বাসা-বাড়িতে গিয়ে করোনা চিকিৎসা করবে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র

আপডেট: এপ্রিল ২৯, ২০২১
0

কিছু জরুরী স্বাস্থ্য বিষযক ইক্যুইপমেন্ট বাসায় রাখার পরামর্শ ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর

একটি থার্মোমিটার, একটি পালস অক্সিমিটার ও ব্লাড প্রেশার পরিমাপের মেশিন ও কিছু ঔষধ থাকলেই বাড়িতে করোনার প্রাথমিক চিকিৎসা করার জন্য যথেষ্ট বলে মন্তব্য করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাষ্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।

বৃহস্পতিবার দুপুরে গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে গণস্বাস্থ্য ভ্রাম্যমাণ করোনা চিকিৎসা সেবার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। এসময় অনলাইনে যোগ দিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম এ অনুষ্ঠানের উদ্ভোধন করেন।

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, “বাড়িতে বসে করোনার প্রাথমিক চিকিৎসা দিতে হলে একটি থার্মোমিটার, একটি পালস অক্সিমিটার ও ব্লাড প্রেশার পরিমাপের মেশিন থাকলেই যথেষ্ট। ব্লাড প্রেসার মাপতে হলে শুধু তিনটি যোগ্যতা থাকতে হবে। দৃষ্টি শক্তি, শ্রবণ ক্ষমতা ও ইংরেজি সংখ্যা পড়ার সক্ষমতা। এটা কঠিন কিছু নয়। মূল কাজটা হলো একটা লোককে ট্রেনিং দেওয়া। প্রয়োজনীয় ওষুধগুলো আমরা বিনা পয়সায় সরবরাহ করবো।

সংবাদ সম্মেলনে বাসা-বাড়িতে গিয়ে করোনা চিকিৎসা সেবার উদ্বোধন করেন ডা.জাফরউল্লাহ

কেবল পরীক্ষার খরচটা তাকে দিতে হবে”। এসময় তিনি বলেন,“করোনার ভ্রাম্যমাণ চিকিৎসা সেবার উদ্যোগটি সকলকে দেখানোর জন্য যে, কত সহজে অল্প খরচে বাসায় বসেই করোনার প্রাথমিক চিকিৎসা নেওয়া যায়। সম্মিলিত ভাবে এই উদ্যোগ না নিলে এটি সফল করা সম্ভব নয়। সরকারকেও সহযোগিতা করতে হবে। শুনেছি দিল্লীতেও করোনা রোগীদের জরুরী সেবা দিতে একই ধরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

ডা. চৌধুরী বলেন,গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে দরিদ্র, মধ্যবিত্ত ও ধনীদের জন্য ভিন্ন ভিন্ন খরচে আইসিইউ এর ব্যবস্থা আছে উল্লেখ করে জাফারুল্লাহ চৌধুরী বলেন, আইসিইউতে দৈনিক লক্ষ টাকা খরচ হবার কোন কারন নেই, সর্বোচ্চ ৫০/৬০ হাজার টাকা হতে পারে। এছাড়াও আইসিইউ এর সুবিধা সম্পন্ন ৫০ শয্যার একটি করোনা ইউনিট আছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। এছাড়া ৮২ সালের ওষুধ নীতি বাস্তবায়ন করলে ১৩০০ টাকার ইনজেকশন ২৫০ টাকায় দেওয়া সম্ভব বলে তিনি অভিমত দেন।

উদ্ভোধনী বক্তব্যে গণস্বাস্থ্যের ভ্রাম্যমাণ করোনা চিকিৎসা সেবার ভূয়সী প্রশংসা করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম বলেন, আমাদের করোনা রোগীরা সঠিক চিকিৎসা পাচ্ছে না। আমরা সুশিক্ষিত একটি দল নিয়ে যদি মানুষের দরজায় যেতে পারি সেটা অনেক সুফল বয়ে আনবে। ঠিক মতো পরিচলনা করতে পারলে এই সেবার মাধ্যমে মানুষ অনেক উপকৃত হবে। এটি গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের সময়োপযগী একটি পদক্ষেপ।

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর এই উদ্যোগের প্রশংশা করে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহামুদুর রহমান মান্না বলেন, “যা যা বলা হচ্ছে সেগুলো মেনে চলা দরকার। জানুয়ারিতে নতুন ভ্যারিয়েন্ট ঢুকেছে। কিন্তু সেটা আমাদের জানানো হয় নি শুধুমাত্র দুটো অনুষ্ঠান করার জন্য। এটা অত্যন্ত নির্দয় আচরণ। বিশেষ এই উদ্যোগের জন্য তিনি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে ধন্যবাদ জানান। পাশাপাশি সোশাল মিডিয়ায় এই উদ্যোগটি বেশি করে প্রচার করার জন্য তিনি সকলকে অনুরোধ জানান।

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্টাতা ট্রাষ্টি ডা. জাফারুল্লাহ চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও গণস্বাস্থ্যের প্রেস উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টুর সঞ্চলনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ভ্রাম্যমান করোনা চিকৎসা সেবার টিম লিডার অধ্যাপক ডা. শওকত আরমান, সোস্যাল সেক্টর ম্যানেজমেন্ট ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী পরিচালক ডা. এএম জাকির হোসাইন, গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক নাসিমা ইয়াসমিন প্রমুখ।

পরে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের উদ্যোগে ভ্রাম্যমাণ করোনা চিকিৎসার জন্য নির্ধারিত এলাকায় জনস্বার্থে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করা হয়। লিফলেটে উল্লেখ করা হয়ঃ-

‘‘গণস্বাস্থ্য ভ্রাম্যমাণ করোনা চিকিৎসা সেবা’’

ঢাকায় নিজ বাড়িতে থেকে গণস্বাস্থ্য ভ্রাম্যমান করোনা চিকিৎসা দলের সুলভে সেবা নিন।
হাসপাতাল সমূহ চিকিৎসা নিতে গিয়ে সর্বশ্রান্ত হবেন না।বাড়ীতে করোনা রোগের পরীক্ষা, পরামর্শ, সেবার প্রশিক্ষণ, অক্সিজেন, ঔষধ ও ফিজিওথেরাপির সুবিধা অল্প খরচে রোগমুক্ত হোন।রোগাক্রান্ত পরিবারের একজনকে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে বিনা খরছে প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

গত ২৩ এপ্রিল ২০২১ শনিবার থেকে প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে।
আজ ২৯ এপ্রিল বৃহস্পতিবার থেকে প্রাথমিকভাবে ধানমন্ডি এলাকায় গণস্বাস্থ্য ভ্রাম্যমাণ করোনা দলের চিকিৎসা সেবা শুরু হয় সকাল৯ টা হতে রাত ৮ পর্যন্ত এ কার্যক্র
আগ্রহী ব্যক্তি ও পরিবার নিম্ন ঠিকানায় নিবন্ধন করুন।