বরগুনায় বাড়ি ঘর ছাড়া বিএনপি : তবুও গায়েবি মামলা

আপডেট: নভেম্বর ৬, ২০২৩
0

বরগুনা প্রতিনিধি :

বরগুনায় গ্রেফতার আতংকে বাড়ি ঘর ছাড়া বিএনপিসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের হাজার হাজার নেতা-কর্মী। বিএনপি করেন বা কমিটিতে যাদের নাম রয়েছে,এমন সকলের বাড়ি ঘরে পুলিশ রীতিমত তল্লাশি চালাচ্ছে এবং তল্লাশি নামে বিভিন্নভাবে পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের কেও হয়রানি করছে বলে অভিযোগে বিশেষ সূত্রে জানা গেছে। অপরদিকে ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতা কর্মীদের যেখানে যে অবস্থায় পাচ্ছেন্ সেখান থেকেই পুলিশ গ্রেফতার করে মিথ্যা গায়েবি মামলায় আসামি করে এবং পুরনো মামলায় আসামী দেখিয়ে তাৎক্ষণিক জেল হাজতে প্রেরণ করছেন। রীতিমতো হয়রানি ও তাণ্ডপলীলা চালিয়ে যাচ্ছেন সাধারণ বিএনপির সমর্থক বিএনপি মনা সাধারণ জনগণ ও স্থানীয় শীর্ষ পর্যায়ের নেতাকর্মীর উপর।
স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও পুলিশ মিলে বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করার তালিকা তৈরি করেছেন। এ তালিকায় দলীয় ভাবে বরগুনা জেলা বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠন অর্থাৎ দল পরিচালনার জন্য সর্বোচ্চ অর্থ দাতাদের নামের একটি তালিকা করে বলে শোনা যাচ্ছে এবং সেই তালিকায় বরগুনা জেলায় অর্থদাতা হিসেবে সর্ব প্রথম ১ নম্বর স্থানে রয়েছেন সংসদীয় আসন ১১০ বরগুনা-২(বামনা পাথরঘাটা বেতাগী) উপজেলার জননন্দিত জননেতা জনাব মোঃ মিজানুর রহমান খান জাকির (জগকির খান) এই তালিকায় অন্যান্য ব্যক্তিবর্গ রয়েছেন, তাদেরকেও গ্রেফতার গ্রেপ্তার করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠে পড়ে লেগেছেন বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে বরগুনা জেলা পুলিশ সুপার ও অন্যান্য থানার ওসি ও পুলিশ সদস্যরা। সাধারণ বিএনপি মনা কর্মীরাও পুলিশের হয়রানী থেকে রেহাই পাচ্ছেন না। বিভিন্ন থানায় কর্মরত পুলিশ সদস্যরা বিএনপি মনা অথবা বিএনপি নেতাকর্মী রাস্তাঘাটে দেখলেই তাদের বিভিন্নভাবে হয়রানি করে, গ্রেফতার করে হয়রানি করার জন্য উক্ত নেতার দেহ তল্লাশির নামে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি করে এবং এমনকি তাদের মোবাইল ফোনে বিএনপি নেতাদের ছবি অথবা কোন বিএনপি কর্মসূচির পোস্ট বা পোস্টার সম্মলিত ব্যানার ফেস্টুন পেলেও তাৎক্ষণিক ওই নেতাকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।
বরগুনা-২(পাথরঘাটা-বামনা-বেতাগী) সংসদীয় আসনের বিএনপি মনোনয়ন প্রত্যাশী মো: মিজানুর রহমান খান জাকির(জাকির খান) ইতিমধ্যেই পুলিশ ডিপার্টমেন্ট ও আওয়ামী লীগকে এ জাতীয় হয়রানি মূলক কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন এবং বলেছেন বরগুনা জেলা বিএনপিকে যে সকল ব্যবসায়ি,শিল্পপতি, রাজনীতিবিদ ও বিএনপির দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী (এমপি প্রার্থীরা) অর্থ দিয়ে দীর্ঘদিন দল পরিচালনা করেছেন। এদের মধ্যে পুলিশ লীগ ও আওয়ামী লীগের তালিকায় এক নাম্বারের গ্রেফতারের তালিকায় আমি মো: মিজানুর রহমান খান জাকির (জাকির খান) রয়েছি বলে বিভিন্ন সূত্রে শোনা যাচ্ছে!
বিএনপি নেতা আবদুল জলিল বলেন, বরগুনা-২ আসন থেকে বিএনপি প্রার্থী মোঃ মিজানুর রহমান খান জাকির (জাকির খান) বামনা উপজেলা বিএনপির সম্মানিত সদস্যের নাম বামনা উপজেলা ও বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগ কর্তৃক দেয়া লিস্টের তালিকায় এক নম্বরে উঠে এসেছে। গত বৃহস্পতিবার দিন স্থানীয় আওয়ামী লীগ বামনা থানায় বিএনপি করে এমন একটি ১৪৮ জনের তালিকা ওসির নিকট দিয়ে আসছেন। সে লিস্ট অনুযায়ী পুলিশ বিএনপি নেতা কর্মীদের নামে গায়েবি মামলা দায়ের করেছেন এবং বিগত দিনের পেন্টিং পুরানো মামলায় যাকে-তাকে গ্রেফতার দেখানো হচ্ছে জাকির খানের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন এবং আওয়ামী লীগ ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে ইতিমধ্যে হিসেবে বেশ কিছু কথা বলেছেন এবং বরগুনা জেলা বিএনপির অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদেরকে হয়রানি না করার জন্য এবং গ্রেপ্তার না করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন। তবে শত অনুরোধ ও বাধা প্রদানের পরেও পুলিশ গ্রেফতার করে পুরানো মিথ্যা মামলায় জেল হাজতে পাঠিয়ে দিচ্ছেন।
বামনা উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব খন্দকার মহিদুল ইসলাম মোর্শেদ বলেন, অত্যন্ত দুঃখজনক হলেও সত্য যে আমাদের প্রাণপ্রিয় নেতা মো: মিজানুর রহমান খান জাকির(জাকির খান) বরগুনা-২ (বামনা পাথরঘাটা বেতাগী) সহ বরগুনা জেলার সকল ইউনিটি ওয়ার্ড ইউনিয়ন পৌরসভা উপজেলায় সামাজিক উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড,ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান, সমাজের বিভিন্ন আর্থসামাজিক কাজে সম্পৃক্ত থাকেন, যেমন মিলাদ মাহফিল, মসজিদ-মাদ্রাসা এতিমখানা, হিন্দুদের পূজা পূজা মন্ডপে পূজা অনুষ্ঠানের সময় সাহায্য সহযোগিতা করা সহ সকল ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অর্থনৈতিকভাবে দীর্ঘদিন যাবত সহযোগিতা করে আসছেন। দীর্ঘদিন থেকে বরগুনা জেলার বিভিন্ন ইউনিটে এমনকি বিএনপি’র বিভিন্ন ওয়ার্ড ইউনিয়ন ও উপজেলা পর্যায়ের অফিসে বিভিন্ন রকম অর্থনৈতিক সহযোগিতা করে আসছেন, দীর্ঘদিন সম্পৃক্ত ছিলেন, আছেন এবং থাকবেন বলে আমরা বিশ্বাস করি। সর্বসময় বিএনপির প্রতিটি নেতাকর্মীদের সন্তানের ন্যায় সুখে দুঃখে আগলে রাখেন এবং পাশে থাকেন। এই ধর্মীয়, সামাজিক, অসহায় ও গরিব দুঃখী, মেহনতী মানুষের পাশে থেকে অর্থনৈতিক ভাবে তাদেরকে সাহায্য করা এবং বিএনপি’র নির্যাতিত অবহেলিত নেতাকর্মীদের অর্থনৈতিকভাবে সাহায্য করা, এজাতীয় কর্মকাণ্ড গুলো তিনি দীর্ঘদিন থেকে বরগুনা জেলার সর্বস্তরে জনগণের সাথে মিলেমিশে পরিচালনা করে আসছেন। তিনি যখন মানুষের সেবায় অর্থনৈতিকভাবে সহযোগিতা করেন তখন কোন দিনই সে বিএনপি, আওয়ামী লীগ বা কোন পার্টির সমর্থক তা দেখে শুনে বিচার-বিশ্লেষণ করে অর্থনৈতিকভাবে সাহায্য সহযোগিতা করেন না, এর বহু প্রমান বরগুনা জেলা ও বামনা উপজেলা আওয়ামীলীগের কাছেও আছে আছে বলে আমরা বিশ্বাস করি। সাহায্য সহযোগিতার ক্ষেত্রে সকলকে তিনি সমান চোখে দেখেন। তিনি তার নিজ জন্মস্থান বরগুনা জেলা সহ ছয়টি উপজেলা, চারটি পৌরসভা, মোট ১০টি সাংগঠনিক ইউনিটের সকল নেতাকর্মী ও সাধারণ জনগণকে এক চোখেই দেখেন এবং প্রত্যেকটা উপজেলায় ইউনিয়ন ও পৌরসভায় মসজিদ মাদ্রাসা এতিমখানা ও পূজা মন্ডপের সাহায্য সহযোগিতা দীর্ঘদিন যাবৎ করে আসছেন এর বহু প্রমান রয়েছে যাহা একক ভাবে সমোহারে যথাসম্ভব অর্থনৈতিক ভাবে দীর্ঘদিন যাবত সহযোগিতা করে আসছেন এবং তার নিজ উপজেলা বামনা উপজেলায় বসবাসরত সকলকেই এক চোখে দেখেন এবং তার সামর্থ্য অনুযায়ী যে কারোই বিপদের কথা শুনলে অথবা তাকে জানালে সর্বসময় সাহায্য সহযোগিতা করে থাকেন।
তিনি আরো বলেন, বরগুনা জেলা সর্বস্তরের জনগণ এবং তার নিজ জন্মস্থান বামনা উপজেলায় সর্বস্তরের জনগণের কাছে সর্বজন স্বীকৃত, গরীব দুঃখী মেহনতী মানুষকে অর্থ দান, বিএনপি’র ১৫ বছরের অবহেলিত নির্যাতিত নেতাকর্মীদেরকে অর্থ দান করা, কোন অপরাধ হিসেবে গণ্য হতে পারে না। আমরা বরগুনা জেলা সর্বস্তরের সাধারণ জনগণ এর তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাই। সাথে সাথে বিএনপি কেন্দ্র ঘোষিত সকল কর্মসূচী জাকির খান ভাইয়ের পক্ষ থেকে শান্তিপূর্ন লাগাতার দুই দিনের শান্তিপূর্ণ অবরোধ পালনের আহবান জানাই।
বরগুনা জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও বামনা উপজেলা বিএনপির আহবায়ক ইঞ্জিনিয়ার আবুল কালাম আজাদ রানা বলেন, শান্তি পূর্ন কর্মসূচীতে পুলিশ সম্পূর্ণ অন্যায় ভাবে বাধা দিচ্ছে এবং মিথ্যা মামলায় আমাদের নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। আমি এবং মো: জাকির খান এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে এদের নি:শ্বর্ত মুক্তির দাবি করছি। বামনা থানা পুলিশ উপজেলা শ্রমিক দলের আহবায়ক জসিম উদ্দিন ইমনকে জামাত শিবিরের পুরনো একটি মামলায় গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠিয়েছে যা আসলেই দুঃখজনক।
এ বিষয়ে বরগুনা পুলিশ সুপার মো: আবদুস ছালাম জানিয়েছেন, বরগুনায় সকল প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে মাঠে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। সার্বক্ষনিক জেলা পুলিশ কঠোর অবস্থানে থাকবেন।