বাফুফে কর্তাদের দুর্নীতির অনুসন্ধান চলবে : আপিল বিভাগ

আপডেট: জুলাই ৯, ২০২৩
0

বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন, সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগসহ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভ্যন্তরীণ দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের নির্দেশ বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।
রোববার (৯ জুলাই) প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে এদিন সালাম মুর্শেদীর পক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মেহেদী হাছান চৌধুরী। রিটের পক্ষে আইনজীবী মুরাদ রেজা, দুদকের পক্ষে আইনজীবী খুরশিদ আলম খান শুনানি করেন।

এর আগে গত ২৫ জুন বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন, সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগসহ ফুটবল ফেডারেশনের অভ্যন্তরীণ দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের নির্দেশ বহাল রাখেন চেম্বার আদালত। তবে ফিফার টাকার দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের আদেশে স্থিতাবস্থা জারি করেন আদালত। একইসাথে বিষয়টি শুনানির জন্য আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে পাঠানো হয়। তারই ধারাবাহিকতায় আপিল বিভাগে আজ শুনানি হয়।

এরও আগে, গত ১৫ মে বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদারের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ বাফুফে কর্তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদককে নির্দেশ দেন।

উল্লেখ্য, গত ১৪ মে কাজী মোহাম্মদ সালাউদ্দিনসহ বাফুফের শীর্ষ কর্মকর্তাদের দুর্নীতি অনুসন্ধানের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। রিটটি করা হয় ফুটবল একাডেমির পক্ষে।

এছাড়া গত ৩ মে বাফুফের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান চেয়ে দুদক চেয়ারম্যান বরাবর আবেদন করেছিলেন ব্যারিস্টার সুমন। কিন্তু তাতে সাড়া না পেয়ে তিনি হাইকোর্টে রিট করেন।

গত ১৪ এপ্রিল জালিয়াতি এবং মিথ্যাচারসহ ফিফার অন্তত চারটি আইন লঙ্ঘন করায় সব ধরনের ফুটবল কার্যক্রম থেকে আবু নাঈম সোহাগকে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করে ফিফা। একই সাথে তাকে জরিমানা করা হয় প্রায় ১২ লাখ টাকা।