‘সংখ্যালঘু’ শব্দটা মুছে ফেলতে হবে — ধর্মপ্রতিমন্ত্রী

আপডেট: এপ্রিল ১৩, ২০২৩
0

স্টাফ রিপোর্টার, গাজীপুর \ ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান বলেছেন, অনেকে নিজেদেরকে সংখ্যালঘু ভাবেন। এ শব্দটা মুছে ফেলতে হবে। কারণ বাংলাদেশ যখন স্বাধীন হয় তখন কিন্তু (স্বাধীনতা যুদ্ধে) হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রীস্ট্রান সকলেই রক্তের বিনিময়ে স্বাধীন করেছে। আমরা সবাই বাংলাদেশী এবং আমরা বাঙ্গালী হিসেবে ঐক্যবদ্ধ। আমাদের ভেতরে ভেদাভেদের কোন প্রশ্ন আসতে পারে না। আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে থাকতে চাই, বাঙ্গালী হিসেবে থাকতে চাই। এদেশে বসবাসের জন্য সবারই সমঅধিকার রয়েছে। এ অধিকার আদায়ে আমরা সচেষ্ট থাকবো। বাঙ্গালী হিসেবেই আমরা যার যার অধিকার নিয়ে বসবাস করতে চাই। এটাই হলো আমাদের থিউরি। তিনি আরো বলেন, সকলকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারে দায়িত্বশীল হতে হবে। মোবাইলে স্ট্যাটাস দেওয়ার সময় অবশ্যই সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। এমন কোনো স্ট্যাটাস দেওয়া যাবে না যাতে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে কোনো ধরনের আঘাত আসে।

বৃহস্পতিবার সকালে গাজীপুর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত ‘ধর্মীয় সম্প্রীতি ও সচেতনতামূলক আন্ত:ধর্মীয় সংলাপ’-এর প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন গাজীপুর জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমান। সংলাপে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ধর্ম মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আবদুল্লাহ আল শাহীন।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- গাজীপুর সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ এবিএম ইসমাইল হোসেন মিয়া ও সাবেক অধ্যক্ষ এম এ বারী, শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ তরিকুল ইসলাম, কাপাসিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একেএম গোলাম মোরশেদ খান, কালিয়াকৈর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, তাজওয়ার আকরাম সাকাপি ইবনে সাজ্জাদ, গাজীপুর সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ মোরাদ আলী, গাজীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাজমুস সাকিব, ভাষা শহীদ কলেজের অধ্যক্ষ মুকুল কুমার মল্লিক, ভাওয়াল মির্জাপুর কলেজের সহকারি অধ্যাপক মো. আবুল হোসেন, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট সুদীপ কুমার চক্রবর্তী ও মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অরুন সাহা, গাজীপুর জেলা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব মুফতি কামরুল ইসলাম নোমানী, গাজীপুর বাস স্ট্যান্ড জামে মসজিদের খতিব মোঃ আকতার হোসেন প্রমুখ।

ধর্মপ্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, আজকে উন্নয়নশীল দেশে বাংলাদেশ পা ফেলেছে। ২০৪১সালে এটা উন্নয়নশীল দেশের সঙ্গে শামিল হবে। এ সম্বন্ধে কিন্তু অনেকের ধারণা অষ্পষ্ট। অনেকে মনে করেন কি করে এটা সম্ভব যে আমেরিকার মতো এ দেশ হবে, রাশিয়ার মতো এদেশ হবে, সুইজারল্যান্ডের মতো এ দেশ হবে। আসলেই এটা সম্ভব। আমাদের ১০টি মেগা প্রকল্প আছে। আজকে এক পদ্মা সেতু থেকে আমাদের পারডে ইনকাম হলো তিনশ’ কোটি টাকার উপরে। এতে বছরে যে অংক দঁাড়ায়, একসময় আমাদের দেশের বাজেটও এতো টাকা ছিল না। এবার চালু হয়েছে মেট্রোরেল। এখানকার আয় থেকে আমাদের জিডিপি’র ২ভাগ বেড়ে যাবে। ঠিক তেমনি চট্টগ্রামের কর্ণফুলি টানেলটি যখন চালু হবে। তখন চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের মধ্যে দূরত্ব কমে যাবে প্রায় অর্ধেক। এতে তেলের খরচ জ্বালানী খরচ অর্ধেক কমে যাবে। সময়ও লাগবে অর্ধেক। বাকি অর্ধেক সময় মানুষ অন্যকাজে লাগাতে পারবে। অর্থাৎ করারার সময়টা বেড়ে যাবে। এছাড়া টানেল ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে নেয়া ট্যাক্স-এর সঙ্গে যোগ হবে। আরও ৭টি মেগা প্রকল্প যখন হয়ে যাবে তখন আমাদের জিডিপি’র হার বেড়ে যাবে বর্তমান সময়ের চেয়ে প্রায় দ্বিগুন। মন্ত্রী বলেন দেশ যাখনই এগিয়ে যায় তখনই এক শ্রেণীর মানুষ ধর্মকে ব্যবহার করে রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার চেষ্টা করে। রাজনীতিতে ধর্ম ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। এজন্য আমাদের ঐকবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। এদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে।

###
মোঃ রেজাউল বারী বাবুল
স্টাফ রিপোর্টার, গাজীপুর।
১৩/০৪/২০২৩ ইং।
Download all attachments as a zip file