বিএনপির কোনো কর্মসূচি দেখলেই সরকার পুলিশ দিয়ে দমন করে — ফখরুল

আপডেট: আগস্ট ১৮, ২০২১
0

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ভোটারবিহীন সরকার দেশ পরিচালনা ও মহামারি করোনা মোকাবিলায় সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়ে বিএনপির ওপর দমন-নিপীড়নের স্টিম রোলার চালিয়ে তাদের রাজনৈতিক দেউলিয়াপনার প্রমাণ দিচ্ছে।

বুধবার বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক মো. তাইফুল ইসলাম টিপুর স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তিনি একথা বলেন।

বিএনপি মহাসচিব বলেন,বিবৃতিতে বলেছেন, ভোটারবিহীন সরকার দেশ পরিচালনা ও মহামারী করোনা মোকাবেলায় সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি’র ওপর দমন-নিপীড়ণের স্টীম রোলার চালিয়ে তাদের রাজনৈতিক দেওলিয়াপনার প্রমাণ দিচ্ছে।

বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব বলেন, গতকাল শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজার জিয়ারতের কর্মসূচিতে নির্মম হামলার প্রতিবাদে আজ ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি’র উদ্যোগে মহানগরীর থানায় থানায় প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ কর্মসূচিতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে দিয়ে হামলা চালানো হয়। আজও নেতাকর্মীদের গ্রেফতার এবং তাদেরকে আহত করা হয়েছে। শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ কর্মসূচি চলাকালে মৌচাক ও মালিবাগ বিশ^রোডসহ মহানগরীর কয়েকটি স্থানে পুলিশ বিনা উস্কানিতে হামলা চালিয়ে কয়েকজন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার ও বেধড়ক লাঠিচার্জ করে তাদেরকে গুরুতর আহত করে। সকাল থেকে নয়াপল্টনে দলীয় কেন্দ্রীয় কার্যালয় পুলিশ অবরুদ্ধ করে রাখে। কার্যালয়ে প্রবেশ ও বের হওয়ার সময় ছয় জন নেতাকর্মীকে আটক এবং অন্য নেতাকর্মীসহ পথচারীদেরও হয়রানী করা হয়। গতরাতে মহানগরীর বিভিন্ন নেতাকর্মীর বাসায় তল্লাশীর নামে পুলিশ হয়রানী করে।

করোনায় আক্রান্ত রোগীদের সহায়তার জন্য বিএনপি’র মানবিক উদ্যোগ ‘করোনা হেল্প সেল’ এর কার্যক্রমেও হামলার মতো ন্যাক্কারজনক অমানবিক কাজ করতে পিছপা হচ্ছে না আওয়ামী লীগ। আজ নরসিংদীর মনোহরদীতে করোনা হেল্প সেল এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সন্ত্রাসীরা পুলিশের উপস্থিতিতে হামলা চালিয়ে কয়েকজন সাংবাদিকসহ বিএনপি এবং স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীদেরকে মারাত্মকভাবে আহত করে।

গতকাল রাতে চাঁদপুর সদর উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি দেওয়ান মোহাম্মদ শফিকুজ্জামান, জয়পুরহাট জেলা বিএনপি’র সদস্য খালেদ মাসুদ আঞ্জুমান এবং ফেনী জেলাধীন সদর উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব শাহাদাত হোসেন শাহাদাতকে গ্রেফতার করা হয়।

বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদেরকে গ্রেফতারের মাধ্যমে হয়রানী ও হেনস্তা করার সর্বগ্রাসী অভিযান এখন আরও প্রকট আকার ধারণ করেছে। হিংসাশ্রয়ী রাজনীতির ধারক আওয়ামী সরকার জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে সম্পুর্ণ গায়ের জোরে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করে বিরোধী নেতাকর্মীদের ওপর অবর্ণনীয় নির্যাতন নিপীড়ণ অব্যাহত রেখেছে। বিএনপির কোন কর্মসূচি দেখলেই সরকার আতঙ্কিত হয়ে পুলিশ দিয়ে তা দমণে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।

বিএনপিসহ বিরোধী নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে বানোয়াট মামলা দিয়ে গ্রেফতার ও জুলুমের মাধ্যমে দেশে এখন ফ্যাসিবাদী দু:শাসন চলমান রাখা হয়েছে। সরকার রাজনৈতিকভাবে দেওলিয়া হয়ে আওয়ামী লীগ ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে নেতাকর্মীদের ওপর হামলা, মামলা এবং গ্রেফতার বানিজ্যকে নিয়মে পরিণত করার মাধ্যমে দেশে আইনের শাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করছে। বানোয়াট মামলা দায়ের ও গ্রেফতার আতঙ্কে বিএনপি নেতাকর্মীদের এখন দুঃসহ জীবন অতিবাহিত হচ্ছে।

ঢাকার বিক্ষোভ, মনোহরদীতে মানবিক উদ্যোগে হামলা এবং চাঁদপুর জেলা বিএনপি’র যুগ্ম আহবায়ক দেওয়ান মোহাম্মদ শফিকুজ্জামান, জয়পুরহাট জেলা বিএনপি’র সদস্য খালেদ মাসুদ আঞ্জুমান এবং ফেনী জেলাধীন সদর উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব শাহাদাত হোসেন শাহাদাতকে গ্রেফতারের ঘটনা সরকারের ফ্যাসিবাদী শাসনের আরও একটি নির্লজ্জ উদাহরণ। আমি এ সকল ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং অবিলম্বে গ্রেফতারকৃতদের নিঃশর্ত মুক্তির জোর দাবি করছি ও আহতদের আশু সুস্থতা কামনা করছি।”