বাংলাদেশে পাবজি, ফ্রি ফায়ার বন্ধ : বন্ধ হচ্ছে লাইকি টিকটক

আপডেট: আগস্ট ২৫, ২০২১
0

হাইকোর্টের দেওয়া নির্দেশ অনুযায়ী দেশে পাবজি, ফ্রি ফায়ারের মত ‘বিপজ্জনক’ অনলাইন গেম বন্ধ করেছে বাংলাদেশ টেলিকম রেগুলেটরি কমিশন (বিটিআরসি)। বুধবার গণমাধ্যমকে বাংলাদেশে পাবজি, ফ্রি ফায়ার বন্ধের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।

তিনি বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা জরুরীভাবে (ইমিডিয়েটলি) ৩ মাসের বন্ধ জন্য পাবজি এবং ফ্রি ফায়ার বন্ধ করেছি। এছাড়াও বাকী যেই অ্যাপগুলো সম্পর্কে নির্দেশনা আছে সেইগুলো নিয়ে সংশ্লিষ্ট সকল মন্ত্রনালয়, অধিদপ্তর বা সংস্থার সাথে বসে পর্যালোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

এই অ্যাপগুলো বিপজ্জনক কি না, আদালতে আপনাদের পক্ষ থেকে এমন কোন যুক্তি উপস্থাপন করা হবে কি এমন প্রশ্নের উত্তরে মোস্তাফা জব্বার বলেন, বিষয়টি যেহেতু শুধু আমাদের না, আরো অনেক মন্ত্রনালয়, অধিদপ্তর বা সংস্থা জড়িত আছে। তাদের সাথে বসে আলোচনা করতে হবে। মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রনালয় বলতে পারবে এটা শিশুদের জন্য ক্ষতিকর কি না, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয় বলতে পারবে এখানে কোনভাবে আইন লঙ্ঘন হচ্ছে কিনা। সবার সম্মিলিত মতামতের পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

অপরদিকে খুব শিগগির টিকটক লাইকিও বন্ধ হতে পারে জানিয়ে বিটিআরসি’র ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত রায় মৈত্র গনমাধ্যমকে বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী পাবজি ও ফ্রি ফায়ার বন্ধ করতে ডিপার্টমেন্ট অব টেলিকমকে (ডট) এ বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। ইতোমধ্যে এইগুলা বন্ধ হয়ে গেছে। পাশাপাশি টিকটক, বিগো লাইভ ও লাইকির মত অন্যান্য অ্যাপগুলো বাংলাদেশে বন্ধের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, যেহেতু অ্যাপগুলোর লিংক বন্ধ করলেও ভিপিএন দিয়ে চালানো যায়। এসব বন্ধ করার মত সক্ষমতা আমাদের নেই। তাই এসব অ্যাপের কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি দিয়েও আমরা বন্ধ করার অনুরোধ জানাব।

এরআগে গত ১৬ অগাস্ট তিন মাসের জন্য দেশের অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে পাবজি, ফ্রি ফায়ারসহ এ ধরনের ‘বিপজ্জনক’ সব গেইম বন্ধের নির্দেশ দেয় হাই কোর্ট। এসব অনলাইন গেইম এবং টিকটক, লাইকির মত ভিডিও স্ট্রিমিং অ্যাপ বন্ধের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে রুল জারি করা হয়। এছাড়া এ ধরনের অনলাইন গেইম এবং অনলাইন স্ট্রিমিং অ্যাপ নিয়মিতভাবে পর্যবেক্ষণ, পর্যালোচনা করার জন্য একটি কারিগরি দক্ষতাসম্পন্ন বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন এবং এ বিষয়ে একটি নীতিমালা তৈরির নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়।

রুলে ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব, বিটিআরসির চেয়ারম্যান, শিক্ষা সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন সচিব, স্বাস্থ্য সচিব এবং পুলিশের মহাপরিদর্শককে বিবাদী করা হয়েছে।