বারে বারে ঘুঘু তুমি ————

আপডেট: আগস্ট ৯, ২০২১
0

বারে বারে ঘুঘু তুমি—–

খুলনা ব্যুরো ঃ
“বারে বারে ঘুঘু তুমি খেয়ে যাও ধান” প্রবাদটির মত লাম্পট্যে এবার পার পেলনা পরকীয়ার নায়ক ৪ সন্তানের জনক বকুল সরদার (৫২)। ডুমুরিয়া উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামের বকুল বারে বারে এমন কাজ করে সফল হলেও অবশেষে ধরা খেল জনতার হাতে। আন্দুলিয়া গ্রামে রোববার রাতের এ ঘটনায় এলাকায় মুখরোচক আলোচনায় রূপ নিয়েছে।

এলাকাবাসি জানায়; ডুমুরিয়া উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামের লেয়াকত সরদারের ছেলে ৪ সন্তানের জনক বকুল সরদার (৫২)। আন্দুলিয়া গ্রামের আমিরুল গাজীর স্ত্রী ২ সন্তানের জননী তুবা বেগম (২৫)। ৫ বছর ধরে চলছিল তাদের পরকীয়া। তুবা বেগমের স্বামী আমিরুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে কুয়েত প্রবাস থাকায় আরও বেগবান হয় তাদের সম্পর্ক। সুযোগ বুঝে তারা পরস্পর মিলিত হত। বিষয়টি তুবা বেগমের বাড়ির আশপাশের লোকেরা কমবেশি নজরে রাখতো। রোববার রাত ৮টার দিকে বকুল ঢুকে পড়ে তুবা বেগমের ঘরে। বিষয়টি বুঝতে পেরে লোকজন পরিস্থিতি আঁচ করতে থাকে। একপর্যায়ে খাওয়া দাওয়া সেরে তারা ঘরের লাইট বন্ধ করে দেয়। অবস্থার বেগতিক দেখে লোকজন তাদের হাতে নাতে ধরে ফেলে এবং উত্তম মাধ্যম দেয়। খবর পেয়ে হাজির হন রঘুনাথপুর ক্যাম্প পুলিশ।

রঘুনাথপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এস আই সিকদার এনায়েত বলেন; হট্টগোলের খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। তখন স্থানীয় ২ জন মেম্বরের নেতৃত্বে মীমাংশা করার আশ^াস পেয়ে ওসি স্যারকে জানিয়ে চলে আসি।

স্থানীয় ইউপি সদস্য গাজী মনিরুজ্জামান বলেন; বকুল নামের ঐ লোকটা রাত ৮টার দিকে আমিরুলদের বাড়ি যায়। খাওয়ার পর ঘরের লাইট বন্ধ করে দেয়। বিষয়টি বুঝতে পেরে লোকজন তাদের ধরে ফেলে। পরে পুলিশ বকুলকে নিতে আসলে আমরা বিষয়টি স্থানীয়ভাবে দেখবো বলার পর পুলিশ চলে যায়। আমরা বসাবসি করে দু’পক্ষের অভিভাবক ডেকে রাত ১২টার দিকে উভয়কে দিয়ে দিই।

আমিরুল ইসলামের মা জানান; গত ৫ বছর ধরে এই পরকীয়ার কারণে বৌ মা আমাকে মারপিটও করেছে। ঠিকমত খেতে দেয়না, কয়েকদিন আমাকে গলা ধাক্কা দিয়ে ফেলেও দিয়েছে। আমি এই বৌকে আর ঘরে তুলতে চাই না । আমার ছেলে আমার সাথে এক মত।