বিজিবি’র ৯৯তম ব্যাচের নিয়োগ পরীক্ষা চলাকালীন ভুয়া প্রার্থী গ্রেপ্তার

আপডেট: জুলাই ২৮, ২০২২
0

বিজিবি’র তিস্তা ব্যাটালিয়ন-২ (৬১ বিজিবি) কর্তৃক পরিচালিত নিয়োগ পরীক্ষা চলাকালীন মোহাম্মদ মিজানুর রহমান নামের একজন ভূয়া পার্থীকে আটক করেছে বিজিবি। সে প্রকৃত পার্থী নং-99GD080896 সারোয়ার মন্ডল সজীবের পক্ষ হয়ে লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য পরীক্ষা কেন্দ্রে আসে‌।

ভুয়া পার্থী মিজানুর রহমান ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার সিন্দুরনা গ্রামের খলিফার রহমানের ছেলে। আটককৃত মিজানুর রহমানের ভাষ্যমতে, বিভিন্ন বাহিনীতে লোক নিয়োগের নামে প্রতারণার সাথে জড়িত দালাল চক্রের সদস্য আসাদুজ্জামান এবং ফজলুল তাকে তিস্তা ব্যাটালিয়নে নিয়ে আসে। এর মধ্যে আসাদুজ্জামান দালাল চক্রের প্রধান বলে মিজানুর রহমান জানায়। আসাদুজ্জামান এবং ফজলুল দুজনেই ঠাকুরগাঁও শহরের হাজীপাড়ায় বসবাস করে।

মিজানুর রহমান আরও জানায়, সে মাস্টার্স পাশ এবং বর্তমানে ঠাকুরগাঁও শহরের হাজিপাড়াতে একটি মেসে অবস্থান করে বিপিএড পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল। ওই মেসের পাশেই বাসা নিয়ে থাকে দালাল চক্রের সদস্য ফজলুল। যেহেতু মিজানুর রহমানের উচ্চতা ৫ ফুট ১০ ইঞ্চি সে কারণে দালাল চক্রের সক্রিয় সদস্য ফজলুল মিজানুর রহমানকে নির্বাচন করে প্রকৃত পার্থী সারোয়ার মণ্ডল সজীবের হয়ে লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য পরীক্ষা কেন্দ্রে নিয়ে আসে।

দালাল চক্র ভুয়া পার্থী মিজানুর রহমানকে প্রকৃত পার্থী সারোয়ার মন্ডল সজিবের হয়ে পরীক্ষা দেওয়ার জন্য পঞ্চাশ হাজার টাকার বিনিময়ে চুক্তি করে এবং অগ্রিম হিসাবে পাঁচশত টাকা প্রদান করে তাকে পরীক্ষা কেন্দ্রে নিয়ে আসে। মিজানুর রহমান আরও জানায়, তার সাথে মুন্না, সজীব ও রাশেদ নামে ঠাকুরগাঁওয়ের আরও কয়েকজন ভুয়া পার্থী ছিল এবং সরোয়ার মণ্ডল সজিবের হয়ে শুধুমাত্র মিজানুর রহমান পরীক্ষা দেওয়ার জন্য ভিতরে প্রবেশ করেছে।

বিজিবি কর্তৃক আটককৃত ভূয়া পার্থী মিজানুর রহমানকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে এবং ভূয়া পার্থী ও কথিত দালালচক্রের বিরুদ্ধে হাতিবান্ধা থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, ইতিপূর্বে গত ১৮ জুলাই ২০২২ তারিখে বিজিবি’র সাতক্ষীরা ব্যাটালিয়ন (৩৩ বিজিবি) কর্তৃক পরিচালিত নিয়োগ পরীক্ষা চলাকালীন বিজিবিতে চাকরি দেয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগে একজন অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য সহ দুই জন প্রতারককে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।