বাঙালি জনগোষ্ঠীর ঐতিহ্য, সংস্কৃতি এবং কৃষ্টির বাহক পহেলা বৈশাখঃ সাদ এরশাদ এমপি

আপডেট: এপ্রিল ১৩, ২০২৩
0
saad ershad
saad


ঢাকা: বৃহস্পতিবার
১৩ এপ্রিল ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ

বাংলা নববর্ষ-১৪৩০ এর আগমন উপলক্ষে দেশ এবং প্রবাসে বসবাসরত বাংলাদেশিসহ রংপুরবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন পল্লীবন্ধু এরশাদ-রওশন পুত্র, রংপুর-০৩ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য রাহগির আল মাহি সাদ এরশাদ।

শুভেচ্ছা বার্তায় তিনি বলেন,’জাগতিক নিয়মের পথ-পরিক্রমায় বছর শেষে আমাদের মধ্যে আবার এসেছে নতুন বছর-১৪৩০ বঙ্গাব্দ। ‘এ ভূখণ্ডের হাজার বছরের ঐতিহ্য, সংস্কৃতি এবং কৃষ্টির বাহক এ দেশের বাঙালি জনগোষ্ঠী। বিভিন্ন ধর্মে-বর্ণে বিভক্ত হলেও ঐতিহ্য ও কৃষ্টির জায়গায় সব বাঙালি এক এবং অভিন্ন। নানা ঘাত-প্রতিঘাতে অনেক ঐতিহ্য হারিয়ে গেলেও পহেলা বৈশাখে নববর্ষ উদযাপন এখনো স্বমহিমায় টিকে আছে। সারা বছরের ক্লেদ-গ্লানি, হতাশা ভুলে এদিন সব বাঙালি নতুন আনন্দ-উদ্দীপনায় মেতে ওঠেন। ‘‘এসো হে বৈশাখ, এসো এসো/ মুছে যাক গ্লানি, ঘুচে যাক জরা/ অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা”— গান গেয়ে আমরা আবাহন করি নতুন বছরকে।’

পহেলা বৈশাখের বর্ষবরণকে বাঙালির সর্বজনীন উৎসব আখ্যা দিয়ে সাদ এরশাদ এমপি বলেন,‘সকল সংকীর্ণতা,কূপমণ্ডূকতা পরিহার করে উদারনৈতিক জীবনব্যবস্থা গড়ে তুলতে পহেলা বৈশাখ আমাদের অনুপ্রাণিত করে। মনের ভেতরের সকল ক্লেদ, জীর্ণতা দূর করে আমাদের নতুন উদ্যমে বাঁচার শক্তি জোগায়, স্বপ্ন দেখায়। আমরা যে বাঙালি, বিশ্বের বুকে এক গর্বিত জাতি, পহেলা বৈশাখের বর্ষবরণের মাধ্যমে আমাদের মধ্যে এই স্বাজাত্যবোধ এবং বাঙালিয়ানা নতুন করে প্রাণ পায়, উজ্জীবিত হয়।’ ‘আজ শুধু দেশে নয়, বিশ্বের যে প্রান্তেই বাঙালি তাঁর বসবাস গড়ে তুলেছেন, সেখানেই বাঙালির হাজার বছরের লোক-সংস্কৃতিকে বয়ে নিয়ে গেছেন এবং যাচ্ছেন। বর্ষবরণসহ নানা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে তাঁরা জানান দেন, তাঁরা বাঙালি। আর এর মাধ্যমেই পৃথিবীজুড়ে তৈরি হচ্ছে বাঙালি সংস্কৃতির সঙ্গে অন্য সংস্কৃতির সেতুবন্ধ।’

নববর্ষের অসাম্প্রদায়িক চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে একটি সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে সাংসদ সাদ এরশাদ এমপি বলেন, ‘পারস্পরিক সৌহার্দ্য আর ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে আসুন, বাংলাদেশকে বিশ্বের বুকে একটি উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করি। যেখানে বৈষম্য থাকবে না, মানুষে মানুষে থাকবে না কোনো ভেদাভেদ, থাকবে না ধর্মে-ধর্মে কোনো বিভেদ।’