বাংলাদেশের সরকার প্রধানের নামেও যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে : মেজর হাফিজ

আপডেট: ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২২
0

রাশিয়া-ইউক্রেন পরিস্থিতিতে বিশ্ব রাজনীতি নতুন মোড় নিয়েছে মন্তব্য করে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর হাফিজ উদ্দিন বীর বিক্রম বলেছেন, রাশিয়ার মতো বাংলাদেশের সরকার প্রধানের নামেও যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে। রাতের ভোট চোর সরকার জনগনের অধিকার হরন করে হত্যা গুম খুন অপহরন ও বিরোধী শক্তিকে দমনের নামে গনতন্ত্র ও মানবাধিকার হরন করেছে।

তিনি বলেন, পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা এটা কোনো বিদ্রোহ নয়। এর মূল কারণ ছিল সেনাবাহিনীর মনোবল ভেঙে দেওয়া। দুর্ভাগ্য আমাদের আজকে এত বছর পরও প্রকৃত ঘটনা তদন্ত করা সম্ভব হয়নি। পিলখানার এই দুর্ঘটনার মাধ্যমে আমাদের জাতীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ভেঙে ফেলা হয়েছিল। পরবর্তীতে সেনাবাহিনী দিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করলেও তার রিপোর্টও প্রকাশ করা হয়নি। ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি ছিল জাতির জন্য একটি শোকাবহ দিন। একই সঙ্গে একটি আতঙ্কেরও দিন। এই দিনে বিদ্রোহের মধ্য দিয়ে আমাদের জাতির সবচেয়ে বড় সম্পদ সেনাবাহিনীর ৫৬ জন কর্মকর্তাকে হত্যা করা হয়েছে। এই ঘটনার মধ্য দিয়ে জাতির যে নিরাপত্তা ব্যবস্থা তা সম্পূর্ণভাবে ভেঙে ফেলা হয়েছে।

তিনি আজ (শনিবার) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ লেবার পার্টি আয়োজিত পিলখানা হত্যাকান্ডে নিহতদের মাগফিরাত কামনায় আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।

লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডাঃ মোস্তাফিজুর রহমান ইরানের সভাপতিত্বে ও ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব লায়ন ফারুক রহমানের সঞ্চালনায় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় পার্টি (জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, জাতীয় দলের চেয়ারম্যান এডভোকেট এহসানুল হুদা, যুবদলের সাবেক সভাপতি এলবার্ট পি. কস্তা, মুফাচ্ছিরীন পরিষদের অধ্যক্ষ মাওলানা মোশারফ হোসাইন, কল্যান পার্টির উপদেষ্টা মেজর ডাঃ বদরুল আলম, প্রিন্সিপাল এম এ মালেক প্রমুখ। সভায় প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ মানবাধিকার সংরক্ষন সংস্থার চেয়ারম্যান এডভোকেট জহুরা খাতুন জুই।

সভাপতির বক্তব্যে ডাঃ ইরান বলেন, পিলখানা হত্যাকান্ডের উদ্দেশ্য ছিল মেধাবী সেনা অফিসারদের হত্যা করে সেনাবাহিনীকে ধ্বংস করা। সেদিন বাংলা হারিয়েছিল জাতির সূর্য সন্তানদের। সরকারের উচিত বিডিআর বিদ্রোহের নেপথ্য রহস্য জাতিকে জানানো। একই সঙ্গে সেনা হত্যাকান্ডের নেপথ্য নায়কদেরও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া।