ্রহণ করা হয়।

সৌদি প্রেস এজেন্সি (এসপিএ) জানায়, শূরার নিরাপত্তা ও সামরিক বিষয়ক কমিটির পর্যালোচনার পর এই সংস্কারের পক্ষে সম্মতি দেয়া হয়েছে। জাতীয় পতাকা, প্রতীক ও সঙ্গীত সংস্কারের এই প্রস্তাব বাস্তবায়ন এখন সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজের চূড়ান্ত অনুমোদনের ওপর নির্ভর করছে।

তবে জাতীয় পতাকা, প্রতীক ও সঙ্গীতের সংস্কার হলে তাতে কী পরিবর্তন করা হবে তা নিয়ে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি।

সৌদি সংবাদমাধ্যম সাবাকের অনলাইনের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, মূলত পতাকা সংশোধনের চিন্তাটি এসেছে বড় পরিবর্তনটির সাথে তাল মেলানোর জন্য, যে পরিবর্তনটি গত কয়েক বছর যাবত বিভিন্ন নিয়মের উন্নয়ন ও শরীয়া সমর্থিত আইনগুলোকে নবায়ন করার ক্ষেত্রে সৌদি আরব প্রত্যক্ষ করছে। এগুলোর মূল লক্ষ্য ভিশন-২০৩০ বাস্তবায়ন।

সৌদি আরবের দৈনিক পত্রিকা আল-ইয়াউমে জানানো হয়, সংস্কারে জাতীয় পতাকা ও সঙ্গীতে কোনো পরিবর্তন হবে কি না তা জানানো হয়নি, বরং এগুলোর আইনে সংশোধন আনা হবে। তবে আইনে কী ধরনের সংশোধন আসতে পারে সে ব্যাপারে স্পষ্ট কিছু জানায়নি পত্রিকাটি।

পত্রিকার ভাষ্য অনুসারে, সৌদি আরবের পতাকার প্রয়োজনীয় সম্মান এবং কালেমাখচিত পতাকাকে অবহেলা ও অনিচ্ছাকৃতভাবে পড়ে যাওয়া থেকে সুরক্ষার জন্যই এই আইন হতে পারে।

প্রায় কাছাকাছি তথ্য দিয়েছে আশশারক আলআওসাত। পত্রিকাটি বলেছে, সংশোধনী হবে শুধু জাতীয় পতাকা, প্রতীক ও সঙ্গীতের আইনের ক্ষেত্রে, কিন্তু সংশোধনীতে এগুলোতে কী থাকবে এবং আকৃতি কেমন হবে সে ব্যাপারে কোনো বার্তা নেই।

সংশোধন প্রস্তাবকারী সাআদ আল-উতাইবি বলেন, নতুন আইন প্রণয়নের প্রয়োজনীয়তা হলো, সব ক্ষেত্রেই রাষ্ট্রীয় প্রতীক ব্যবহার করা হয় কিন্তু এর অপব্যবহার করলে কী হবে তা নির্ধারণ করা।

কেউ যেন মুসলিমদের ওপর ‘সহিংসতা’র অভিযোগ আনতে না পারেন এর ভিত্তিতে আগেও সৌদি আরবের পতাকা থেকে তলোয়ারের চিত্র সরানোর প্রস্তাব দেন দেশটির এক লেখক।

কিন্তু তলোয়ারটি হিংসাকে নয় বরং সৌদি আরবের শক্তিকে উপস্থাপন করে। একইসাথে এটি শক্তি ও ন্যায়বিচারের প্রতীক এবং সৌদির ইতিহাসের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হওয়ায় ওই প্রস্তাব গৃহীত হয়নি।

সূত্র : আলজাজিরা