বিশিষ্ট আলেমে দ্বীন অধ্যক্ষ আবদুল খালেক মণ্ডল-এর ইন্তিকালে শ্রমিক কল্যাণের শোকবার্তা

আপডেট: জুলাই ২১, ২০২৩
0

সাবেক জাতীয় সংসদ সদস্য ও বিশিষ্ট আলেমে দ্বীন মাওলানা আবদুল খালেক মণ্ডল-এর ইন্তিকালে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের ভারপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় সভাপতি অধ্যাপক হারুনুর রশিদ খান ও সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আতিকুর রহমান।

আজ এক যৌথ শোকবার্তায় নেতৃদ্বয় মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে মরহুমের ভুলত্রুটির জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেন এবং নেক আমল সমূহ কবুল করে তাকে জান্নাতের উঁচু মাকাম দান করার জন্য কায়মনোবাক্যে দোয়া করেন। একই সাথে মরহুমের স্বজনদের শোক কাটিয়ে ধৈর্য ধারন করার শক্তি দান করার জন্য দোয়া করেন।

নেতৃদ্বয় বলেন, মরহুম আবদুল খালেক মণ্ডল আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের একজন খালেছ বান্দাহ ছিলেন। তিনি আজীবন সত্যের পথে অবিচল ছিলেন। তার সততা, ন্যায়পরায়ণতার কারণে সাতক্ষীরা জনগণ তাকে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জাতীয় সংসদ সদস্য হিসাবে বারবার নির্বাচিত করেছেন। গণমানুষের এই প্রাণপ্রিয় নেতা শ্রমজীবী মানুষদের কাছে ছিলেন অত্যন্ত আপনজন। তিনি দক্ষিণের এই জনপদে ইসলামী শ্রমনীতির আন্দোলনকে মজবুত ভিত্তির ওপর দাঁড় করিয়েছেন।

নেতৃদ্বয় বলেন, আমরা বলিষ্ঠ কণ্ঠে ঘোষণা করছি, মরহুম আবদুল খালেক মণ্ডল নিরাপরাধ ও সজ্জন রাজনীতিবিদ ছিলেন। শুধুমাত্র তার দ্বীনদারিত্ব ও ন্যায়নিষ্ঠ নেতৃত্বের কাছে পরাজিত হয়ে সরকার তার বিরুদ্ধে ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। তাকে দীর্ঘ ৮ বছরের অধিক সময় কারাগারে বন্দি রেখে তার ওপর জুলুমের স্টিম রোলার চালানো হয়েছে। কারাগারে আটক অবস্থায় তাকে সুচিকিৎসা প্রদান করা হয়নি। এই বয়োবৃদ্ধ নেতাকে তার আপনজনদের সেবা থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। আলহামদুলিল্লাহ! এত শত জুলুম সত্ত্বেও তাকে সত্য ও সুন্দরের পথ এক চুল পরিমাণ সরানো যায়নি।

তারা আরও বলেন, মরহুম আবদুল খালেক মণ্ডল-এর নাম কোনোদিন মানুষের মন থেকে মুছে ফেলা যাবে না। তিনি তার কর্মের মাঝে বেঁচে থাকবেন। বিশেষত সাতক্ষীরার জনগণ ও শ্রমজীবী মেহনতি মানুষরা তার অবদান চিরদিন স্মরণ করবে।